শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে : অধ্যাপক মামুন মাহমুদ
Published: 30th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, বাক স্বাধীনতা এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের সূচনা হয়েছে।
জিয়া পরিবার এদেশের মানুষের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র ভরসাস্থল। বাংলাদেশ যতবার সংকটে পড়েছে ততবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া দল বিএনপির নেতৃত্বেই সেই সকল সংকট থেকে উত্তরণ ঘটেছে।
এখনো দেশ সংকটের মধ্যে রয়েছে। আগামী দিনেও এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়েই আগামীর বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায় বিচার ভিত্তিক সাম্যের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন।
মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৩০ মে) সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ফতুল্লা এলাকায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ নং ওয়ার্ডের রসুলবাগ, মাদানি নগর, সানারপাড়, ২ নং ওয়ার্ডের মিজমিজি কান্দাপাড়া, মিজমিজি দক্ষিণপাড়া এবং ১ নং ওয়ার্ডের পাইনাদী এলাকায় খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিদ্ধেরগঞ্জের ৯ নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি পূর্বপাড়া হাই স্কুল এর অডিটোরিয়ামে দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ফতুল্লার দেলপাড়া হাই স্কুল মাঠে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসব কর্মসূচিতে অন্যন্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি চোরের দল। তারা জনগণের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে এবং জনগণের দুঃসময়ে তারা পাশে থাকে না। এই দলটি দেশে দুর্ভিক্ষ নিয়ে আসে এবং দেশের স্বার্থ বিদেশীদেও কাছে বিকিয়ে দিয়ে দাসত্ব করে। গত ১৫ বছরের দুঃশাসন, লুটপাট এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে তিনি বলেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা গত ১৫ বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এখনো সেই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। অবিলম্বে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে আমরা আজও রাজপথে আছি এবং বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকবে।
আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়ে আগামীর বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায় বিচার ভিত্তিক সাম্যের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ স ব ধ নত ব এনপ র জনগণ র ত হয় ছ ব তরণ রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে: জামায়াত নেতা রফিকুল
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘এই সনদ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে জারি করা হোক এবং প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করা হোক। তবে এই গণভোট অবশ্যই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই হতে হবে, নির্বাচনের পরে নয়।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে তৃতীয় ধাপে তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রফিকুল ইসলাম খান। এ সময় উপস্থিত ছিলে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
জুলাই সনদের বাস্তবায়নে দেরি হলে জনগণ স্বাভাবিকভাবেই আবারও রাস্তায় নেমে আসবে বলে মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সে সময়কার দলগুলোর ঐকমত্য থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতায় থাকা দলগুলো সেটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) যথাসময়ে বাস্তবায়ন করেনি। পরে আন্দোলনের মাধ্যমেই তা সংবিধানে যুক্ত হয়।
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়েছিল বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ের মাধ্যমে। আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে এ রায় দেওয়ানো হয়েছিল। তাই বিচার বিভাগকে আবার বিতর্কের মুখে না ফেলে সংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পক্ষে জামায়াত।
জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ঐকমত্য কমিশন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে চারটি বিকল্প নিয়ে কাজ করেছে, যার মধ্যে কমিশন সংবিধানিক আদেশের প্রস্তাবটি সমর্থন করেছে। এই আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের ২২টি আর্টিকেল বাস্তবায়িত হতে পারে। এটি আইনিভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী ভিত্তি।
এক প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান বলেন, সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করার এখতিয়ার সংসদের নেই, এবং এ ধরনের পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই গণভোটের প্রয়োজন হয়।
জামায়াতে ইসলামী জনগণের অভিপ্রায়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে জামায়াতের এ সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষাই হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আইন।
জুলাই সনদের যে আদর্শ ও চেতনা, তা বাস্তবায়ন হওয়া উচিত এবং যারা এই আদর্শের পথে হাঁটবে না, জনগণ তাদের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে করেন হামিদুর রহমান আযাদ। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ এটি প্রমাণ করে যে এ দেশের তরুণসমাজ ও জনগণ নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা চায় এবং জুলাই বিপ্লবের যোদ্ধাদের পক্ষেই রয়েছে।