আহত একজনের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশঙ্কা
Published: 12th, June 2025 GMT
প্রতিপক্ষের ফসলি জমি দখলে নিতে রাতারাতি নির্মাণ করে অস্থায়ী ঘর। পরদিন সকালে ঘর অপসারণ করে জমি দখলমুক্ত করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়। এক পর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনার ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন আ.
ইসলামপুর উপজেলার চরচারিয়া গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, কৃষক জামাল উদ্দিন ও তার বংশীয় অন্তত ৫০টি পরিবার পৈতৃক ৭ একর ২৩ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে প্রায় শত বছর ধরে। সম্প্রতি সাজানো একটি মামলার সূত্র ধরে পুরো জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন একই গ্রামের বাক্কার আলী ও তাঁর লোকজন। এক পর্যায়ে গত ১৯ মে বাক্কার আলীর নেতৃত্বে রাতের আঁধারে শতাধিক লোক ওই জমির এক প্রান্তের ধান কেটে সেখানে কয়েকটি অস্থায়ী টিনের ঘর নির্মাণ করে। এ ছাড়া জমিতে থাকা ৩টি সেচ পাম্প নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরদিন সকালে জমির মালিকরা ক্ষেতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। গত ২৫ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাক্কার আলীর সমর্থক আ. আজিজ মারা গেলে মারামারির মামলা রূপান্তরিত হয় হত্যা মামলায়। গ্রেপ্তার এড়াতে গা-ঢাকা দেন জমির মালিকরা। এ সুযোগে জমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অস্থায়ী ঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি করছেন দখলদাররা। একই সঙ্গে চাষাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে যে কোনো সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জমির মালিকপক্ষের জামাল উদ্দিন জানান, জমির প্রকৃত মালিক তারা। একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর বাপ-দাদারা জমিটি ভোগ করছেন।
এ ব্যাপারে বাক্কার আলী জানান, ওই জমি নিয়ে আদালতে তাদের একটি মামলা চলমান। সেই মামলার সূত্র ধরেই জমিটি দখলে নিয়েছেন তারা।
পলবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কমল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বংশানুক্রমে ওই জমি কৃষক জামাল উদ্দিন ও তাঁর স্বজন ভোগদখল করে আসছেন। হঠাৎ জমিটি নিয়ে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনা দুঃখজনক।’ উভয় পক্ষকে শান্ত থেকে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর।
ইসলামপুর থানার ওসি সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, জমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হতেই একটি পক্ষ জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ হয়। তাঁর ভাষ্য, জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ক ক র আল স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
‘প্রতারক পুরুষ বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে, তবে আল্লাহ সব দেখেন’
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা—দু’জায়গাতেই অভিনয় গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাবনার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো অংশ প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখেও পড়েছেন এই অভিনেত্রী। গতকাল রাতে ভাবনা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে নারীর সঙ্গে পুরুষের বিশ্বাসঘাতকতার একটি চিত্রায়ণ করেছেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
‘খুকুমণির’ বিয়ে
রাজবাড়িতে বসবে মধুমিতার বিয়ের আসর!
এ বিষয়ে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “একজন প্রতারক পুরুষ তার বিশ্বাসঘাতকতা গোপন রাখে। কিন্তু যে নারীকে সে আঘাত করেছে, তাকে রক্ষা করার জন্য আল্লাহ তা প্রকাশ করেন। প্রতিটি মিথ্যা, যা সে পেছনে বলেছে, নীরবে ভাঙা প্রতিটি প্রতিশ্রুতি, কান্নার প্রতিটি মুহূর্ত, অথচ পুরুষটি ভান করেছে সব ঠিক আছে। তবে আল্লাহ সব দেখেন, যা সে দেখতে পায় না।”
কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। এমন তথ্য স্মরণ করে ভাবনা বলেন, “একজন পুরুষ ভাবেন, তার কর্ম ঢাকতে সে যথেষ্ট চতুর। কিন্তু কোনো গোপন বিষয় চিরকাল গোপন থাকে না। তাকে ধ্বংস করার জন্য আল্লাহ সত্য প্রকাশ করেন না। বরং সেই নারীকে জীবনভর কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য এটি করেন।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে আশনা হাবিব ভাবনা বলেন, “বিশ্বাসঘাতকতা হয়তো গোপনে করা হয়। কিন্তু তার প্রকাশ হলো ঐশ্বরিক সুরক্ষা। আল্লাহ যখন পর্দা সরিয়ে দেন, তা শাস্তি নয় বরং এটা উদ্ধার। আমি এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ।”
তবে ভাবনা কেন এ ধরনের একটি পোস্ট নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন, তার পেছনের কারণ জানা যায়নি। কিন্তু তার ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছেন নেটিজেনরা।
ঢাকা/শান্ত