সিদ্ধিরগঞ্জে গোদনাইল সৈয়দপাড়া এলাকায় একটি গরুর খামারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাসিক ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোকনের জামাতা। শুক্রবার (১১ জুলাই) আনিসুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযোগে উল্লেখ করেন, ওই এলাকায় তার একটি গরুর খামার রয়েছে। খামারের পাশে একটি ফাঁকা জায়গায় তিনি বালি ভরাট করে নিজের নামে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। তবে পূর্ববিরোধের জেরে ফয়েজ ও হালিম নামের দুই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এবং তাদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জন ওই সাইনবোর্ডটি একাধিকবার খুলে ফেলে দেয়।

আনিসুর রহমান আরও বলেন, হালিম তার বাহিনী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলর খোকনের জামাতার পরিচয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করলেও এবার তার লক্ষ্য হন তিনি নিজেই।

গত ১১ জুলাই রাত আনুমানিক রাত ১টার দিকে অভিযুক্তরা পুনরায় তার জমিতে গিয়ে সাইনবোর্ড তুলে ফেলে এবং ফয়েজের নামে একটি নতুন সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন। এ সময় আনিসুর রহমানের ম্যানেজার প্রতিবাদ করলে ফয়েজ, হালিম ও তাদের সহযোগীরা তাকে হুমকি দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। 

তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিলে তারা সাইনবোর্ড সরিয়ে নিবে এবং ভবিষ্যতে কোনো প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করবে না। চাঁদা না দিলে গরুর খামার চালাতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন আনিসুর।

তিনি জানান, পরিস্থিতির কারণে তিনি ও তার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিরুপায় হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহনিূর আলম বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স ইনব র ড

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু জিনিয়ার হৃদ্‌যন্ত্রের ছিদ্রের চিকিৎসায় সহায়তা প্রয়োজন

মাত্র চার লাখ টাকায় সুস্থ হয়ে যেতে পারে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার (১১)। চলতি বছরের শুরুতে তার হৃদ্‌যন্ত্রে ছিদ্র শনাক্ত হয়েছে। এ জন্য জরুরি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না।

জিনিয়া নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কলমদার গ্রামের আবদুল জব্বারের মেয়ে। আবদুল জব্বার পেশায় গ্রাম পুলিশ।

আবদুল জব্বার বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া চার শতাংশ ভিটেবাড়িই তাঁর একমাত্র সম্বল। পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। গ্রাম পুলিশের চাকরি করে মাসে সাত হাজার টাকা বেতন পান। এই আয়ের ওপর নির্ভর করে কোনোরকমে চলে তাঁর সংসার।

এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের জীবন বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন আবদুল জব্বার। জিনিয়ার জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে আবদুল জব্বার, হিসাব নম্বর; ৫৩০৫৮৩৪১২৬৪২৩, সোনালী ব্যাংক, ডোমার শাখা, নীলফামারী। মুঠোফোন নম্বরে— 01774644253 (বিকাশ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ