হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার শেষে দৈনিক অতিরিক্ত প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে কূপটি থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ মিলিয়ন ঘনফুটে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে। 

এর আগে, গত বুধবার হবিগঞ্জের শাহজিবাজার এলাকায় গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো.

রেজানুর রহমান। এ সময় বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএফসিএল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হবিগঞ্জ-৫ কূপটি ১৯৮৮ সালে ৩ হাজার ৫২১ মিটার গভীরতায় খনন করা হয়েছিল। ওয়ার্কওভারের আগে কূপটি ১ হাজার ৫২১ পিএসআই চাপে দৈনিক ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছিল। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) বিজয়-১১ রিগ ব্যবহার করে ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সম্পন্ন করে। ২৪ অক্টোবর ওয়ার্কওভার কাজ শুরু হয়ে ২ ডিসেম্বর শেষ হয়। এতে উৎপাদন সক্ষমতা বেড়েছে।

পেট্রোবাংলার অধীনে বিজিএফসিএল তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৭টি কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ওয়ার্কওভারের ফলে বাড়তি গ্যাস উৎপাদন দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪টি ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন, ৬টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

দেশের ১০টি জেলায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতায় নতুন ক্রীড়া উন্নয়নের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চারটি ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন ও ছয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি এই উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

উদ্বোধিত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি মিনি স্টেডিয়াম এবং একটি সুইমিং পুল, যেখানে মোট ব্যয় হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। এছাড়া ছয়টি মিনি স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি টাকা। একই অনুষ্ঠানে ১২ কোটি ৭০ লাখ ৪৭ হাজার টাকায় একটি মিনি স্টেডিয়ামের বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধনও করা হয়েছে।

ভোলা, মৌলভীবাজার, চরফ্যাশন এবং জুড়ী উপজেলার স্টেডিয়ামসহ অন্যান্য স্থাপনার কাজের অগ্রগতি এবং ক্রীড়া বিকেন্দ্রীকরণের পরিকল্পনা নিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, উপজেলায় এই মিনি স্টেডিয়ামগুলো খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানের স্পোর্টস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা এবং আঞ্চলিক ক্রীড়া শাখা স্থাপনের কাজও দ্রুত বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ