সঠিক পরিকল্পনা করুন

শিশুসন্তানের সঙ্গে আপনার ভ্রমণ কতটা ভালো হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনার ওপর। প্রত্যেকের পছন্দ–অপছন্দ এক রকম নয়। ভ্রমণে যাওয়ার আগে কীভাবে যাচ্ছেন, কখন যাচ্ছেন, কোথায় কোথায় থামছেন—এসব বিষয় মাথায় রাখা বেশ জরুরি।

যেহেতু সন্তানের সুস্থতা আর আনন্দই আপনাদের মূল লক্ষ্য, সেহেতু তাকে কেন্দ্র করেই পুরো পরিকল্পনা সাজান। তার সুবিধামতো সময়ে ভ্রমণ করুন, বাস কিংবা প্লেন বেছে নিন। এতে সন্তানের জন্য যাত্রাপথ সহজ হবে।

আরামের দিকে খেয়াল রাখুন

শিশুরা নিজেদের দৈনন্দিন রুটিনে বদল দেখতে চায় না। প্রতিদিন যেভাবে চলে, ঠিক সেভাবেই নিয়ম মেনে তাকে চালানোর চেষ্টা করুন। বিশেষ করে তিন বেলা খাবার, ঘুমের সময়সূচি ঠিকঠাক রাখুন।

এ ছাড়া শিশুদের পরিচিত ও পছন্দের জিনিস যাতে সঙ্গে থাকে, তা খেয়াল রাখবেন। প্রিয় খেলনা বা উপকরণ তাকে শান্ত করতে পারে মুহূর্তেই। শিশুদের যতটা সম্ভব আরামদায়ক পোশাকে রাখার চেষ্টা করুন। এতে তাদের মুড যেমন ভালো থাকবে, সহজে বিরক্তও হবে না।  

আরও পড়ুনবেড়াতে গিয়ে শিশুর দিকে বিশেষ খেয়াল রাখছেন তো?০৪ এপ্রিল ২০২৪প্যাকিং করুন প্রয়োজন বুঝে

ভ্রমণে গেলে বড়দের পছন্দসই জামাকাপড় নিলেই হয়। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে কেবল তাদের পছন্দসই কাপড় নিলে হয় না। বরং সঙ্গে নিন শীত উপযোগী আরামদায়ক কাপড়। যাতে তার ঠান্ডা লেগে না যায় কিংবা অতিরিক্ত গরম বা অস্বস্তিও না হয়।

ভ্রমণে যাওয়ার আগে সঙ্গে নিন শীত উপযোগী আরামদায়ক কাপড়, যাতে শিশুর ঠান্ডা লেগে না যায় কিংবা অতিরিক্ত গরম বা অস্বস্তিও না হয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পছন দ ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

নেসলের প্রথম ‘গাট হেলথ সামিট’: অংশ নিলেন দেশ-বিদেশের গবেষক, বিশেষজ্ঞ

নেসলে বাংলাদেশের আয়োজনে নিউট্রিশন সায়েন্সের অগ্রগতি ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘দ্য গাট নেক্সাস’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ ও ৫ নভেম্বর রেডিসন ব্লু ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের ২৫০ জনের বেশি গবেষক, বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। গাট মাইক্রোবায়োমের বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব ও মানুষের সার্বিক সুস্থতার সঙ্গে এর নিবিড় সম্পর্ক তুলে ধরাই ছিল সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।

মানুষের পেটে থাকা ‘গাট মাইক্রোবায়োম’ বা উপকারী জীবাণুগুলো হজমশক্তি থেকে শুরু করে মানসিক সুস্থতা ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতাসহ অসংখ্য উপকারী ভূমিকা রাখে। ওই ওয়ার্কশপে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সেশন, প্রেজেন্টেশন, ইন্টারঅ্যাকটিভ আলোচনা এবং হাতে–কলমে শেখার নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অংশগ্রহণকারীরা এসবের মাধ্যমে গাট হেলথ–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর আধুনিক গবেষণা ও বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করেন।

বিশেষজ্ঞের মতামত এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি

আন্তর্জাতিক আলোচকদের মধ্যে ছিলেন শ্রীলঙ্কার অধ্যাপক ড. শামান রাজেন্দ্রজিথ। তিনি শিশুদের গাট মাইক্রোবায়োটার বিকাশ এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হজমজনিত সমস্যার মতো ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে প্রাথমিক জীবনে সঠিক মাইক্রোবায়োম প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

শামান রাজেন্দ্রজিথ বলেন, ছোটবেলা থেকে সঠিক মাইক্রোবায়োম গড়ে উঠলে জীবনের নানা পর্যায়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়।

নেদারল্যান্ডসের অধ্যাপক ড. মার্ক এ বেনিঙ্গা অনুষ্ঠানে শিশুদের কলিক সমস্যা এবং গাটের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতার ওপর তাঁর গবেষণা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন। বেনিঙ্গা বলেন, ব্যাকটেরিয়ার সুষম উপস্থিতি বিঘ্নিত হলে শিশুদের পেটে অস্বস্তি, ব্যথা অনুভব হয়। ফলে শিশুদের কান্নার সম্ভাবনা দেখা দেয়। সঠিক প্রোবায়োটিক গ্রহণে এ সমস্যা সমাধান হতে পারে।

বাংলাদেশিদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টিবিষয়ক বাস্তবতা সামনে রেখে বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল হোসেন। তিনি গাটবান্ধব খাবার, প্রিবায়োটিক, প্রোবায়োটিক ও সিনবায়োটিক গ্রহণের সুবিধা এবং শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বায়োটিকস যুক্ত হলে হজমশক্তি ও সার্বিক সুস্থতায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে, যা জীবনমানকে দীর্ঘমেয়াদি উন্নত করতে সহায়তা করবে।’

গবেষণা ও প্রদর্শনী

কর্মশালায় গাট হেলথ–সম্পর্কিত আধুনিক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি বিভিন্ন সায়েন্টিফিক প্রদর্শনী করা হয়। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা প্রোবায়োটিক ও সিনবায়োটিকের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সরাসরি পরিদর্শনের সুযোগ পান, যা নেসলে বাংলাদেশের গবেষণানির্ভর নিউট্রিশনবিষয়ক উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি আরও স্পষ্ট করে।

কর্মশালাটির সার্বিক বিষয়বস্তু এবং সহযোগিতামূলক মনোভাব ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করে এবং বাস্তব চিত্র সামনে এনে উৎসাহিত করার মাধ্যমে নেসলে বাংলাদেশ পুষ্টিবিষয়ক শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনে বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে তাদের ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করেছে।

জনস্বাস্থ্যের প্রতি অঙ্গীকার

এই উদ্যোগটি নেসলে নিউট্রিশন ইনস্টিটিউটের বৃহত্তর উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে, যা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী গাট হেলথ–সম্পর্কিত এডুকেশনকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে। গবেষণা ও জ্ঞানচর্চামূলক প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগের মাধ্যমে নেসলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থতা নিশ্চিত করতে এবং বিজ্ঞাননির্ভর সমাধানের মাধ্যমে আরও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ