নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, বাক স্বাধীনতা এবং স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের সূচনা হয়েছে।

জিয়া পরিবার এদেশের মানুষের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র ভরসাস্থল। বাংলাদেশ যতবার সংকটে পড়েছে ততবার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া দল বিএনপির নেতৃত্বেই সেই সকল সংকট থেকে উত্তরণ ঘটেছে।

এখনো দেশ সংকটের মধ্যে রয়েছে। আগামী দিনেও এই সংকট থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়েই আগামীর বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায় বিচার ভিত্তিক সাম্যের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন।

মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৩০ মে) সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ফতুল্লা এলাকায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে পালিত হয়েছে।  সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ নং ওয়ার্ডের রসুলবাগ, মাদানি নগর, সানারপাড়, ২ নং ওয়ার্ডের মিজমিজি কান্দাপাড়া, মিজমিজি দক্ষিণপাড়া এবং ১ নং ওয়ার্ডের পাইনাদী এলাকায় খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিদ্ধেরগঞ্জের ৯ নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি পূর্বপাড়া হাই স্কুল এর অডিটোরিয়ামে দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ফতুল্লার দেলপাড়া হাই স্কুল মাঠে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসব কর্মসূচিতে অন্যন্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম, অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি চোরের দল। তারা জনগণের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে এবং জনগণের দুঃসময়ে তারা পাশে থাকে না। এই দলটি দেশে দুর্ভিক্ষ নিয়ে আসে এবং দেশের স্বার্থ বিদেশীদেও কাছে বিকিয়ে দিয়ে দাসত্ব করে। গত ১৫ বছরের দুঃশাসন, লুটপাট এবং মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে তিনি বলেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা গত ১৫ বছর রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। এখনো সেই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। অবিলম্বে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে আমরা আজও রাজপথে আছি এবং বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকবে।

আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়ে আগামীর বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায় বিচার ভিত্তিক সাম্যের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ স ব ধ নত ব এনপ র জনগণ র ত হয় ছ ব তরণ রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

জিয়া স্বীয় কীর্তিতে অমর মহানায়ক: কাদের গনি চৌধুরী

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার অবদান এ দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি স্বীয় কীর্তিতে অমর ইতিহাসের মহানায়ক। 

শুক্রবার দুপুরে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

রোকেয়া সরণি এলাকায় এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনর আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ জায়েদ আল ফাত্তাহ (শেখ সাব্বির), ব্যাংকার এম এ সাঈদ চৌধুরী, শেখ তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, রাইসুল আলম, আলিমুল বিন আজিজ, এইচ এম মিজানুর রহমান প্রমুখ।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলি এ দেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন তিনি। প্রেসিডেন্ট জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। অল্প সময়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে জিয়া বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন এবং তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস জোগান। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। ঢাকায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত তার স্মরণকালের নামাজে জানাজায় প্রমাণিত তিনি কত জনপ্রিয় ছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়াকে আমাদের জাতিসত্তার রূপকার। শহীদ জিয়া প্রকৃত অর্থে গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের একমাত্র স্টেটম‍্যান। স্বাধীনতা উত্তর শ্বাপদসংকুল রাজনৈতিক, সামরিক পথপরিক্রমা, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে দিশাহীন জাতিকে দেখিয়েছিলেন আলোর পথ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন কৃষি, শিল্প, মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে স্বনির্ভরতার দিকে। দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।

বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্থপতি জিয়াউর রহমান। তাকে যে বিশেষণেই বিশেষায়িত করা হোক না কেন, তাতে তার যোগ্যতার পূর্ণ প্রকাশ ঘটে না, কারণ তার কীর্তি বাস্তবিকই বিপুল ও বিশাল। জাতির প্রতিটি সংকটময় মুহূর্তে তিনি বারবার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে। অসীম সাহসিকতা, দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি সময়ের প্রয়োজনে আলোর দ্যুতি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। আমাদের অহংকার অধ্যায়কে তিনি আলোকিত ও সমৃদ্ধ করেছেন। অল্প জীবনে বিশাল তার অর্জন। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে তিনি কর্মগুণে জ্যোতির্ময় হতে পেরেছিলেন; যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

কাদের গনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে গণবিমুখ একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা চালু করেন। সে দিনগুলোতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। একদল, এক ব্যক্তি শাসনে গোটা দেশ এক জিন্দানখানায় (বন্দিশালা) পরিণত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর গণতন্ত্রের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। তিনি উপলব্ধি করেন যে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই মত ও পথের শতফুল ফুটতে দিতে হবে। এই লক্ষ্য ও মানসেই তিনি ১৯৭৬ সালে ‘রাজনৈতিক দল বিধি ১৯৭৬’ জারি করেন। এর ফলে দেশে সব রাজনৈতিক দলের পুনরুজ্জীবনের সুযোগ ঘটে।

বিএনপি শহীদ জিয়ার এক অনন্য সৃষ্টি উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, সব বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে বিএনপি পৌঁছে গেছে সাফল্যের শীর্ষতম বিন্দুতে। বিএনপি, জিয়া ও বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে এক ও অভিন্ন সত্তায়। দেশের এক ক্রান্তিকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। যখন আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করতে তৎপর ছিল। যখন দেশের তৎকালীন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী স্বাধীনতা-উত্তর তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় কর্তৃত্বমূলক শাসন জারি করে মানুষের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার কেড়ে নেয়। যখন হত্যা ও খুনের রাজনীতি জাতীয় জীবনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা যখন চরমভাবে বিপন্ন ঠিক সেই অরাজক সময়ে বিএনপির জন্ম। 

‘অর্জিত স্বাধীনতাকে আর কেউ যেন বিপন্ন করতে না পারে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে যেন কোনো অপশক্তি ধ্বংস করতে না পারে, সেই দৃঢ়প্রত্যয় নিয়েই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। তার শাসনামলে সামাজিক সুবিচার ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কারণে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করে। দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ ইমার্জিন টাইগারে পরিণত হয়। তিনি বিএনপিকে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, উৎপাদন ও জাতীয় স্বার্থরক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন। নেতাপূজা, তোষামোদি ও স্লোগাননির্ভর বিদ্যমান রাজনীতির পরিবর্তে তিনি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি চালু করেন। দলের নেতাকর্মী ও জনগণকে তিনি সম্পৃক্ত করেন খাল খনন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান, রাস্তাঘাট নির্মাণ প্রভূতি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। অলস পড়ে থাকা কলকারখানাগুলোতে আবার কাজ শুরু হয়। এমনকি কোনো কোনো কারখানায় দুই শিফটেও কাজ চলে।'

তিনি আরও বলেন, জিয়া রাজনীতিকে প্রাসাদবন্দি না করে ছড়িয়ে দেন সারাদেশ। জিয়ার প্রতি জনগণের ভালোবাসার কারণে বিএনপি শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তীতে বিএনপি গণমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। তাই জনগণ যখনই ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছে, তখনই বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি অনিবন্ধিত দল: মিনু
  • গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সব শহীদের জন্য দোয়া চাইলেন তারেক রহমান
  • একুশে সমকাল শুভেচ্ছা কৃতজ্ঞতা
  •  তারা সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চায় : রোজেল
  • জিয়া স্বীয় কীর্তিতে অমর মহানায়ক: কাদের গনি চৌধুরী
  • আপনারা পথ হারালে খুঁজে পাবেন না, সরকারকে টুকু 
  • ১৯৭১ কে ২০২৪–এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা প্রত্যাখ্যান গণতন্ত্র মঞ্চের
  • সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধিতে ব্যর্থ হচ্ছে: তারেক রহমান
  • ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন করা সম্ভব: তারেক রহমান