আজ কবি ও সংগঠক বাপ্পি সাহা’র জন্মদিন
Published: 4th, July 2025 GMT
আজ কবি ও সংগঠক বাপ্পি সাহা’র জন্মদিন । শুভ জন্মদিন। কবি বাপ্পি সাহা একাধারে কবি, গল্পকার, গীতিকার, শিশুসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। সাহিত্য অঙ্গনে তার অবাধ বিচরণ। বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করে যাচ্ছেন। বহু সংগঠন থেকে সম্মাননা প্রাপ্ত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্ভ্রান্ত সাহা পরিবারে ১৯৮৪ সালের ৫ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার শৈশব কৈশোর কেটেছে নারায়ণগঞ্জ। আদর্শ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি, এরপর নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। তারপর সরকারি তোলারাম কলেজে লেখাপড়া করার পাশাপাশি ব্যবসায় জড়িয়ে পরেন।
তিনি নারায়ণগঞ্জ কবিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। হাই স্কুল জীবন থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চায় জড়িত। তার কবিতার প্রেমকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কাজ রশিক বাপ্পি সাহা একজন সরল মনের মানুষ। হাস্যজ্জ্বল সংঘপ্রিয়।
কবি বাপ্পি সাহা’র প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ:রাঙা প্রজাপতির ডানা (কাব্য-২০১৪), ছায়া দ্বীপ (গল্প-২০১৫), স্মৃতির ক্যানভাসে (কবিতা-২০১৬), বিষাদের খেয়া (কাব্য-২০১৭), বাপ্পি সাহা’র শত কবিতা (কাব্য-
২০১৮), সৃষ্টি তার উঞ্চ চুম্বন (উপন্যাস-২০১৯), মুখোশের অন্তরালে (উপনাস-২০২০), সকলে বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (২০২১), বাপ্পি সাহা’র একশ প্রেম (কাব্য-২০২১), কিশোর মুক্তিযুদ্ধ (২০২১), ভুতের আস্তানা (২০২২), নানান দেশের রূপকথা (২০২২), সায়েন্স ফিকশন গান শিপের যোদ্ধা (২০২৩), ভয়ংকর ভূতের তান্ডব (২০২৪), বাপ্পি সাহা’র অণু প্রেম (২০২৪),কিশোর থ্রিলার বাগান বাড়ির রহস্য (২০২৫)।
এছাড়াও তার সম্পাদিত গ্রন্থ’ ‘জনক’, স্মারক গ্রন্থ ‘এক তর্জনীর স্বাধীনতা’ (মুজিববর্ষ-২০২০)।তিনি kobial24.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
‘“এ সকল নষ্ট মাইয়াদের জন্য বাসের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। যা যা বাস থেকে নেমে যা নষ্ট মাইয়াছেলে”—বাস কন্ডাক্টরের এই মন্তব্য শোনার পর নিজের ওপর আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন বাসে হেনস্তার শিকার ওই তরুণী। আজ প্রথম আলোর সঙ্গে মুঠোফোনে দীর্ঘ আলাপে তিনি সেদিনের ঘটনার আদ্যোপান্ত জানান। বললেন, ঘটনার সময় বাসে একজন মানুষও প্রতিবাদ না করায় কষ্ট পেয়েছেন। যিনি এ ঘটনার ভিডিও করেছিলেন, তাঁর কাছ থেকেও কটু কথা শুনতে হয়েছিল। এমনকি তিনি বাস থেকে নামতে গিয়েও পারছিলেন না। যতবার নামার চেষ্টা করেন, চালক বাস টান দিচ্ছিলেন।
তবে দৃঢ়তার সঙ্গে এই তরুণী জানিয়েছেন, এই হেনস্তার ঘটনা তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি প্রতিবাদ করে যাবেন।
জুতা হাতে বাস কন্ডাক্টরের আচরণের প্রতিবাদ জানানোর ওই ঘটনা ঘটে গত ২৭ অক্টোবর। বাসের এক ব্যক্তি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলে তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার রমজান পরিবহন নামের বাসের হেনস্তাকারী কন্ডাক্টর নিজাম উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তরুণীর এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার মামলা করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় (যৌন নিপীড়নের অভিযোগ) মামলাটি করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল, বাসের সামনের আসনে বসা এক ব্যক্তির কোনো একটি মন্তব্য নিয়ে এক তরুণী তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। তিনি তেড়ে যান লোকটির দিকে। ওই সময় লোকটি আসন ছেড়ে উঠে তরুণীকে চড় মারেন। একপর্যায়ে দুজন জুতা খুলে দুজনের দিকে তুলে ধরেন। সে সময় ওই ব্যক্তি তরুণীকে আঘাত করেন এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ওই ব্যক্তি এরপর বারবার তরুণীর গায়ে ধাক্কা মারেন ও আঘাত করার চেষ্টা করেন। তরুণী চিৎকার করে বলছিলেন, ‘তুই আমার পোশাক তুলে কেন কথা বলবি?’ এ সময় সামনের দিকে থাকা দুই নারী ও একজন পুরুষ যাত্রী ছাড়া আর কেউ আঘাত করা ব্যক্তিটিকে থামানোর চেষ্টা করেননি, প্রতিবাদ করেননি।
ওই তরুণী প্রথম আলোকে জানান, তাঁর মা–বাবা ও ভাই–বোনরা চাঁদপুরে থাকেন। বাবার দোকান রয়েছে। ভাই–বোনদের মধ্যে তিনি সবার বড়। চাঁদপুর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর এখন ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ছেন। পড়াশোনার খরচ চালানোর পাশাপাশি বাবাকে সহায়তা করতে নিজেও টুকটাক কাজ করেন। হাতের কাজ, ছবি আঁকার কাজ করেন, টেলিভিশন চ্যানেলে মাঝেমধ্যে কিছু অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেন। রাজধানীর বছিলা এলাকায় কয়েকজন মিলে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন।
‘শুরুতে আমি উত্তেজিত হইনি’
সেদিনের ঘটনা বলতে গিয়ে তরুণী বলেন, তিনি মুঠোফোন ঠিক করতে হাতিরপুলে মোতালিব প্লাজায় গিয়েছিলেন। বাসায় ফেরার জন্য সেখান থেকে ধানমন্ডি–১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে আসেন এবং রমজান পরিবহনের ওই বাসটিতে ওঠেন। তখন বেলা দুইটা কি আড়াইটা। তিনি বাসে উঠে মাঝামাঝি জায়গায় একটি আসনে বসেন। বাস কন্ডাক্টর তাঁর কাছে এসে ভাড়া চাইলে ‘স্টুডেন্ট’ (শিক্ষার্থী) জানিয়ে তিনি অর্ধেক ভাড়া দেন। তরুণী দাবি করেন, বাস কন্ডাক্টর তখন বলে ওঠেন, ‘চেহারা আর পোশাক দেখলে তো মনে হয় না স্টুডেন্ট!’ তখন তিনি রাগ হলেও কন্ডাক্টরকে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করে বলেন, ‘স্টুডেন্টের সঙ্গে পোশাকের কী সম্পর্ক? আপনি এসব কী ধরনের কথা বলছেন? ওই সময় কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়। শুরুতে আমি উত্তেজিত হইনি।’
রাজধানীর বছিলায় বাসের মধ্যে পোশাক নিয়ে কটূক্তির সাহসী প্রতিবাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণীর প্রশংসা করে এমন চিত্র ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে