শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শাখা। এই উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার রাতে দুবাইয়ের মৌরি হোটেলে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন দুবাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী আবুল মনসুর।

প্রধান অতিথি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি দেশের নাগরিকদের বহুদলীয় গণতন্ত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ উপহার দিয়েছিলেন। তার উত্তরসূরি তারেক রহমানও আগামীতে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

দুবাই বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিসের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএই বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম নওয়াব, দুবাই বিএনপির সহ সভাপতি জানে আলম জনি, দুবাই যুবদল সভাপতি ইউনুছ বাচ্চু।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হিরো করিম, লায়ন ওসমান চৌধুরী, আবদুস সাত্তার, ইয়াছিন আরাফাত, আনোয়ার হোসেন, আলাউদ্দিন, আবদুল্লাহ আব্বাস, আবদুল মন্নান ও মোহাম্মদ ইমাম প্রমুখ।

পরে শহীদ জিয়ার আত্মার মাগফিরাত ও দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ য় উর রহম ন ই ব এনপ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

২০২৪ সালের ২৭ অগাস্ট শাহবাগ থানায় দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। 

গত ২৪ জুলাই সকালে ঢাকার ধানমন্ডির বাসা থেকে সাবেক এ প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।  

সম্প্রতি তার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংগঠনটি দাবি করেছে, ‘বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ তিনি।

খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১১ সালের ১৭ মে বয়স অনুযায়ী অবসর গ্রহণ করেন। বিচারপতি হিসেবে তার সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত রায় ছিল সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। ওই রায়ের পর দেশে আর কোনো নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়নি।

বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২০১১ সালে এই রায় ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থি। এরপর থেকে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই সরকারে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই রায়ের মধ্য দিয়েই দেশে একতরফা নির্বাচন ও গণতন্ত্রহীনতার ভিত্তি তৈরি হয়।

২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আইন সংস্কার সংক্রান্ত নানা প্রস্তাব ও গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় আইনি সেমিনার, বক্তৃতা এবং পরামর্শমূলক কাজে অংশ নিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী ও মহলগুলো তাকে ‘সংবিধান রক্ষার সাহসী রূপকার’ হিসেবে অভিহিত করলেও, বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর মতে তিনি ‘বিচার বিভাগের রাজনৈতিকীকরণের পথপ্রদর্শক’। 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বলেছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে তিনি দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন।’

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
  • বিতর্কমুক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব‍্যবস্থা না হলে গণতন্ত্র আবার হুমকিতে পড়বে: এবি পার্টি
  • মানুষ ঠিকমতো ইভিএম বোঝে না, পিআর বুঝবে কী করে: মির্জা ফখরুল
  • স্থানীয় শাসনব্যবস্থায় নাগরিকেরা কোথায়