টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় আমার দাদুর বাড়ি, নানুর বাড়ি। ছোটবেলায় দাদুবাড়ি- নানুবাড়ি দুই বাড়িতে ঈদ করেছি।
আবার কখনও কখনও সখিপুরেও ঈদ করা হতো। সখিপুর হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার একটি উপজেলা শহর। আমার বাবা চাকরি করতেন সখিপুরে। বাবার চাকরির সুবাদে আমরা সখিপুরে থাকতাম। কোনো কোনো ঈদে দেখা যেত যে দাদুবাড়ি-নানুবাড়ি যাওয়া হচ্ছে না। তখন সখিপুরেই থাকতাম।
আমার স্কুলজীবনটা সখিপুরেই কেটেছে। তো ওখানে কখনও কখনও কোরবানির ঈদ করা হতো। যখন দাদুর বাড়ি, নানুর বাড়িতে ঈদে যেতাম তখন সব কাজিনরা মিলে জামা জুতা পরে পাড়া প্রতিবেশিদের বাড়িতে ঘুরতে যেতাম। আর যখন সখিপুরে থাকতাম তখন ঈদের দিন স্কুলের বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হতাম। সরল আনন্দময় ছিলো সে সময়ের ঈদ।
আরো পড়ুন:
শাকিব-চঞ্চল-মোশাররফ-শুভর চতুর্মুখী লড়াই, থাকছে রাজ-আদরও
ঈদের দিন ছোট পর্দার নাটক-টেলিফিল্ম
ঈদের দিন মা নানা রকম খাবার রান্না করতেন। মায়ের হাতের সব রান্নাই আমার পছন্দের। তবে টাঙ্গাইলের মানুষ একটু ঝাল-ঝাল গরুর গোশত পছন্দ করে। সেটার সাথে পোলাও সেটার সাথে পোলাও, খিচুরি আমার পছন্দ। আমার মায়ের হাতে তৈরি করা যেকোন খাবার আমার ভীষণ পছন্দের।
অনুলিখন: স্বরলিপি
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন।
তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে।
কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”
জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।
জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”
ঢাকা/রুমন/এস