জিমেইল ও গুগল ক্যালেন্ডারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে চ্যাটজিপিটি। নতুন এ সুবিধা চালু হলে জিমেইল ব্যবহারকারীরা চ্যাটজিপিটির সহায়তায় ই–মেইল বিশ্লেষণ, উত্তর তৈরিসহ ক্যালেন্ডারে ইভেন্ট যুক্ত করার মতো কাজ সহজেই সম্পন্ন করতে পারবেন। এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটির নির্বাচিত ব্যবহারকারীরা পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এ সুবিধা ব্যবহার করতে পারছেন।

বর্তমানে চ্যাটজিপিটির ব্যবহারকারীরা ‘ডিপ রিসার্চ’ নামের একটি ফিচারের মাধ্যমে তাঁদের জিমেইল অ্যাকাউন্টের নির্দিষ্ট কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারলেও সরাসরি কোনো ই–মেইল খুলে তা পড়া বা সারাংশ দেখতে পারেন না। এ সমস্যা সমাধানে জিমেইল ও গুগল ক্যালেন্ডারে পরীক্ষামূলকভাবে ইন্টিগ্রেশন সুবিধা চালু করছে চ্যাটজিপিটি।

নতুন সুবিধাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে সহজেই ই–মেইলের সারাংশ দেখার পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী উত্তরও লেখা যাবে। একই সঙ্গে ক্যালেন্ডারে সরাসরি ইভেন্ট তৈরি করে নেওয়ার সুবিধাও মিলবে। এর ফলে জিমেইল ব্যবহারকারীরা তাঁদের দৈনন্দিন কাজ আরও সংগঠিতভাবে সম্পাদন করতে পারবেন।

প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষক টিবো জানিয়েছেন, নতুন এই সুবিধা চ্যাটজিপিটির ‘সার্চ’ ফিচারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারে। কারণ, ওপেনএআইয়ের একাধিক সহায়ক পেজে এ–সংক্রান্ত ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। শিগগিরই এ সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে পারে ওপেনএআই।

সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

খুন-অস্ত্রবাজিতে রয়েছে তিন স্তরের সন্ত্রাসী, নির্দেশ আসে বিদেশ থেকে

এক দল খুন, অস্ত্রবাজির পরিকল্পনা করে। আরেক দল সরাসরি হত্যা–অস্ত্রবাজিতে অংশ নেয়। অন্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকে। তিন ভাগে ভাগ হয়ে চট্টগ্রামে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারীরা। পরিকল্পনা, হামলা ও অস্ত্রবাজির পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হয় তিন ভাগে সাজানো একটি বাহিনীর মাধ্যমে—‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত সন্ত্রাসীদের নিয়ে। বিদেশে বসে নির্দেশনা দেন সাজ্জাদ।

৫০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর বাসায় গুলিতে অংশ নেওয়া ইফতেখার ইবনে ইসহাক নামের এক সন্ত্রাসীকে ৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এসব তথ্য জানতে পারে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে দেশের বাইরে বসেই সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী নিয়ন্ত্রণ করছেন নগর ও জেলার বিস্তৃত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক।

কে এই সাজ্জাদ

চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী মূলত অপরাধজগতে পরিচিত হন ১৯৯৯ সালে কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান খুনের পর। মামলায় সাক্ষ্য না পাওয়ায় খালাস পেলেও নগরের অপরাধজগতে তাঁকে নিয়েই শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়।

২০০০ সালের ১২ জুলাই বহদ্দারহাটে ছাত্রলীগের ছয় নেতা–কর্মীসহ আটজনকে ব্রাশফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত সেই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাজ্জাদ—এ অভিযোগ ওঠে বহুবার। একই বছরের অক্টোবরে একে–৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে জামিনে বেরিয়ে ২০০৪ সালে দেশ ছাড়েন। তার পর থেকেই বিদেশে বসে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন তাঁর বাহিনী। অবশ্য ‘এইট মার্ডার’ মামলা থেকে খালাস পান তিনি।

শুরুতে নুরনবী ম্যাক্সন, সরোয়ার হোসেন, আকবর আলী ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে গড়ে ওঠে এই বাহিনী। ম্যাক্সন ভারতে মারা যান, সরোয়ার দল ছাড়েন। এরপর ২০১৫ সাল থেকে নেতৃত্ব নেন ছোট সাজ্জাদ।

সাজ্জাদ বাহিনীর বর্তমান কার্যক্রম পরিচালিত হয় মোবারক হোসেন ইমন (ওপরে) ও মোহাম্মদ রায়হানের নেতৃত্বে

সম্পর্কিত নিবন্ধ