রেকর্ড ভাঙার পরও ওয়াসিম আকরামকেই সেরা মনে করেন স্টার্ক
Published: 4th, December 2025 GMT
ওয়াসিম আকরামের রেকর্ড এখন মিচেল স্টার্কের।
ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম দিনে আকরামের গড়া বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ভেঙেছেন স্টার্ক।
পাকিস্তান কিংবদন্তি আকরামের উইকেট যেখানে ৪১৪টি, সেখানে স্টার্কের এখনো ৪১৮টি। আকরামকে ছাড়িয়ে গেলেও স্টার্ক অবশ্য নিজেকে তাঁর সমকক্ষ ভাবছেন না। তিনি এখনো মনে করেন আকরামই সেরা বাঁহাতি পেসার।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রুটের প্রথম সেঞ্চুরি৩ ঘণ্টা আগে৬ উইকেট নেওয়া স্টার্ক দিনের খেলা শেষে নিজেকে সেরা বাঁহাতি পেসার ভাবেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে স্টার্ক বলেছেন, ‘না, আমি নিজেকে গ্রেটেস্ট অব অল টাইম বলব না। পরে এসব নিয়ে ভাবব। ওয়াসিম এখনো আমার চেয়ে অনেক ভালো বোলার। আমার কাছে তিনি এখনো বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে শীর্ষে, আর ক্রিকেটের সেরা বোলারদের একজন। তাঁর পাশে আমার নাম উচ্চারিত হচ্ছে, এটা ভালো। তবে আমি শুধু চেষ্টা করে যাব।’
ওয়াসিম আকরামের রেকর্ড এখন মিচেল স্টার্কের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রেজা কিবরিয়া মনোনয়ন পাওয়ায় খুশি বিএনপির একাংশ, অসন্তুষ্ট ‘বঞ্চিত’ নেতারা
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য দলটিতে যোগ দেওয়া অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া। তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে। তাঁর মনোনয়নের খবরে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করলেও ‘খুশি’ হতে পারেননি অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
হবিগঞ্জের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে আগে তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ফাঁকা রাখা হয়েছিল হবিগঞ্জ-১ আসনটি। এখানে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া, নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী ও রেজা কিবরিয়া।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটায় রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৬টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় হবিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রেজা কিবরিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়।
রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক, গণ অধিকার পরিষদ ও আমজনতার দলের আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন।
রেজা কিবরিয়া সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি খুশি। এলাকার মানুষও খুশি এই মনোনয়ন নিয়ে। এখন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় বা জনগণ আমাকে সুযোগ দেন, তাহলে আমি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নেব। আমি আশাবাদী মানুষের জন্য কিছু কাজ করতে পারব।’
আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ৩৬ বছর ধরে বিএনপির জন্য কাজ করেছি। এ আসনটি ছিল আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। সেই দাপট ভেঙে আমি বিএনপির প্রথম এমপি হই। দল কেন রেজা কিবরিয়াকে মনোনয়ন দিল, বুঝে উঠতে পারছি না। এতে এলাকার মানুষ জামায়াতকে ভোট দেবে।’
অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী ছাবির আহমদ চৌধুরী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘তৃণমূলে নেতা-কর্মীরা যাঁকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন, তাঁকে দল মনোনয়ন দেয়নি।’
তবে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, রেজা কিবরিয়া মনোনয়ন পাওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরা খুশি। মনোনয়নের খবরে খুশিতে নবীগঞ্জ ও বাহুবলে মিষ্টি বিতরণ করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। রেজা কিবরিয়া শুধু সংসদ সদস্য নন; বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি মন্ত্রী হবেন বলে তাঁদের বিশ্বাস।