২০২২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চোখের জলে বিদায়ের পর অনেকেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শেষ ধরে নিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, জাতীয় দলের হয়ে রোনালদোর যাত্রাটা বোধ হয় অতটুকুই। কিন্তু গতানুগতিক ধারণার বিপরীতে দাঁড়াবেন বলেই তো তিনি রোনালদো।

ফলে বিদায় বলার পরিবর্তে রোনালদো আবার ফিরলেন পর্তুগালের জার্সিতে। শুধু ফিরলেনই না, পর্তুগালের হয়ে জিতলেন নিজের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ট্রফিও। গতকাল রাতে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে জেতা নেশনস লিগের ট্রফিটা আবার রোনালদোর ক্যারিয়ারের ৩৫তম ট্রফিও বটে।

পর্তুগালের হয়ে নেশনস লিগ জয়ের পথে এবারের আসরে ৯ ম্যাচে ৮ গোল করেছেন রোনালদো। প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল পেয়েছেন তিনি। নেশনস লিগ জয়ের পর রোনালদোর চোখ এখন ২০২৬ বিশ্বকাপের দিকে। এক বছর পর শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টেও জাতীয় দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চান ‘সিআর সেভেন’। যেখানে তিনি দেশের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফিটিও উঁচিয়ে ধরতে চান।

বিশ্বকাপ অধরা থাকলেও ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে অবশ্য ৩৫টি ট্রফি জিতেছেন রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকার ট্রফি কেবিনেটে জাতীয় দলের হয়ে ইউরো ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগসহ অসংখ্য নামীদামি ট্রফি রয়েছে। সেই ট্রফিগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

পর্তুগাল—৩টি

নেশনস লিগ (২)—২০১৮-২০১৯, ২০২৪-২০২৫

ইউরো (১)—২০১৬

রিয়াল মাদ্রিদ—১৬টি

চ্যাম্পিয়নস লিগ (৪)—২০১৩-১৪, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭,২০১৭-১৮

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ (৩)—২০১৪, ২০১৬, ২০১৭

উয়েফা সুপার কাপ (৩)—২০১৪, ২০১৬, ২০১৭

লা লিগা (২)—২০১১-১২, ২০১৬-১৭

কোপা দেল রে (২)—২০১০-১১, ২০১৩-১৪

স্প্যানিশ সুপার কাপ (২)—২০১২, ২০১৭

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড—৯টি

প্রিমিয়ার লিগ (৩)—২০০৬-০৭, ২০০৭-০৮, ২০০৮-০৯

লিগ কাপ (২)—২০০৫-০৬, ২০০৮-০৯

চ্যাম্পিয়নস লিগ (১)—২০০৭-০৮

এফএ কাপ (১)—২০০৩-০৪

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ (১)—২০০৮

কমিউনিটি শিল্ড (১)—২০০৭

জুভেন্টাস—৫টি

সিরি ‘আ’ (২)—২০১৮-১৯, ২০১৯-২০

ইতালিয়ান সুপার কাপ (২)—২০১৮, ২০২০

ইতালিয়ান কাপ (১)—২০২০-২১

স্পোর্টিং লিসবন—১টি

পর্তুগিজ সুপার কাপ (১)—২০০২

আল নাসর—১টি

আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়নস কাপ (১)—২০২৩

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নস ল গ ন শনস ল গ পর ত গ ল ব শ বক প ফ ইন ল ল র হয়

এছাড়াও পড়ুন:

এককালের প্রেম যখন উপেক্ষিত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পুরনো বন্ধু কিম জং উনের সাথে সাম্প্রতিক এশিয়া সফরে হঠাৎ করেই আলোচনার আশা করেছিলেন। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এ ব্যাপারে কোনো সাড়া দেননি। 

ট্রাম্প তার এশিয়া সফরের সময় কিমকে বারবার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছিলেন,  তিনি বৈঠকের জন্য শতভাগ উন্মুক্ত। এমনকি ট্রাম্প কয়েক দশক ধরে মার্কিন নীতির বিপক্ষে গিয়ে স্বীকার করেছেন যে উত্তর কোরিয়া ‘এক ধরণের পারমাণবিক শক্তিধর।’

কিন্তু পিয়ংইয়ং আমন্ত্রণে চুপ ছিল। এর পরিবর্তে তারা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে এবং রাশিয়া ও বেলারুশে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছে, যাদের সাথে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়া সেন্টারের একজন ভিজিটিং স্কলার সিওং-হিওন লি বলেন, “নিষ্ঠুর বাস্তবতা হল যে কিম জং উনের অংশগ্রহণের কোনো উৎসাহ ছিল না। ওয়াশিংটনের বিশ্বাস করা যে তিনি আসবেন, এটি একটি মৌলিক ভুল হিসাব ছিল।”

লি জানান, ট্রাম্পের বারবার প্রস্তাব উত্তর কোরিয়ার নেতার জন্য একটি ‘বিজয়’ হিসেবে দেখা যায়, যা তাকে এবং তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে বিশাল মাত্রার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রদান করে।

তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিমকে একটি বিশাল, অপ্রাপ্ত ছাড় দিয়েছেন।”

২০১৯ সালে শেষবারের মতো ডিমিলিটারাইজড জোনের (ডিএমজেড) পানমুনজমে দেখা করেছিলেন ট্রাম্প ও কিম জং উন। ট্রাম্পের নেতৃত্বে পিয়ংইয়ংয়ের সাথে সেই বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়।

তারপর থেকে উত্তর কোরিয়া নিজেকে একটি‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে এবং রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মস্কোকে সমর্থন করার জন্য সেনা পাঠিয়েছে।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর সাবেক বিশ্লেষক সু কিম এএফপিকে বলেছেন, কিম এখন ‘বেশ স্বাচ্ছ্যন্দের জায়গায়’ আছেন।

তিনি বলেন, “রাশিয়ার সমর্থন সম্ভবত আজকাল উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত হাতকে শক্তিশালী এবং দৃঢ় করার সবচেয়ে নির্ধারক কারণগুলোর মধ্যে একটি। তিনিই (উন) সর্বোচ্চ ক্ষমতা ধরে রেখেছেন, যার ফলে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো তার পক্ষে সহজ হয়ে যায়।”

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাড়ি ফিরে চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকের সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তিনি কিমের সাথে দেখা করার জন্য খুব ‘ব্যস্ত’ ছিলেন।

দৃশ্যটি ২০১৯ সালের থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল, যখন ভিয়েতনামের হ্যানয়ে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার আলোচনা নাটকীয়ভাবে ভেঙে পড়েছিল - কিমকে কোনো চুক্তি ছাড়াই পিয়ংইয়ং ফিরে যাওয়ার জন্য দীর্ঘ ট্রেন যাত্রা সহ্য করতে হয়েছিল।

অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোরিয়ান স্টাডিজের অধ্যাপক ভ্লাদিমির টিখোনভ এএফপিকে বলেছেন, “অভিজ্ঞতা পিয়ংইয়ংকে বেদনাদায়ক করে তুলেছে। তারা খুব তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে যেতে চায় না।” 

তিনি জানান, পিয়ংইয়ং ট্রাম্পের কাছ থেকে আরো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করছে, যার মধ্যে রয়েছে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক স্বীকৃতি এবং পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘হুক্কা’ প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
  • প্রথম কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওয়াশিংটন সফর করবেন শারা
  • সোনার টয়লেট ‘আমেরিকা’ নিলামে উঠছে, সর্বনিম্ন দর কত জানেন
  • আগের ভোটের সবাই বাদ, ‘যোগ্য’ নতুন ডিসি খুঁজে পাচ্ছে না সরকার
  • জুলাই বিরোধিতা: ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’
  • এককালের প্রেম যখন উপেক্ষিত