বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে নতুন পটভূমি খোঁজার চেষ্টা করছে ঢাকা। এমন এক নতুন পটভূমি, যেখানে দুই দেশ নিজেদের ভবিষ্যৎ ভাগাভাগি করে নিতে পারবে।

গতকাল বুধবার কলকাতার মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত এক ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ এ মন্তব্য করেন।

এমন এক সময়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের এ মন্তব্য এল, যার কয়েক দিন আগে ঢাকার তরফে বলা হয়েছে—বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক একটি বিষয়ে আটকে থাকবে না।

অন্যদিকে সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোষ্টে মোদি লিখেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার যেকোনো প্রয়োজনে ‘সম্ভাব্য সব সহায়তা’ দিতে প্রস্তুত ভারত।

নয়াদিল্লিতে আট মাস আগে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেওয়া হামিদুল্লাহ বলেন, ‘এমন এক নতুন পটভূমি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে, যেখানে আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ ভাগাভাগি করে নিতে পারব। কথাটা বলা যত সহজ, বাস্তবায়ন তত সহজ নয়। তবে এটা সম্ভব। আমাদের কিছু ভিন্নমত ও সংবেদনশীল বিষয় আছে। কিন্তু এটাই সম্পর্কের স্বাভাবিক চরিত্র। আমরা যদি পটভূমির কেবল একটি দিক নিয়ে ব্যস্ত থাকি, তাহলে পুরো বিষয়টির প্রতি সুবিচার করা হবে না।’

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ‘ওতপ্রোতভাবে জড়িত’ (অর্গানিক) উল্লেখ করে হামিদুল্লাহ বলেন, দুই দেশই দ্রুত উন্নতি করছে। দুই দেশের বর্তমান ‘অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার’ পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বেশি।

বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, ‘আপনারা যদি বাংলাদেশের আমদানিকাঠামো এবং বন্দর ও লজিস্টিকস খাতে নতুন সক্ষমতা যোগ হওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, তা খেয়াল করেন, তাহলে ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনাগুলো বুঝতে পারবেন।’

ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে আসা-যাওয়ায় ঢাকা কড়াকড়ি আরোপ করেনি উল্লেখ করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আগের মতো সব অর্থে দুই দেশের নাগরিকদের সম্পর্ক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এটাকে আমি পারস্পরিক নির্ভরশীলতা হিসেবে দেখি।’

এ সময় হামিদুল্লাহ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (আরবিআই) গত আগস্টের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য প্রায় ১২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

হামিদুল্লাহ বলেন, আগামী বছর দিল্লিতে একটি বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের পরিকল্পনা চলছে। পাশাপাশি তিনি ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য বাংলাদেশে থাকা তাঁদের পূর্বপুরুষদের ভিটেবাড়ি ভ্রমণের সুযোগ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন রেজা কিবরিয়া

হবিগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া। 

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মতো একটি দলের মনোনয়ন পেয়ে খুবই আনন্দিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘এর ফলে আমি আমার এলাকা নবীগঞ্জ-বাহুবলের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। প্রথমেই আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করতে চাই। উন্নতমানের কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ করতে চাই। আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষিত লোক তৈরির জন্য যা যা করা দরকার সবই আমি করতে চাই।’’

এই আসনে আরও চারজন ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে আলোচনায় ছিলেন সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া এবং কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান মুখলিস। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় উঠে আসে রেজা কিবরিয়ার নাম। গুঞ্জন ছিল, তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেই গুঞ্জন সত্য হলো।

রেজা কিবরিয়া প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে। 

ঢাকা/মামুন//

সম্পর্কিত নিবন্ধ