‘অস্বাভাবিক কোনো কারণে যেন ইলিশের দাম না বাড়ে’
Published: 30th, June 2025 GMT
ইলিশ আহরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে জড়িতদের উদ্দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘‘অস্বাভাবিক কোনো কারণে ইলিশের দাম যেন না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
সোমবার (৩০ জুন) মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘ইলিশসহ সকল ধরণের মাছের সরবরাহ ও মূল্যশৃঙ্খলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের লক্ষ্যে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম ঘোষণার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, বরং দাম বৃদ্ধির পেছনের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করতে পারলে তাতে কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করা যায়।’’
আরো পড়ুন:
Notice: Undefined variable: rsContent in /var/www/risingbd.
com/details.php on line 707
Notice: Trying to access array offset on value of type null in /var/www/risingbd.com/details.php on line 707
আমাদের একার নয়, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়েরও দায়িত্ব আছে: মৎস্য উপদেষ্টা
চাঁদপুরের বড় স্টেশন ঘাটে ইলিশের ডিম মিলছে না
তিনি বলেন, ‘‘ইলিশের আহরণ ও সংরক্ষণে সরকার নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে, সেই সঙ্গে ইলিশ ও জাটকা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে; যা সামগ্রিক ইলিশ ব্যবস্থাপনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ইলিশের মূল্য ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘অবৈধ উপায়ে মাছ ধরার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জাল আটক ও ধ্বংস করা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে আইন অমান্যকারী জেলেদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন বাহিনী অবৈধ জাল উৎপাদনকারী কারখানাগুলোতেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।’’
নদীর নাব্যতা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নাব্যতা সংকটের ফলে ইলিশ মাছের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ও চলাচলের পথ পরিবর্তিত হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। ইলিশের প্রজনন ও চলাচল নিশ্চিত করতে নাব্যতা সংকটকে একটি বড় ইস্যু হিসেবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।’’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য (সচিব) মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আখতার, যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসি, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আব্দুল ওয়ারিশ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কমান্ডার এম আলী আকবর সিরাজী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের পরিচালক ক্যাপ্টেন সাইফুল, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আড়তদার, মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিসহ মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমুদ্রসম্পদ বড় অবদান রাখতে পারে’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমুদ্রসম্পদ একটি বড় অবদান রাখতে পারে। দেশের হাওর-বাওড়, খাল-বিল ও নদী থেকে প্রয়োজনীয় মাছের প্রায় ৫০ শতাংশ আহরণ করা হলেও সমুদ্র থেকে আহরণ হয় মাত্র ৩০ শতাংশ, যা সমুদ্রে বিপুল সম্ভাবনার তুলনায় অনেক কম। অথচ সমুদ্রের বিপুল সম্পদ এখনো অনাবিষ্কৃত, যা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বড় ধরনের অবদান রাখা সম্ভব।”
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের উদ্যোগে “ওশান সেন্টারস, বাংলাদেশ” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “সমুদ্রসম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অগ্রগতি এবং রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমাদের দেশের বিশাল সমুদ্রাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ অনাবিষ্কৃত সম্পদ রয়েছে, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ ও গতিশীল করা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “পুষ্টি পূরণে সামুদ্রিক মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে প্রচার-প্রচারণার অভাব, সহজলভ্যতার সীমাবদ্ধতা এবং অভ্যাসগত কারণে এর প্রতি মানুষের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে কম। সামুদ্রিক শুঁটকির প্রতি যেমন আগ্রহ দেখা যায়, তাজা সামুদ্রিক মাছের ক্ষেত্রে তা ততটা নয়। ইলিশ মাছের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের ব্যবহার এখনো তেমন জনপ্রিয় হয়নি।”
গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাহামিন এস জামানের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন লয়েডস রেজিস্টার ফাউন্ডেশনের হেরিটেজ ও এডুকেশন সেন্টারের পরিচালক অ্যালেক্স স্টিট, ওশান সেন্টারস বাংলাদেশের কান্ট্রি লিড কমোডর (অব.) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এবং জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমির প্রবৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ খুরশেদ আলম।
প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ মৎস্য শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিয়ার অ্যাডমিরাল ড. খন্দকার আখতার হোসেন এবং বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনাম চৌধুরী।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা সমুদ্রসম্পদ সংরক্ষণ, ব্লু ইকোনমি উন্নয়ন, টেকসই মৎস্যশিল্প এবং সামুদ্রিক সম্পদ আহরণের নতুন দিগন্ত নিয়ে মতবিনিময় করেন। তাদের মতে, সমুদ্রসম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণ কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই নয় বরং পরিবেশ সুরক্ষা ও দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা/এএএম/এসবি