টলিউডের তরুণ অভিনেত্রী ইধিকা পাল ‘প্রিয়তমা’ দিয়ে ঢালিউডে অভিষেকের পর দুই বাংলায় সমানভাবে আলোচনায়। শাকিব খানের বিপরীতে প্রথম সিনেমায় অভিনয় করে রীতিমতো উথাল–পাতাল ঝড় তুলেন। সম্প্রতি গুঞ্জন ছড়িয়েছে, সিয়াম আহমেদের সঙ্গে ‘রাক্ষস’ সিনেমায় জুটি বাঁধবেন ইধিকা পাল।  

তবে ইধিকা নিজেই এই গুঞ্জনে চুনকালি লাগিয়েছেন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে স্পষ্টভাবে তিনি বলেন, “কীভাবে এই খবর ছড়াল তা জানি না। আমার কানেও এসেছে। কিন্তু সিয়ামের বিপরীতে অভিনয়ের কোনো কথা হয়নি আমার সঙ্গে। কোনো প্রস্তাবও পাইনি।” 

আরো পড়ুন:

শাকিব খানের যে পরামর্শ মেনে চলেন অপু বিশ্বাস

কারো হৃদয়ভাঙা একদম পছন্দ নয়, এটাকে ঘৃণা করি: ইধিকা

এদিকে ‘রাক্ষস’ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, নির্মাতারা চোখ রেখেছেন কলকাতার উদীয়মান অভিনেত্রী সুস্মিতা চ্যাটার্জির দিকে। সৃজিত মুখার্জির প্রেমিকা হিসেবে আলোচিত এই নায়িকার সঙ্গে নাকি নির্মাতাদের কথা এগোচ্ছে। ব্যাটে–বলে মিললে সিয়ামের বিপরীতে তাকেই দেখা যেতে পারে। 

মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘রাক্ষস’ সিনেমায় প্রথমে সিয়ামের বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল সাবিলা নূরের। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে তিনি সরে দাঁড়ালে নতুন নায়িকা খোঁজার যাত্রা শুরু হয়। সেই পথেই ইধিকার নাম ঘুরে বেড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিষয়টি ‘শুধুই গুঞ্জন’ বলেই জানিয়ে দিলেন নায়িকা। চলচ্চিত্র–সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বর থেকেই শুরু হবে ‘রাক্ষস’ সিনেমার শুটিং।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র ব পর ত

এছাড়াও পড়ুন:

ড্রোনের পর এবার ছোট পারমাণবিক চুল্লি তৈরিতে নামছে তুরস্কের বায়কার

তুরস্কের ড্রোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বায়কার ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লির প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন জ্বালানিমন্ত্রী আলপারসলান বায়রাকতার।

তুরস্ক সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে মোট ১২টি প্রচলিত পারমাণবিক চুল্লির (এমএমআর) মাধ্যমে তাদের বিদ্যুতের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছে।

এ ছাড়া সরকার নতুন ধরনের পারমাণবিক প্রযুক্তি, ছোট মডুলার পারমাণবিক চুল্লি থেকে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

বায়রাকতার বলেন, বায়কার এসএমআর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তারা ৪০ মেগাওয়াটের ইউনিট তৈরির চেষ্টা করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আঙ্কারা পারমাণবিক প্রযুক্তি নিয়ে একটি নতুন খসড়া আইন তৈরি করছে, যা এই খাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর বেসরকারি সংস্থাগুলোকে প্রোটোটাইপ তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হবে।

বায়রাকতার আরও উল্লেখ করেন, এই খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।

বায়কারের চেয়ারম্যান সেলচুক বায়রাকতার (আলপারসলানের সঙ্গে যাঁর কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই) সেপ্টেম্বরে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার নতুন যুগে পারমাণবিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সেলচুক বলেন, এ ক্ষেত্রে তুরস্ক এখনো তার প্রাপ্য অবস্থানে পৌঁছায়নি।

বায়কারের চেয়ারম্যান বলেন, প্রশ্ন হলো, ‘তুরস্ক কীভাবে তার নিজস্ব জাতীয় পারমাণবিক শক্তি সক্ষমতা অর্জন করবে এবং স্বাধীনভাবে এই প্রযুক্তির বিকাশ করবে। যখন আমরা ভাবি যে পারমাণবিক প্রযুক্তির রোডম্যাপ (পথনকশা) কী হওয়া উচিত, তখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হাজার হাজার প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।’

বায়কার হলো তুরস্কের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা। তাদের ফ্ল্যাগশিপ সামরিক ড্রোন, বায়রাকতার টিবি২ বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। সিরিয়া, আজারবাইজান, ইউক্রেন ও লিবিয়ার সংঘাতে এই ড্রোন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।

এসএমআর এখনো পরীক্ষামূলক প্রযুক্তি, যা যথেষ্ট বিনিয়োগের দাবি রাখে।

জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয় বিকল্প এসএমআর প্রযুক্তিগুলো খতিয়ে দেখছে। সম্প্রতি থোরিয়ামে চালিত পারমাণবিক চুল্লি প্রস্তুতকারক একটি সংস্থা কোপেনহেগেন অ্যাটমিক্স পরিদর্শন করার জন্য ডেনমার্কে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।

মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, তুরস্কের উল্লেখযোগ্য থোরিয়াম মজুত রয়েছে, যা ভবিষ্যতের জ্বালানি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ