ডিএনসিসি: ১৩১৭৪ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ
Published: 8th, June 2025 GMT
কোরবানি ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় মোট ১৩১৭৪ মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
রবিবার (৮ জুন) ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই পুরো নগরীকে বর্জ্যমুক্ত রাখার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঈদের দিন দুপুর থেকেই ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়।
আরো পড়ুন:
কোরবানির ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: ডিএনসিসি প্রশাসক
দুই সিটিতেই আজ রাতের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ: আসিফ
ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো.
তিনি আরো বলেন, “নাগরিকদের সহযোগিতাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিচ্ছেন এবং সময়মতো বর্জ্য জমা করছেন। এভাবে সবাই সচেতন থাকলে পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়া সম্ভব।”
উল্লেখ্য, কোরবানির পশু জবাইয়ের পর প্রতিবারই নগরীতে বিশৃঙ্খল বর্জ্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি দুই সিটি করপোরেশনই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বর্জ্য অপসারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স র প ক রব ন র
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। দলটি মনে করে, শুধু সময়সূচি নির্ধারণ যথেষ্ট নয়। একটি কার্যকর, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে এখনই প্রয়োজন সর্বাত্মক প্রস্তুতি, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও ন্যায্য পরিবেশের বাস্তব নিশ্চয়তা।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন জাতীয় নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দেন। এর প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমাকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ এবং মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যাশিত বার্তা উপস্থাপন করেছেন। আমাদের মতে, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হলে ভালো হত। তবুও আমরা সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। তবে শুধু তারিখ ঘোষণা করলেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত হয় না। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো নির্বাচনী পরিবেশকে পেশিশক্তিমুক্ত, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং সবার জন্য সমান সুযোগসম্পন্ন করে তোলা।’
বিবৃতিতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের যে অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উচ্চারিত হয়েছে, তা বাস্তবায়নের একমাত্র পথ হলো জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা বজায় রাখা; নির্বাচন কমিশনের সাহসী ও স্বাধীন ভূমিকা এবং গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের অবাধ পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করা।
এতে বলা হয়, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে তিনটি মৌলিক শর্ত পূরণ অপরিহার্য। সেগুলো হলো নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো, ভোটাধিকার প্রয়োগে নিরাপদ ও সহনীয় পরিবেশ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, একটি অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ নির্বাচনই পারে দেশে গণতান্ত্রিক ধারার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সদিচ্ছাকে বাস্তব রূপ দিতে হলে ফ্যাসিবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রমে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ের অগ্রগতি দরকার। এ ছাড়া চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়াকে বেগবান ও কার্যকর করা এবং ‘জুলাই সনদ’ যথাসময়ে প্রকাশ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে নিয়মিত ও অর্থবহ সংলাপের ধারা চালু রাখতে হবে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করতে হবে।