কোরবানি ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় মোট ১৩১৭৪ মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

রবিবার (৮ জুন) ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই পুরো নগরীকে বর্জ্যমুক্ত রাখার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঈদের দিন দুপুর থেকেই ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হয়।

আরো পড়ুন:

কোরবানির ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: ডিএনসিসি প্রশাসক

দুই সিটিতেই আজ রাতের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ: আসিফ

ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো.

আনিসুর রহমান বলেন, “আমরা সকাল, দুপুর ও রাত মিলিয়ে তিন ধাপে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত আমাদের আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে মোট ১৩১৭৪ মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য পাঠানো হয়েছে। এজন্য মোট ২৫৮০টি ট্রিপ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা পুরো নগরীকে বর্জ্যমুক্ত করতে পারব।”

তিনি আরো বলেন, “নাগরিকদের সহযোগিতাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিচ্ছেন এবং সময়মতো বর্জ্য জমা করছেন। এভাবে সবাই সচেতন থাকলে পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়া সম্ভব।”

উল্লেখ্য, কোরবানির পশু জবাইয়ের পর প্রতিবারই নগরীতে বিশৃঙ্খল বর্জ্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি দুই সিটি করপোরেশনই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বর্জ্য অপসারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এনস স র প ক রব ন র

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন