চবি বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি
Published: 29th, June 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফলে ভরাডুবির অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে খাতা পুনর্মূল্যায়নের দাবি করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৯ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তারা।
ভুক্তভোগী বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (৫৪তম ব্যাচ) স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফল গত ২৬ মে প্রকাশিত হয়। ফলাফলে দেখা যায়, যেখানে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে মাত্র ৯ জন শিক্ষার্থী সিজিপিএ ৩.
আরো পড়ুন:
৯ দফা দাবিতে রাবির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও
রবিবার পরীক্ষায় অংশ নেবেন সেই আনিসা
তারা জানান, একই ব্যাচের সম্মান পরীক্ষার ফলাফলের তুলনায় এই ফলাফলে চরম অসঙ্গতি রয়েছে। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন, যা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।
মানববন্ধনে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা চাই নিরপেক্ষভাবে আমাদের খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হোক। এতে যদি কেউ ন্যায্য নম্বর থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তারা যেন প্রকৃত মূল্যায়ন পান।”
বিভাগটির আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “ফলাফল প্রকাশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকা উচিত। একজন শিক্ষক যেন তার মতাদর্শগত বা ব্যক্তিগত পক্ষপাতের ভিত্তিতে কোনো শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বিনষ্ট করতে না পারেন, সে বিষয়টি প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।”
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগের দীর্ঘদিনের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে তাদের ব্যাচ প্রতিবাদ করে আসছিল। এরই জেরে এবার পরীক্ষার ফলাফলে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা ফলাফল বাতিল করে নতুনভাবে নিরপেক্ষ খাতা মূল্যায়নের সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মর্গ্যান গার্লস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ডিসি বরাবর শিক্ষিকদের লিখিত অভিযোগ
মর্গ্যান গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে মানববন্ধন করে শিক্ষকবৃন্দ ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষপাতী এবং মেয়েদের প্রহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার বক্তব্য ও চরিত্র হননের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।
গত ২৬ জুন মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পাঁচ শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন সোহান, এস এম জোবায়ের আহম্মেদ, মো. শাহ্ জালাল, মনিরা আক্তার ও আরিফা আক্তার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত এই অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তাঁরা উল্লেখ করেন, গত ২৯ মে রোজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় পূর্বনির্ধারিত তারিখে ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রাশেদুন ইসলাম স্যার মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তদন্তে গেলে সেখানে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনার পঁচিশ দিন পর গত ২২ জুন রবিবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)।
উক্ত মানববন্ধনে বিভিন্ন মিডিয়ায় স্বাক্ষাতকারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা স্কুলের শিক্ষক সোহান, জোবায়ের, শাহজালাল, মনিরা, আরিফা এদের নামে অভিযোগ করে বলেন উক্ত শিক্ষকবৃন্দ ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষপাতী এবং মেয়েদের প্রহার করেছেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কলেজের খণ্ডকালীন জীববিজ্ঞান শিক্ষিকা শারমিন চৌধুরী ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, কলেজ শাখার শিক্ষক জোবায়ের আহমেদ তাকে পুলিশের সামনে মারতে গিয়েছিলেন।
তবে শিক্ষকরা দাবি করেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উক্ত সময়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন, অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও দুইজন কনস্টেবল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, যাদের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও শারমিন চৌধুরীর আচরণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ৫১ (খ) ও (চ)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
তারা জেলা প্রশাসকের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।