রাজনীতির বাইনারি দূর হলো, না গেড়ে বসল?
Published: 29th, May 2025 GMT
টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ কতগুলো গুরুতর সমালোচনার মুখে পড়েছিল। সেগুলোর অন্যতম ছিল দলটি বিভাজনের রাজনীতি জিইয়ে রেখেছে, যা রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিষাক্ত করে রেখেছে। জাতির সামগ্রিক বিকাশকে করছে বাধাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগ বরাবরই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে এক ব্র্যাকেটে ফেলে (বিএনপি-জামায়াত) মুক্তিযুদ্ধবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যদিও জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ওই সখ্যের ভিত্তি ছিল মূলত ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’ সূত্র।
ওই বিভাজনের কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক রেষারেষি এমন পর্যায়ে যায়; ১৯৯০ সালে সামরিক শাসক এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে দুই দলের একসঙ্গে লড়াই করার স্মৃতিও চাপা পড়ে যায়। তদুপরি একই কারণে ‘ওয়ান ইলেভেন’ সরকারের সময়ে দুই দলেরই শীর্ষ নেতাদের ওপর রীতিমতো স্টিমরোলার চলার পরও ওই বিভাজনের রাজনীতি কমেনি, বরং গত এক দশকে তা ১৯৯০ সালে কষ্টার্জিত গণতন্ত্রকেও বিপন্ন করে তোলে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ শুধু তার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিই করেনি; এক পর্যায়ে দেশের সব বিরোধী দলই তুলেছে। নাগরিক সমাজের মধ্যেও এ অভিযোগ বেশ গুরুত্ব পেয়েছিল। এমনকি বিশেষত মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রশ্নে বরাবরই আওয়ামী লীগের হাত ধরা বামপন্থিরাও বলা শুরু করে– মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দলটির কাছে ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। তাই ওই বিভাজনের রাজনীতির ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। এ প্রেক্ষাপটেই গত বছরের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন দ্রুতই তৎকালীন প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সমর্থনপুষ্ট হয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়।
শিক্ষার্থীরা আন্দোলনটির নাম দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষককে বিস্মিত করে ডান-বাম সবাই এতে যোগ দেয়। ধারণা করা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে তিলে তিলে জমে ওঠা আর্থিক-সামাজিক-ধর্মীয়, এমনকি লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রবল গণঅসন্তোষই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন এ গণঐক্যের প্রধান কারণ। আর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী প্রায় সবাই এ বিষয়েও একমত ছিলেন, ওই নানাবিধ বৈষম্যের অবসানে প্রথমেই প্রয়োজন বিদ্যমান বিভাজনের রাজনীতির অবসান। আন্দোলনের শেষ দিকে দেয়ালে দেয়ালে লেখা ও আঁকা স্লোগান-গ্রাফিতির দিকে তাকালেই তা বোঝা যায়। বিশেষত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের যে ঢল নেমেছিল, সেখানেও আন্দোলনকারীদের ভাষায়– বাইনারি রাজনীতি তথা বিভাজনের রাজনীতির সুলুক সন্ধান ও তার অবসানের পথ খোঁজা হয়।
তখন আন্দোলনের সমর্থক বুদ্ধিজীবী ও সচেতন নাগরিক তো বটেই, আন্দোলনের মুখ বলে পরিচিত ছাত্রনেতারাও বেশ জোর দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সৃষ্ট বাইনারি রাজনীতির অবসান ঘটাতে গিয়ে কোনোক্রমেই নতুন কোনো বাইনারি রাজনীতির জন্ম দেওয়া চলবে না। আজকে যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা, যাঁকে খোদ প্রধান উপদেষ্টা ওই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বলে যুক্তরাষ্ট্রের এক অনুষ্ঠানে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, তার একাধিক ভিডিও তখন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেগুলোতে তাঁকে ওই নতুন বাইনারি রাজনীতি ঠেকাতে এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে দেখা যায়। তিনি সংগতভাবেই শ্রোতাদের প্রশ্ন করেছিলেন, যারা অপরাধ করেছে তাদের নিশ্চয় বিচার হবে। কিন্তু দলটির লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক তো হাওয়া হয়ে যাবেন না; তারা এ দেশেই থাকবেন। তাদের নিয়ে পরিকল্পনা কী? এসব দেখে-শুনে অন্য অনেকের মতো আমারও মনে হয়েছিল, দেশ হয়তো নতুন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা পেতে যাচ্ছে, যেখানে বাম-ডান, উদারমনা ও রক্ষণশীল, সেক্যুলার ও ধর্মভিত্তিক সব চিন্তা ও রাজনৈতিক মত-পথের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থাকবে।
আন্দোলনকারীদের প্রায় সবাই বলেছিলেন, আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার– এ তিন নীতির ভিত্তিতে রাজনীতির ‘নতুন বন্দোবস্ত’ তৈরি করা হবে। এমন কথাও তারা বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছিল, তা নষ্ট করেছিল স্বাধীনতার পরপর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সরকার। চব্বিশের অভ্যুত্থান আবারও সেই সুযোগ তৈরি করেছে, তা হারানো চলবে না। মুক্তিযুদ্ধই হবে এ নতুন বন্দোবস্তের ভিত্তি– এমনটাও পরিষ্কার করে বলা হয়েছিল। কেউ কেউ এমনও বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। জুলাই আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধকে সবার করে দিয়েছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, কিছুদিন না যেতেই রাজনীতি যেন পুরোনো বৃত্তেই ফিরে গেল। আওয়ামী লীগের নিরপরাধ কর্মী-সমর্থক তো ব্রাত্য থাকলই, অসাম্প্রদায়িক-উদারমনা মানুষ মাত্রই ‘মুজিববাদী’ বলে ট্যাগ খেতে থাকল। ধর্মীয় উগ্রপন্থা অন্য সবার ওপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করল। জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হলো; এমনকি ইসলামের উদারপন্থি ধারা বলে পরিচিত সুফিবাদী ও মাজারপন্থিরাও রেহাই পেলেন না। মব সন্ত্রাস নামে নতুন এক উপদ্রব প্রায় সব জনপদ ছেয়ে ফেলল, যার সবচেয়ে বড় শিকার হলেন জুলাই আন্দোলনের সম্মুখযোদ্ধা বলে খ্যাত নারীরা। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতিকর্মীদের ওপর আক্রমণ নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হলো। ফ্যাসিবাদের চিহ্ন উৎপাটনের নামে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকগুলো ধ্বংস ও পুড়িয়ে দেওয়া যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। কখনও বলা হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত ১৯৭২ সালের সংবিধান ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। কখনও মূলনীতিগুলোসহ এর খোলনলচে পাল্টে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় দিবস ও উৎসবগুলোও আছে তোপের মুখে।
এসব কর্মকাণ্ডের ছাপ পড়েছে রাজনীতিতে। একসঙ্গে যারা অভ্যুত্থান করেছে তারা কে যে কোন পক্ষে– তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেকে রঙ্গ করে বলছেন, দেশের বর্তমান রাজনীতি এত ভাগে বিভক্ত যে, বিগত আমলের বিভাজন এর তুলনায় কিছুই না। যেন বিভাজিত রাজনীতি কাকে বলে, কত প্রকার ও কী কী তারই পাঠ চলছে। বামেরা তো প্রথম রাতেই ঘরের বাইরে। এই মুহূর্তে দেশের প্রধান দল বিএনপিও নিজেকে অনিরাপদ ভাবছে। সংবিধানসহ মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলো ধরে রাখার পক্ষে কথা বলায় এর নেতারা এখন আক্রমণের মুখে; বিশেষত তার দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াত ও তার সমর্থক ইউটিউবারদের দিক থেকে। মধ্যপন্থার রাজনীতি অনুসরণের কথা বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত এনসিপিও যোগ দিয়েছে জামায়াতের সঙ্গে।
এর মধ্যেই ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে ২০১৯ সালে আপিল বিভাগেও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারকে খালাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট, যা রাজনীতির পুরোনো ক্ষতকে নতুন করে জাগিয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞের এদেশীয় সহযোগীদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় অপসারণের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে নতুন ঐক্যের বাতাবরণ তৈরি হবে। ওই রায়ের পর সে আশা রইল না। এখন এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষের রাজনীতি আবারও চাঙ্গা হতে থাকবে। শুধু তাই নয়; এ রায় জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারকেও প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তেমনটা হলে রাজনীতিতে বিভাজন শুধু নয়; সহিংসতাও যে বাড়বে– তা হলফ করেই বলা যায়।
সাইফুর রহমান তপন: সহকারী সম্পাদক, সমকাল
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ব ভ জন র র জন ত প র য় সব র জন ত ক র জন ত র র অবস ন ব ইন র হয় ছ ল সরক র আওয় ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কাজাকিস্তানের যাযাবর জাতির করুণ ইতিহাস
বিংশ শতাব্দীর আগে পৃথিবীর মানচিত্রে কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তান নামের এই পাঁচটি দেশ ছিলো না। মূলত ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এই রাষ্ট্রগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। পরে চীনের সহায়তায় ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলগুলো বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল হিসেবে পুনরুত্থান হয়েছে। এখন প্রশ্ন করা যেতে পারে, চীন কেন আবারও এই অঞ্চলগুলোকে শক্তিশালী করে তুলছে?
ঐতিহাসিকভাবে মধ্য এশিয়া অঞ্চল সিল্করোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো। যা চীনকে মধ্যপ্রাচ্য এবং রোমান সভ্যতার সাথে যুক্ত করেছিলো। বীজ গণিতের জনক আল খারিজমি, আবু সিনার মতো বিজ্ঞানীদের জন্ম হয়েছে এখানে। যাদের লেখা বই ইউরোপে শত শত বছর ধরে চিকিৎসা ও নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। চেঙ্গিস খানও এই অঞ্চলে তার সম্রাজ্যের নিদর্শন রেখে গেছেন। পাশাপাশি ঘোড়ার পিঠে আদিম যাযাবর জীবনের ঐতিহ্যও টিকে আছে এখানে।
আরো পড়ুন:
রাশিয়ার বিরুদ্ধে এবার রোমানিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ
রাশিয়ায় ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা
রাজনৈতিক প্রভাব ও সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করেছিলো রুশরা। উপনিবেশিক শাসন এমনভাবে চালু করেছিলো, যা অনেকটা ব্রিটিশ বা ফরাসি সম্রাজ্যের মতো দেখতে।
রাজ্যগুলোকে শিল্পায়ন ও আধুনিকায়নের ফলে বিশাল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। এমনকি যাযাবর জাতিকে যুদ্ধ যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো। আর যাযাবর জাতিকে বসতি স্থাপনে বাধ্য করা হয়েছিলো। এরপর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ফলে কাজাখ জনগোষ্ঠীর চল্লিশ শতাংশ অর্থাৎ ২৫ শতাংশ মানুষ অনাহারে মারা যায়। এবং যাযাবর জনগোষ্ঠীর যে অর্থনীতি, তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। কারণ সোভিয়েত আমলে কাজাখ যাযাবররা যে পশুপালন করতো তার নব্বই শতাংশই মারা যায়। ফলে বাধ্য হয়ে কাজাখদের যাযাবর জীবনযাত্রা ছেড়ে দিতে হয়। বলতে গেলে সোভিয়েত আমলে কাজাখ সভ্যতা ও সংস্কৃতির বেদনাদায়ক পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
১৯৯১ সালে সোভিয়েন ইউনিয়নের পতন হয়, সৃষ্টি হয় এই পাঁচটি স্বাধীন দেশের। এই দেশগুলো স্বাধীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী বিশ্বে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের ব্যাপক সংগ্রাম করতে হয়। তবে বিগত কয়েক দশক ধরে মধ্য এশিয়ার যাযাবর জাতিগুলো নিজস্ব সীমানার মধ্যে এক অনন্য পরিচয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। যদিও তাদের ওপর বাইরের প্রভাবও রয়েছে। তুরস্ক এই অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি আরও বেশি জানান দিচ্ছে। সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত মিল আছে। এমনকি শিক্ষাগত কাঠামোতেও মিল রয়েছে। তুরস্ক মধ্য এশিয়ায় রাশিয়ার পণ্য রফতানির একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবেও বিবেচিত।
জিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় এক কোটি উইঘুর বাস করেন। যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। এদের নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া উইঘুর পরিচয় মুছে ফেলতে তাদের পুনঃশিক্ষা শিবিরে আটকে রাখার অভিযোগও আছে। যদিও চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এর চীন মধ্য এশিয়ায় ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন করছে। এই অঞ্চলটিকে বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত করতে চাইছে, যা অনেকটা সিল্করুটের মতোই।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উদ্যোগের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় প্রাচীন সিল্ক রোড পুনরুজ্জীবিত করার একটি সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই রোড পুনরুজ্জীবিত হলে রাশিয়া আর চীনের প্রভাব বলয়ে থাকা এই অঞ্চলের ভূ রাজনৈতিক গুরুত্ব কতটা বাড়বে-সেটাও সময় বলে দেবে।
ঢাকা/লিপি