ঈদুল আজহায় অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ ও তানিম নূরের সিনেমা ‘উৎসব’–এ অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। কাজের প্রসঙ্গ ও সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলতে গত বুধবার তিনি এসেছিলেন তারকাদের নিয়ে প্রথম আলোর নিয়মিত আয়োজন মেরিল ক্যাফে লাইভে। এদিন অনুষ্ঠান শুরুর আগে প্রথম আলোর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তাঁর কাছে প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয় দর্শকদের। যেখানে প্রশ্ন করেছেন দেশের নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার থেকে শুরু করে সাধারণ দর্শক। কেউ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে, আবার কেউ চেয়েছেন জটিল গাণিতিক হিসাব। হাস্যরসাত্মক এসব প্রশ্ন হয়েছে ভাইরাল। জেনে নেওয়া যাক, কে কি প্রশ্ন করেছেন।

চিত্রনাট্যকার নাজিম উদ দৌলা লিখেছেন ‘পৃথিবীর ৩০ শতাংশ স্থল আর ৭০ শতাংশ পানি। স্থল অংশটুকুর নিচেও পাতাল পানি আছে। তার মানে বলা যায়, পৃথিবীর স্থলভাগের সবকিছুই পানির ওপর ভাসমান। তাহলে আমরা কি আসলেই মানুষ নাকি স্থলের ওপর ভাসমান একপ্রকার মাছ?’
নির্মাতা রেদওয়ান রনি লিখেছেন, ‘আচ্ছা! আমার একটি প্রশ্ন আছে? নির্ভয়ে করতে পারি? সত্যি করে বলুন, আপনি কবে বিয়ে করবেন?’
এসব প্রশ্নের বাইরে একজন জানতে চেয়েছেন, ‘কী কী পদক্ষেপ নিলে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে পারবে।’ আবার আরেকজনের প্রশ্নে জানতে চেয়েছেন, ‘ইসরায়েল–ইরান যুদ্ধবিরতির পরে কী হতে পারে?’ অনেকেই আবার জটিল জটিল গাণিতিক হিসাব জানতে চেয়েছেন সাদিয়া আয়মানের কাছে।

সাদিয়া আয়মান। শিল্পীর সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আয়ম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মালয়েশিয়ায় আরো বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন: আশা প্রধান উপদেষ্টার

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আরো অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মালয়েশিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে কুয়ালালামপুরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এরপর দুই দেশের মধ্যে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি সহযোগিতামূলক নোট বিনিময় স্বাক্ষর করা হয়। 

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় কাজ করছে। তারা উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠান, যা তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনযাপন, সন্তানের লেখাপড়া এবং ভালো শিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করছে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জন্য এই দরজা খোলা থাকবে এবং আমাদের দেশের আরো অধিকসংখ্যক তরুণ-তরুণী এখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন।” 

বাংলাদেশের কর্মীদের মালয়েশিয়ায় কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় দেশটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, “মালয়েশিয়ার জনগণ তাদের সঙ্গে পরিবারের একজন সদস্য এবং বন্ধুর মত আচরণ করে। এতে তারা খুব খুশি। তারা অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি এখান থেকে অনেক কিছু শেখে, যা দেশে ফিরে যাওয়ার পর নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে সহায়ক হয়।” 

মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে একটা উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন এবং প্রযুক্তি নিয়ে আসুন। আমাদের মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে আপনারা পণ্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারেন।” 

একটা টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গত বছর ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছিল। আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক বিদায় নিয়েছে। এরপর নতুন সরকারের দায়িত্ব নিয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে আমরা সহযোগিতা খুঁজছিলাম, আর তখন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বন্ধুর মত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আমাদের শক্তি জুগিয়েছিলেন। ”

বাংলাদেশে সঠিক পথ নিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্পের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতে পেরেছি। অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করেছি।”
“ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবারও কার্যকর করা গেছে। যে কারণে এক বছরের মাথায় এসে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারছি।” আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথাও জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিরসন এবং আসিয়ানের সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থন চান।

সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আশা প্রকাশ করে বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হবে।” 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ