রান তাড়ায় প্রায় একাই লড়াই করেছেন। তবু তাওহিদ হৃদয় কমাতে পেরেছেন শুধু হারের ব্যবধান। দলের বাকিদের ব্যর্থতার দিনে তাঁকেই প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসতে হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯ রানে হারের পর তাঁর কাছে প্রথম প্রশ্ন, ‘এমন দিনে সংবাদ সম্মেলনে আসার কাজটা কতটা কঠিন?’

তাওহিদ হৃদয় উত্তরে জানালেন, তাঁর কাছে তেমন মনে হচ্ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ধবলধোলাই হওয়ার পর এখন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হার—সমালোচনার ধাক্কাটা যে জোরালো হবে তা জানা কথাই। সেই ‘অধিকার’ চর্চাতেও আপত্তি নেই বলে জানালেন হৃদয়।  

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে আইরিশদের ৪ উইকেটে ১৮১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ আটকেছে ৯ উইকেটে ১৪২–এ। একই উইকেটে সফরকারীদের তুলনায় বাজে খেলায় কেমন প্রতিক্রিয়া হতে পারে, সেটা হৃদয়ের জানা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আপনি আপনার জায়গা থেকে সমালোচনা করবেন, এটা তো স্বাভাবিক। এটা তো আমাদের হাতে নেই। আপনারা যত ইচ্ছা সমালোচনা করবেন, এটা আপনাদের অধিকার এবং আপনারা করেনও। এখান থেকেও ইতিবাচক কিছু হতে পারে। আপনার দু–একটা কথায় আমাদের তো অনেক কিছু বদলাতে পারে।’

৫০ বলে ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তাওহিদ হৃদয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে জেলেদের জালে ধরা পড়ল ১৬৬ কেজির বোল মাছ

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৬৬ কেজি ওজনের বিশাল একটি বোল মাছ। মাছটি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাহারছড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের নৌকার জালে মাছটি ধরা পড়ে। সন্ধ্যায় মাছটি বিক্রির জন্য টেকনাফ পৌরসভার লামার বাজারের একটি আড়তে তোলা হয়।

ট্রলারের মালিক সাইফুল ইসলাম (৪৫) বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে ছয় জেলে নৌকা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে নামেন। বিকেলে জালে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে বিশাল বোল মাছটিও ধরা পড়ে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে মাছটি নৌকায় তুলতে জেলেদের বেগ পেতে হয়।

সাইফুল ইসলাম বলেন, এত বড় মাছ জীবনে কখনো দেখা হয়নি। বড় মাছ ধরতে পেরে জেলেরা খুশি। আড়তে মাছটি ওজন মেপে পাওয়া গেছে ১৬৬ কেজি। গত পাঁচ বছরে টেকনাফ সমুদ্র উপকূলে এত বড় বোল মাছ কোনো ট্রলারে ধরা পড়েনি। তবে মাঝেমধ্যে বড় বোল মাছ ধরা পড়েছে সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়াদিয়ায়।

ট্রলারের জেলেরা জানান, বোল মাছটির বিক্রির জন্য ২ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল। ১২ জন মাছ ব্যবসায়ী বোল মাছটি কেনার আগ্রহ দেখান। শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বোল মাছটি কিনে নেন বাহারছড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ করিম সওদাগর।

ক্রেতা করিম সওদাগর জানান, বোল মাছটি বিক্রির জন্য রাতেই ঢাকায় পাঠানো হবে। এ জন্য বরফ দিয়ে মাছটি সংরক্ষণের প্রস্তুতি চলছে। ঢাকায় এই মাছ দুই লাখ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা হবে।

১৬৬ কেজি ওজনের বোল মাছ ধরা পড়ার সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন। বিরল প্রজাতির বড় এই বোল মাছ সব সময় জালে ধরা পড়ে না। সেন্ট মার্টিনের প্রবাল পাথরের স্তূপে এবং আশপাশে পাথর এলাকায় বোল মাছের বিচরণ বেশি থাকে। বোল মাছ ওজনে ৯-১০ মণও হয়ে থাকে। বোল মাছটি দেখতে স্থানীয় অনেকে আড়তে ভিড় জমিয়েছিলেন।

সেন্ট মার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছেঁড়াদিয়ার চারপাশে পাথরস্তূপ ও প্রবাল আস্তরে বোল মাছের বিচরণ বেশি দেখা যায়। কিন্তু পাথরের জন্য সেখানে জাল ফেলা যায় না। দ্বীপের ২০-২৫টি নৌকা ছেঁড়াদিয়াতে নৌকা নিয়ে গিয়ে বড়শি ফেলে বোল মাছ ধরা হয়। ৩০ কেজি থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ মণ ওজনের বোল ধরা পড়ার রেকর্ড রয়েছে। মাছটির স্বাদে অতুলনীয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ