গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মইদুল ইসলাম (৪৮) নামের এক চা বিক্রেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মইদুল ইসলাম হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত নজির সরদারের ছেলে। মইদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মাদকের মামলা আছে। স্থানীয় শিবের বাজারে তিনি চা বিক্রি করতেন।

মইদুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন—একই ইউনিয়নের কোরলগাছা গ্রামের শামছুল ইসলামের ছেলে বেলাল (৪২) এবং সন্তোষ (৪৫)। তাদের বিরুদ্ধেও মাদক-সংক্রান্ত একাধিক মামলা আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানিয়েছে, মইদুল ইসলাম শিবের বাজারে চায়ের দোকান চালাতেন। মাদক সেবনের পাশাপাশি মাদক বিক্রিও করতেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি মইদুল। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে রামচন্দ্রপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের নির্জন ভিটায় মইদুলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। 

স্থানীয়দের ধারণা, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধর ধরে বুধবার রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা তাকে ভারী কোনো বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে।

নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম জানিয়েছেন, ৪-৫ দিন যাবত চায়ের দোকান বন্ধ ছিল। বুধবার সন্ধ্যার আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মইদুল। সন্ধ্যার দিকে তাকে অপর মাদকসেবী ও মাদক কারবারি বেলালের সঙ্গে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। মইদুল বাড়ি না ফিরলে রাত ৯টার দিকে তার মোবাইল ফোন নম্বরে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও মইদুলের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেছেন, মইদুলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাথায় আঘাত করে মইদুলকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

ঢাকা/মাসুম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

করাচিতে সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ বিমান: পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার

পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন খান নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঢাকা থেকে করাচিতে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজকে তিনি এ কথা বলেছেন।

গতকাল পাকিস্তানের ফরেন সার্ভিসেস একাডেমিতে বক্তৃতা করেন ইকবাল হুসাইন। এরপর দ্য নিউজের সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় ঢাকা-করাচি ফ্লাইট চালুর অগ্রগতি বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়।

আরও পড়ুনবাংলাদেশে ফ্লাইট চালুর অনুমোদন পেল পাকিস্তানের এয়ার-সিয়াল১৯ মে ২০২৫

জবাবে ইকবাল হুসাইন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করছি। আমাদের জাতীয় বিমান সংস্থা করাচিতে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।’

এ ক্ষেত্রে ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেভাবে ভারতীয় উড়োজাহাজ বাংলাদেশি আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে, একইভাবে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটগুলোও ভারতের আকাশসীমা দিয়ে উড়বে।

বিভিন্ন সূত্র বলছে, পাকিস্তানের ওপর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে ঢাকায় সহসা পাকিস্তানি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট চালুর সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে ডিসেম্বর থেকে সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে পারে২৬ নভেম্বর ২০২৫

এর আগে হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন খান ফরেন সার্ভিসেস একাডেমিতে বক্তৃতা দেন এবং তরুণ কূটনীতিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

হাইকমিশনার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য, যোগাযোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সীমিত প্রবেশাধিকার, সীমান্তে বিধিনিষেধ এবং আঞ্চলিক রাজনীতি এখনো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে।

আরও পড়ুনপাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর চেষ্টা চলছে: পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী২২ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ