ভোট-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: খন্দকার মোশাররফ
Published: 28th, May 2025 GMT
ভোট বা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকার নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা এই সরকারকে সমর্থন ও সাহস দিয়ে প্রত্যাশা করেছি- অতি দ্রুত মানুষের নির্বাচনের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু ১০ মাস অতিক্রম করছে; আমরা দেখছি জনগণের অধিকারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভোটের অধিকার। আর ভোট ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মতো এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।
আজ বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা বারবার তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি কেন অতি দ্রুত নির্বাচন দরকার। কারণ, সরকার দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে। তা না হলে সংস্কার ও মামলার বিষয়টিকে নির্বাচনের সঙ্গে কেন যুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী টোয়েন্টি-থার্টি ভিশন ঘোষণা করেছে এবং তারেক রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে তুলে ধরছেন। অর্থাৎ আমরা সংস্কার নিয়ে সবসময় চিন্তা করেছি। কিন্তু সকল সংস্কার এককথায় করা যাবে না, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা চাই নির্বাচনের সংস্কার অতি দ্রুত শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। তা না হলে তারুণ্যকে নিয়ে আমরা এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করব। এই ষড়যন্ত্র জনগণকে মোকাবেলা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথমে ছাত্রদল-যুবদলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। একইভাবে তার সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আজকের এই দিনে আমরা তরুণ সমাজের কাছে আবেদন জানাবো জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ভূমিকা রাখার জন্য। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যারা নির্ধারণ করবে তারাই আজকের তরুণ প্রজন্ম। আর এই বিষয়টি জানান দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারেক রহমান।
দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদের কী ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে আপনারা তা জানেন। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাভোগ করতে হয়েছে, তারেক রহমানকেও বানোয়াট মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের একটি কর্মীও বাদ যায় নাই, যারা জেল খাটে নাই, মামলার শিকার হয় নাই। আর এই নির্যাতনের শেষ হয়েছে ছাত্র-যুবকদের আন্দোলনের মাধ্যমে, যোগ করেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কার ও বিচারের নামে নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না: আমীর খসরু
সংস্কার ও বিচারের নামে নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে তারুণ্যের সুনামি হচ্ছে। এই সমাবেশ গণতন্ত্রের বার্তা দিচ্ছে। গণতন্ত্রের বার্তা হচ্ছে নির্বাচন। গণতন্ত্রের পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই। বিচারের কথা বলে রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই।
আজ বুধবার নয়াপল্টনে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এ সমাবেশ আয়োজন করে।
আমীর খসরু বলেন, সংস্কার নিয়ে বিএনপির আগে কেউ কথা বলেনি। সাত বছর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ এর মাধ্যমে জাতির কাছে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। দুই বছর আগে ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন তারেক রহমান। তারপর যারা মিলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি তারা ৩১ দফা ঘোষণা করেছি। এখন কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়নি বলে বক্তব্য দিচ্ছেন। কান পেতে শুনুন সেই সংস্কার করবে দেশের জনগণ। যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক সেই সংস্কার ব্যালট-ভোটের মাধ্যমে হবে। আপনাদের মাধ্যমে হবে। আপনারা কে?
তিনি বলেন, বিচারের কথা বলছে। আমাদের মতো, বিএনপির মতো ক্ষতিগ্রস্ত কেউ হয়েছে? গুম-খুন, ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ হাসিনার পতনের জন্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, সেনাপতির ভূমিকায় তারেক রহমান কাজ করেছেন। কারও বিচার করতে হলে সেটা বিএনপি করবে। বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে সেটা বিএনপি করবে। কারণ আমাদের মতো এত ত্যাগ স্বীকার কেউ করেনি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার পতন না হলে এই লোকগুলো কোথায় থাকত? কেউ বিদেশে, কেউ যে চাকরি করছে সেখানে থাকত। আমরা থাকতাম জেলে না হয় ফাঁসির মঞ্চে। তোমাদের ওপর ভরসা নেই। বিচার বিএনপি করবে। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচন বিলম্বিত করা হলে তরুণরা জবাব দেবে।