দেখে নিন রোনালদোর ট্রফি কেবিনেটে চ্যাম্পিয়নস লিগ-ইউরোসহ আরও যা আছে
Published: 9th, June 2025 GMT
২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চোখের জলে বিদায়ের পর অনেকেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শেষ ধরে নিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, জাতীয় দলের হয়ে রোনালদোর যাত্রাটা বোধ হয় অতটুকুই। কিন্তু গতানুগতিক ধারণার বিপরীতে দাঁড়াবেন বলেই তো তিনি রোনালদো।
ফলে বিদায় বলার পরিবর্তে রোনালদো আবার ফিরলেন পর্তুগালের জার্সিতে। শুধু ফিরলেনই না, পর্তুগালের হয়ে জিতলেন নিজের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ট্রফিও। গতকাল রাতে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে জেতা নেশনস লিগের ট্রফিটা আবার রোনালদোর ক্যারিয়ারের ৩৫তম ট্রফিও বটে।
পর্তুগালের হয়ে নেশনস লিগ জয়ের পথে এবারের আসরে ৯ ম্যাচে ৮ গোল করেছেন রোনালদো। প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল পেয়েছেন তিনি। নেশনস লিগ জয়ের পর রোনালদোর চোখ এখন ২০২৬ বিশ্বকাপের দিকে। এক বছর পর শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টেও জাতীয় দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চান ‘সিআর সেভেন’। যেখানে তিনি দেশের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফিটিও উঁচিয়ে ধরতে চান।
বিশ্বকাপ অধরা থাকলেও ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে অবশ্য ৩৫টি ট্রফি জিতেছেন রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকার ট্রফি কেবিনেটে জাতীয় দলের হয়ে ইউরো ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ অসংখ্য নামীদামি ট্রফি রয়েছে। সেই ট্রফিগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
পর্তুগাল—৩টিনেশনস লিগ (২)—২০১৮-২০১৯, ২০২৪-২০২৫
ইউরো (১)—২০১৬
রিয়াল মাদ্রিদ—১৬টিচ্যাম্পিয়নস লিগ (৪)—২০১৩-১৪, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭,২০১৭-১৮
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ (৩)—২০১৪, ২০১৬, ২০১৭
উয়েফা সুপার কাপ (৩)—২০১৪, ২০১৬, ২০১৭
লা লিগা (২)—২০১১-১২, ২০১৬-১৭
কোপা দেল রে (২)—২০১০-১১, ২০১৩-১৪
স্প্যানিশ সুপার কাপ (২)—২০১২, ২০১৭
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড—৯টিপ্রিমিয়ার লিগ (৩)—২০০৬-০৭, ২০০৭-০৮, ২০০৮-০৯
লিগ কাপ (২)—২০০৫-০৬, ২০০৮-০৯
চ্যাম্পিয়নস লিগ (১)—২০০৭-০৮
এফএ কাপ (১)—২০০৩-০৪
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ (১)—২০০৮
কমিউনিটি শিল্ড (১)—২০০৭
জুভেন্টাস—৫টিসিরি ‘আ’ (২)—২০১৮-১৯, ২০১৯-২০
ইতালিয়ান সুপার কাপ (২)—২০১৮, ২০২০
ইতালিয়ান কাপ (১)—২০২০-২১
স্পোর্টিং লিসবন—১টিপর্তুগিজ সুপার কাপ (১)—২০০২
আল নাসর—১টিআরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপ (১)—২০২৩
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ন শনস ল গ পর ত গ ল ব শ বক প ফ ইন ল ল র হয়
এছাড়াও পড়ুন:
বিচারিক পদ সৃষ্টিতে কমিটি গঠনের বিধান রেখে জুডিশিয়াল সার্ভিস গঠন বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি
জুডিশিয়াল সার্ভিসে পদ সৃষ্টিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির সভাপতিত্বে পদ সৃজন কমিটি গঠিত হবে, এমন বিধান রেখে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস গঠন বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে সোমবার রাতে ‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস গঠন বিধিমালা, ২০২৫’ শিরোনামে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিধিমালার ৫ বিধিতে সার্ভিসের পদ সৃজন বিষয়ে বলা হয়েছে। ৫(১) উপবিধি অনুসারে, বিচারিক পদ সৃজনের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠ বিচারপতির সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন, হাইকোর্ট বিভাগের দুজন বিচারপতি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব/সিনিয়র সচিবদের সমন্বয়ে বিচারিক পদ সৃজন কমিটি গঠিত হবে। ওই পদ সৃজনের ক্ষেত্রে কমিটির সুপারিশ চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
৫(২) উপবিধিতে বলা হয়েছে, সার্ভিসের পদ সৃজনের ক্ষেত্রে বিচারিক পদ সৃজনের ক্ষেত্রে বিচারিক পদ সৃজন কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে আইন ও বিচার বিভাগ রাষ্ট্রপতির কাছে সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করবে এবং অনুমোদিত সারসংক্ষেপ অনুযায়ী চূড়ান্ত আদেশ জারি করবে।
এর আগে ২০০৭ সালের ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (সার্ভিস গঠন, সার্ভিস পদে নিয়োগ এবং সাময়িক বরখাস্তকরণ, বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়।
‘বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস গঠন বিধিমালা, ২০২৫’ শিরোনামে সোমবার রাতে জারি করা প্রজ্ঞাপনের ৩ বিধিতে সার্ভিস গঠন বিষয়ে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (সার্ভিস গঠন, সার্ভিস পদে নিয়োগ এবং সাময়িক বরখাস্তকরণ, বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৭–এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এই বিধিমালার অধীন গঠিত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারিক পদ সৃজনের ক্ষেত্রে কমিটি গঠন বিধিমালাটির অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি দিক। অধস্তন আদালতের বিচারিক পদ সৃজনের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক যে জটিলতা ছিল, তা এই বিধিমালার মাধ্যমে দূর হবে বলে মনে করি। জুডিশিয়াল সার্ভিস গঠন বিধিমালা ২০২৫ বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’