Samakal:
2025-08-11@22:26:04 GMT

প্রদীপের নিম্নে অন্ধকার

Published: 24th, June 2025 GMT

প্রদীপের নিম্নে অন্ধকার

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) বিভিন্ন আবাসিক ও প্রশাসনিক ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থাকে দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থারই প্রতিচ্ছবি বলিলে অত্যুক্তি হইবে না। মঙ্গলবার প্রকাশিত সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫৫ সালে একমাত্র আবাসিক ছাত্রাবাস শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি হলটি নির্মাণের পর ৭০ বৎসর অতিক্রান্ত। কিন্তু সাড়ে সাত শতাধিক আসনবিশিষ্ট স্থাপনাটির কোনো সংস্কার হয় নাই। ফলস্বরূপ হলটির বিভিন্ন স্তম্ভই শুধু দীর্ণ হয় নাই; ভবনের আচ্ছাদন হইতেও যখন-তখন খসিয়া পড়িতেছে পলেস্তারা। এমনকি সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর ইতোমধ্যে উহার কতিপয় কক্ষকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করিয়াছে। কলেজটিতে অর্ধ সহস্রাধিক ছাত্রীর আবাসনের জন্য ১৯৫০ সালে নির্মিত যেই ডা.

আলীম চৌধুরী হল রহিয়াছে, উহার অবস্থাও তথৈবচ। অন্যদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে তদানীন্তন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবনকে (বর্তমান ঢামেক হাসপাতালের মূল ভবন) অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পরূপে ব্যবহারের পর যুদ্ধ শেষে ১৯৪৬ সালে তথায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। বিভিন্ন সময় ভবনের কিছু অংশ বর্ধিত হইলেও কলেজটির অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় নাই। একদিকে তথাকার শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা হয় নাই, অন্যদিকে হাসপাতাল ভবনেরও উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণ বা উন্নয়নের প্রতি কোনো সরকারের দৃষ্টি পড়ে নাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও তৎসংলগ্ন হাসপাতাল চিকিৎসক গড়িয়া তুলিবার সহিত চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখিলেও প্রতিষ্ঠার পর হইতে অন্তত প্রতিষ্ঠান দুইটির অবকাঠামো খাত বরাবরই অবহেলিত। ইহা ‘প্রদীপের নিম্নে অন্ধকার’ বাগ্‌ধারার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। 

আমরা জানি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর এই ভূখণ্ড পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙিয়া দুই দফা স্বাধীন হইয়াছে; স্বাধীন দেশে অনেক সরকার দায়িত্ব গ্রহণ ও সমাপন করিয়া যথানিয়ম-অনিয়মে বিদায়ও লইয়াছে; কিন্তু দেশের স্বাস্থ্য খাতের বৃহত্তম প্রদীপটির নিম্নের অন্ধকার দূর হয় নাই। এইরূপ নহে যে, উক্ত সময়ে দেশে কোনো উন্নয়ন হয় নাই। বৃহৎ সময়ে জাতীয় বাৎসরিক বাজেট, তৎসহিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যদ্রূপ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাইয়াছে, তদ্রূপ উহার সহিত পাল্লা দিয়া রাজধানী তো বটেই, দেশের বিভিন্ন শহরেও সরকারি-বেসরকারি খাতে অসংখ্য সুরম্য অট্টালিকা গড়িয়া উঠিয়াছে। সড়ক-সেতুও কম নির্মিত হয় নাই। তবে ইহাও স্বীকার করিতে হইবে, ঐ সকল জাতীয় বাজেটে বিশেষত শিক্ষা-স্বাস্থ্যের ন্যায় নিবিড়ভাবে জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট খাতগুলি প্রত্যাশিত মনোযোগ পায় নাই। যেই কারণে অদ্যাবধি দেশে মানসম্মত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়িয়া উঠে নাই। ফলে দেশের অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষাকেন্দ্র ও স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র হইলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জরাজীর্ণ অবস্থা বিস্মিত না করিয়া পারে না। 

স্বীকার্য, সর্বশেষ ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিত মিলাইয়া ঢামেকের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত দিয়াছিলেন তৎকালীন সরকারপ্রধান। কিন্তু সরকারের আর্থিক সংকটের কথা বলিয়া প্রকল্পগুলিকে হিমাগারে প্রেরণ করা হয়। এমনকি প্রবল ঝুঁকি থাকিবার পরও অন্তত হলগুলির সংস্কারের উদ্যোগ গৃহীত হয় নাই। উক্ত সময়ে অন্য সকল খাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে কত লক্ষ কোটি টাকার অপচয় হইয়াছে! এমনকি স্বাস্থ্য খাতে নানা অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিতভাবে যন্ত্রপাতি ক্রয় করিতে গিয়া কত শত-সহস্র কোটি টাকা জলে গিয়াছে। অথচ অর্থের টান পড়িয়াছে ঢামেকের শিক্ষার্থী এবং চিকিৎসাপ্রত্যাশী ও চিকিৎসাদানকারীর জন্য নিরাপদ আবাসন বা ভবন নির্মাণ করিতে গিয়া?
যুগ যুগের এহেন অবহেলা ও বঞ্চনার অবসান ঘটাইতেই ঢামেক শিক্ষার্থীরা গত দুই সপ্তাহ যাবৎ আন্দোলন করিয়া যাইতেছেন। আমরা ইতোমধ্যে এই সম্পাদকীয় স্তম্ভে তাহাদের ন্যায়সংগত আন্দোলনে সমর্থন দিয়াছি। এই আন্দোলনের কারণে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রহিয়াছে। ইহাতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের যতটুকু ক্ষতি হইতেছে; জাতীয় ক্ষতি তদপেক্ষা কম নহে। তাই সরকারের নীতিনির্ধারকগণ অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন, ইহাই আমাদের প্রত্যাশা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ সরক র র হয় ন ই ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

সহানুভূতি: একটি ভুলে যাওয়া সুন্নাহ

সহানুভূতি একটি শক্তিশালী মানবিক গুণ, যা আমাদেরকে অন্যের দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের আবেগ ও অনুভূতি বুঝতে সাহায্য করে। তাদের দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ বা ভয়ের মতো অনুভূতিগুলো নিজের মধ্যে অনুভব করা যায়।

সহানুভূতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ, যা রাসুল (সা.) তাঁর জীবনে বারবার প্রদর্শন করেছেন। সহানুভূতি অনুশীলনের পাঁচটি ধাপ নিয়ে আমরা আলোচনা করব, যা আমাদের জীবনে এই ভুলে যাওয়া সুন্নাহ পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করবে আশা করা যায়।

সহানুভূতি মানে অন্যের অনুভূতি নিজের মধ্যে অনুভব করা এবং তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বোঝা।সহানুভূতি ও সমবেদনার পার্থক্য

সহানুভূতি (এমপ্যাথি) ও সমবেদনা (সিমপ্যাথি) প্রায়ই একই মনে হলেও এদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। সমবেদনা হলো অন্যের জন্য উদ্বিগ্ন বোধ করা বা তাদের দুঃখে দুঃখিত হওয়া। কেউ অসুস্থ হলে তার জন্য দুঃখবোধ করা সমবেদনা। কিন্তু সহানুভূতি এর চেয়ে গভীর।

সহানুভূতি মানে অন্যের অনুভূতি নিজের মধ্যে অনুভব করা এবং তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বোঝা। যেমন, একজন মা তার সন্তানের পড়ে যাওয়ার ব্যথা কেবল বুঝেন না, বরং নিজেও সেই ব্যথা অনুভব করেন। এই পার্থক্য বোঝা সহানুভূতির প্রকৃতি উপলব্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুনকীভাবে মহানবী (সা.)-কে ভালোবাসব২৭ এপ্রিল ২০২৫সহানুভূতির প্রকারভেদ

সহানুভূতির তিনটি প্রধান ধরন রয়েছে, যা এই গুণটির বিভিন্ন দিক বুঝতে সাহায্য করে।

১. জ্ঞানগত সহানুভূতি

জ্ঞানগত সহানুভূতি হলো অন্যের পরিস্থিতিতে নিজেকে কল্পনা করা এবং তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা। একজন শিক্ষক যখন দেখেন তার ছাত্র পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমশিম খাচ্ছে, তিনি ছাত্রের স্থানে নিজেকে কল্পনা করে প্রশ্নপত্রের কাঠিন্য অনুভব করেন। এই ধরনের সহানুভূতি মানুষকে অন্যের অবস্থান বুঝতে এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।

২. আবেগগত সহানুভূতি

আবেগগত সহানুভূতি হলো অন্যের আবেগ নিজের মধ্যে অনুভব করা। এটি দুঃখ, আনন্দ, ভয় বা রাগের মতো অনুভূতিগুলো নিজে অনুভব করে তাদের তীব্রতা বোঝা। যেমন, একজন মা যখন তার সন্তানের পড়ে যাওয়ার ব্যথা দেখেন, তিনি কেবল ব্যথার কথা চিন্তা করেন না, বরং সেই ব্যথা নিজের মধ্যে অনুভব করেন। এই ধরনের সহানুভূতি মানুষের মধ্যে গভীর সংযোগ তৈরি করে।

তোমাদের কাছে এসেছেন তোমাদেরই মধ্য থেকে একজন রাসুল, যিনি তোমাদের কষ্টে কষ্ট পান, তোমাদের কল্যাণে আগ্রহী এবং মুমিনদের প্রতি দয়ালু ও করুণাময়।সুরা তাওবা, আয়াত: ১২৮

৩. নবীজির সহানুভূতি

মহানবী (সা.)-এর জীবন সহানুভূতির সর্বোচ্চ উদাহরণ। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমাদের কাছে এসেছেন তোমাদেরই মধ্য থেকে একজন রাসুল, যিনি তোমাদের কষ্টে কষ্ট পান, তোমাদের কল্যাণে আগ্রহী এবং মুমিনদের প্রতি দয়ালু ও করুণাময়। ” (সুরা তাওবা, আয়াত: ১২৮)

রাসুল (সা.) কেবল মুসলিমদের জন্য নয়, এমনকি অমুসলিমদের জন্যও উদ্বিগ্ন ছিলেন।

রাসুল (সা.)-এর জীবন থেকে সহানুভূতির উদাহরণ

তাঁর জীবন সহানুভূতির অসংখ্য উদাহরণে ভরপুর। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা তুলে ধরা হলো:

১. ইকরিমা ইবন আবু জাহলের প্রতি সহানুভূতি

ইকরিমার পিতা আবু জাহল ছিলেন ইসলামের কট্টর শত্রু। বদরের যুদ্ধে তিনি নিহত হন। এই সংবাদে ইকরিমা গভীরভাবে মর্মাহত হন এবং মক্কায় রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। রাসুল (সা.) সাহাবীদের নির্দেশ দেন যেন তারা ইকরিমার পিতাকে ‘আবু জাহল’ (অজ্ঞতার পিতা) বলে না ডাকে, কারণ এটি ইকরিমার অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। (ইবনে হিশাম, আস–সিরাত আন–নাবাবিয়্যা, ৪/৩২)

এমনকি ইকরিমা ইসলাম গ্রহণ করলেও তিনি তার পিতার প্রতি তার সন্তানসুলভ ভালোবাসার প্রতি সম্মান দেখিয়েছিলেন। এটি সহানুভূতির একটি অসাধারণ উদাহরণ, যা দেখায় কীভাবে একজন নেতা শত্রুর সন্তানের প্রতিও সংবেদনশীল হতে পারেন।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.)-এর প্রথম ক্রন্দন১১ জুন ২০২৫

২. বিশর ইবনে উকবার প্রতি সান্ত্বনা

একটি সামরিক অভিযানে মদিনার একজন সাহাবী উকবা (রা.) শহীদ হন। অভিযান থেকে ফিরে আসা সাহাবীদের স্বাগত জানাতে রাসুল (সা.) মদিনার বাইরে যান। ছোট্ট বিশর তার পিতার জন্য অপেক্ষা করছিল, কিন্তু তার পিতাকে না দেখে সে বুঝতে পারে তার পিতা আর নেই। সে কাঁদতে থাকে। রাসুল তাকে দেখে তাঁর বাহন থেকে নেমে তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, “কেঁদো না। তুমি চাইলে আমি তোমার বাবা হবো এবং আয়েশা হবে তোমার মা।” (ইমাম বুখারি, আত–তারিখ আল–কাবির, ২/৭৮; আলবানি, আস–সিলিসলাহ আস–সাহিহাহ, ৭/৭৫৪)

এই ঘটনা রাসুল (সা.)-এর গভীর সহানুভূতির প্রমাণ, যেখানে তিনি একটি শিশুর দুঃখ নিজের মধ্যে অনুভব করে তাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।

এ ছাড়াও হাদিসে আছে, তিনি শিশুর কান্না শুনে জামাতের নামাজ সংক্ষিপ্ত করতেন, যাতে মা অস্থির না হন (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৭৮) এবং একজন বেদুইন মসজিদে প্রস্রাব করলে তিনি তাকে শাসন না করে শান্তভাবে বুঝিয়েছিলেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৮৫)

এই ঘটনাগুলো দেখায় যে রাসুল (সা.) কেবল তাঁর অনুসারীদের জন্য নয়, শত্রু, শিশু, এমনকি অমুসলিমদের প্রতিও গভীর সহানুভূতি প্রদর্শন করেছেন।

কেঁদো না। তুমি চাইলে আমি তোমার বাবা হবো এবং আয়েশা হবে তোমার মা।হাদিস, ইমাম বুখারি, আত–তারিখ আল–কাবির, ২/৭৮সহানুভূতি অনুশীলনের পাঁচটি ধাপ

সহানুভূতি অনুশীলনের জন্য পাঁচটি ব্যবহারিক ধাপ রয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই সুন্নাহকে প্রয়োগ করতে সাহায্য করতে পারে:

১. শোনা: কেউ যখন কিছু বলছে, তখন মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত। এটি সহানুভূতির প্রথম ধাপ, যেখানে আমরা অন্যের কথা পুরোপুরি বোঝার চেষ্টা করি।

২. বিচার না করা: শোনার সময় বিচার করা সহানুভূতির বিপরীত। আমাদের উচিত সাহায্য করার মনোভাব নিয়ে শোনা, বিচার করার জন্য নয়।

৩. বোঝা: অন্যের পরিস্থিতি এবং আবেগ বোঝার জন্য বিচক্ষণতার প্রয়োজন। এটি জ্ঞানগত সহানুভূতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৪. কল্পনা করা: নিজেকে অন্যের জায়গায় কল্পনা করে তাদের আবেগ অনুভব করা। এটি আবেগগত সহানুভূতির মূল।

৫. প্রতিক্রিয়া জানানো: সহানুভূতিশীল প্রতিক্রিয়া মানে অন্যের সমস্যার প্রতি উপযুক্তভাবে সাড়া দেওয়া, এমনকি সমাধান দিতে না পারলেও। এটি মানুষের মধ্যে আস্থা ও সংযোগ তৈরি করে।

সহানুভূতির সীমাবদ্ধতা

মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত সহানুভূতি কখনো কখনো ক্ষতিকর হতে পারে। রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন যে মানুষকে খুশি করার আগে আল্লাহকে খুশি করা উচিত। এটা মনে রাখলে সহানুভূতি আমাদের একটি স্বাস্থ্যকর সীমার মধ্যে রাখবে। হাদিসে বলা হয়েছে, “তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল, এবং তোমাদের প্রত্যেককে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৮৯৩)

তাই সহানুভূতি প্রকাশের পাশাপাশি আমাদের দায়িত্ব পালনেও ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুনমহান আল্লাহর হাসি১১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চ্যাটজিপিটির স্বাস্থ্য পরামর্শ মানতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে
  • তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সাফল্যের ২৫ গল্প নিয়ে বই ‘সুখবর বাংলাদেশ’
  • সহানুভূতি: একটি ভুলে যাওয়া সুন্নাহ