ঈদের দিনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৩৮
Published: 6th, June 2025 GMT
মুসলিমদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শুক্রবার ঈদ উদ্যাপিত হয়। এই ধর্মীয় উৎসবের দিনেও ফিলিস্তিনের গাজায় দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৩৮ জন।
গাজার জরুরি পরিষেবা বিভাগ ‘সিভিল ডিফেন্সের’ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, সকাল থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর অনেকগুলো হামলায় ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে উত্তর গাজার জাবালিয়ায় এক হামলায় নিহত হয়েছেন ১১ জন।
অবশ্য হাসপাতালগুলোর সূত্রের বরাত দিয়ে সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪২ বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহর পশ্চিম ও উত্তরে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ খবরের মধ্যেই শুক্রবার গাজায় সব ধরনের ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ)’।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল পরিচালিত বিতর্কিত এই ফাউন্ডেশনের দেওয়া ত্রাণ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এখন পর্যন্ত ১১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর এ কথা জানিয়েছে।
এদিকে এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় কোরবানির ঈদ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মধ্যে কেটেছে গাজার বাসিন্দাদের। ঈদের দিন যুদ্ধে নিহত শিশুদের কবরে গিয়ে মায়েদের আহাজারি করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনগাজায় ঈদ কেবলই স্মৃতি১১ ঘণ্টা আগেশিশুকন্যার কবরের পাশে বসে কাঁদছিলেন উম্মে আহমদ আউয়িদা। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমরা টানা দ্বিতীয় ঈদুল আজহা উদ্যাপন করছি বোমা, বিমান হামলা, মৃত্যু, অবরোধ ও ক্ষুধার মধ্য দিয়ে তথা মানুষের ওপর চালানো সব ধরনের নির্যাতনের মধ্যে।’
উম্মে আহমদ আউয়িদা বলেন, ‘আমরা আমাদের সন্তানদের সঙ্গে অনেক কিছু ত্যাগ করেছি, আমরা আমাদের ঘরবাড়ি ও নিজেদের হারিয়েছি, আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
টোকিওতে জমেছে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
টোকিওর হিবিয়া পার্ক ঘিরে শরতের নরম আলো আর ঠান্ডা বাতাস। গাছের পাতায় পাল্টাচ্ছে রং। এমন পরিবেশে জমে গেছে ৩৮তম টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। বিশ্বের নানা প্রান্তের চলচ্চিত্রপ্রেমী, নির্মাতা, তারকা আর সমালোচকেরা একত্র হয়েছেন জাপানের এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজনকে ঘিরে। লালগালিচা থেকে সিনেমা হল, মাস্টারক্লাস থেকে টিফ লাউঞ্জ—সবখানেই এখন শুধু চলচ্চিত্রেরই জয়গান।
উৎসবের শুরু
২৭ অক্টোবর, সোমবার সন্ধ্যায় হিবিয়ার ঐতিহ্যবাহী তাকারাযুকা থিয়েটারে উৎসবের পর্দা ওঠে জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। ১৬২ মিটার দীর্ঘ লালগালিচা ধরে হেঁটে যান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। লালগালিচায় ছিলেন অস্কারজয়ী পরিচালক পল শ্রেডার, বিখ্যাত ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ, মালয়েশীয় নির্মাতা চং কিট আউন, কোরিয়ান–চীনা পরিচালক ঝাং লু, স্বনামধন্য চিত্রগ্রাহক ক্রিস্টোফার ডয়েল ও আজারবাইজানি নির্মাতা হিলাল বাইদারোভ। জাপানি চলচ্চিত্রাঙ্গনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অভিনেত্রী তাকিউচি কুমি, পরিচালক ফুকাদা কোজি, নাকাগাওয়া রিউতারো, সাইতো কিয়োকো ও আরও অনেকে।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরি সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন ইতালীয় চলচ্চিত্র সমালোচক কার্লো চ্যাট্রিয়ান। তাঁর সহ-জুরি দলে রয়েছেন তাইওয়ানের অভিনেত্রী গিওয়েই লুন-মেই, ফরাসি সম্পাদক ম্যাথিউ ল্যাক্লাউ, জাপানি অভিনেতা ও নির্মাতা সাইতোহ তাকুমি এবং চীনা প্রযোজক ভিভিয়ান কু।
বাঁ দিক থেকে পরিচালক সাকামোতো জুনজি, টিফ চেয়ারম্যান আন্দো হিরোইয়াসু, পুরস্কার হাতে অভিনেত্রী ইয়োশিনাগা সায়ুরি, জুরি সভাপতি কার্লো চ্যাট্রিয়ান এবং অভিনেত্রী নন