সোনারগাঁয়ের নয়াপুরে এক নারীতেই অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
Published: 4th, December 2025 GMT
সোনারগাঁও নয়াপুরে শাহানাজ মুন্নী নামে এক নারীর বিভিন্ন কটু কৌশল ও অপকর্মে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তার কৃতকর্মে এলাকায় শান্তি শৃংখলা ভঙ্গ, উদ্বেগ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন বিনষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করছেন তারা।
ওই নারীর হাত থেকে রক্ষা পেতে, এলাকায় শান্তিশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃংখলা বাহিনী ও হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপুর চিনতলা এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, এই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া এই শাহানাজ মুন্নী। তিনি নিজেকে বিশেষ পেশার পরিচয় দিয়ে ক্ষমতা ও প্রভাবশালী প্রমান করতে বিভিন্ন সময় নানা কূটকৌশলে ব্যাতিব্যস্ত থাকেন তিনি।
কখনো এলাকাবাসীর উপকারতো করেনইনি বরং ক্ষতিতে ব্যস্ত ছিলেন বারবার। তার অনৈতিক প্রভাবে নয়াপুর চিনতলা এলাকার বাসিন্দারা এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছে।
শাহনাজ মুন্নি তার স্বামী ও দেবর মামুন ওই এলাকাটি হাতের মুঠোয় রাখতে চেষ্টায় ব্যস্ত। এলাকায় মুরগীর ফার্ম কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের নখদর্পনের বাহিরে হতে পারবে না। তাদের নজরের বাহিরে কিছু করলেই অভিযোগের পর অভিযোগ ঠুকে দেওয়া হয় বিভিন্ন দফতরে। এরপর ওই দফতর গুলোতে তদবির করে এলাকাবাসীকে হয়রানি করেন। পরে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দেন।
বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা তার রোষানলে পড়েন বেশি। সম্প্রতি চিনতলা এলাকায় হারুন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী। কারখানা করে শাহনাজ মুন্নী ও তার পরিবারের রোষানলে পড়েছেন। শাহনাজ মুন্নীকে চাঁদা দিতে হবে। নয়ত কারখানা চালতে পারবেন না।
এলাকাবাসী ওই জনপদের মানুষের উন্নয়নে ফ্যাক্টরী চাইলেও শাহনাজ মুন্নী, তার স্বামী ও দেবর মামুনের তা চাই না। ফলে প্রতিদিনই বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগসহ নানা সমস্যায় ব্যবসায়ীকে বিপাকে ফেলছেন তারা।
কারখনা সংযুক্ত অধিকাংশ দফতর যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস সহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কয়েক দফায়। কোনভাবেই ওই ব্যবসায়ীকে ওই এলাকায় কারখানা করতে দিতে চাইছেন না তারা।
এই শাহনাজ মুন্নি আওয়ামী দোসর। এরআগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে তার সকল অনৈতিক অমানবিক ও অপকর্মগুলো নিরবে নিশব্দে সয়ে গেলেও নতুন বাংলাদেশে আর কোনো অপকর্ম করতে দেয়া হবে না তাকে।
স্থানীয় সাদীপুর ইউনিয়ন এর বিএনপি নেতা আমির হোসেন বলেন, শাহানাজ মুন্নীর কুট কলা- কৌশলে এলাকার নারী পুরুষ জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তিনি সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে নামে বেনামে অভিযোগ করে হয়রানি শিকার করেন। কোন মানুষকে সুস্থ ভাবে বসবাস করতে দিচ্ছে না।
নয়াপুর চিনতলা জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার আরিফ জানান, শাহানাজ মুন্নীর চলাফেরা উগ্র তিনি এলাকার মুরব্বিদের সম্মান করেন না, এলাকার জনগনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। এজন্য নারী পুরুষ অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
চিনতলা স্থানীয় বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, শাহানাজ মুন্নী এলাকার মানুষ জানে তিনি একটা কুচক্রী কারী মহিলা এলাকার নারী পুরুষকে শান্তিতে বসবাস করতে দেয় না। তাই আমরা শাহানাজ মুন্নী হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন ও প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি। শীঘ্রই শাহানাজ মুন্নীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জন্য প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসী আকুল আবেদন।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ শ হন জ ম ন ন এল ক ব স ব যবস য় নয় প র এল ক য় এল ক র চ নতল
এছাড়াও পড়ুন:
জাদুঘরের নিয়োগে ‘প্রত্নতত্ত্ব’ বিষয় অন্তর্ভুক্তির দাবি
জাদুঘরের চাকরির যোগ্যতার তালিকায় ‘প্রত্নতত্ত্ব’ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ইতিহাস ও ধ্রুপদি শিল্পকলা বিভাগে ‘সহকারী কিপার’ (গ্রেড–৯) পদে নিয়োগে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে জাদুঘরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদনপত্র দাখিল ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় আবেদনপত্র দাখিল করে জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের পাঠ্যক্রমে ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, শিল্পকলা, জাদুঘরবিদ্যাসহ ইতিহাস ও শিল্প ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সব বিষয়ের ওপর শ্রেণিকক্ষ, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও মাঠকর্মের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। বিভাগটির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে জাদুঘর–সংক্রান্ত বেশ কিছু বিশেষায়িত কোর্স পড়ানো হয়। যেমন জাদুঘরবিদ্যা: তত্ত্ব ও প্রয়োগ, প্রত্নসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পর্যটন, অ্যাডভান্সড মিউজিয়াম স্টাডিজ ইত্যাদি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তাত্ত্বিক জ্ঞান ও হাতে–কলমে প্রশিক্ষণ ‘সহকারী কিপার’ পদে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গ্র্যাজুয়েটদের যোগ্য করে তোলে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে এ ধরনের সমন্বিত ও কারিগরি কারিকুলাম চালু রয়েছে বলে তাঁরা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে দাপ্তরিক পর্যায়ে চিঠিপত্র আদান–প্রদানের পরও জাতীয় জাদুঘরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়টিকে যথাযথ স্থান দেওয়া হচ্ছে না। ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাসের পাশাপাশি ‘প্রত্নতত্ত্ব’কে সমমানের যোগ্যতা হিসেবে তালিকাভুক্ত না করায় যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারছেন না।
ইতিহাস ও ধ্রুপদি শিল্পকলা বিভাগে ‘সহকারী কিপার’ (গ্রেড–৯) পদে নিয়োগে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে জাদুঘরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদনপত্র দাখিল ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা