ছুটির দিনের সকালে ঢাকার বায়ু ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’
Published: 5th, December 2025 GMT
সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বায়ুর নগরী। ছুটির দিনে ঢাকায় সাধারণত যানবাহন কম চলাচল করে। কলকারখানাও প্রায় বন্ধ থাকে। ঢাকার বায়ুদূষণের দুটি বড় উৎস এগুলো। তারপরও ঢাকার বায়ুদূষণ কমছে না।
সকাল নয়টার দিকে ঢাকার বায়ুমান ২৫২। ২৭৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের ১৮৭টি নগরীর মধ্যে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। গতকাল অবশ্য সকালের দিকে নয়াদিল্লিকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর নগরী ছিল ঢাকা।
বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের অবস্থা নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।
বায়ুর মান ২০০-এর বেশি হলে তাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। আর ৩০০-এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’। এর মধ্যে গত ২৮ নভেম্বর ঢাকার বায়ুমান ৩০০ অতিক্রম করেছিল।
দেশে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় বিভিন্ন সময় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখনো নানা উদ্যোগ-কথাবার্তা শোনা যায়। কিন্তু বায়ুদূষণ পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এটা শুধু যে ঢাকায়, তা নয়, সারা দেশে। কোনো কোনো দিন ঢাকাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে দেশের অন্যান্য শহরের বায়ুদূষণ।
ঢাকার ৫ স্থানে বায়ুদূষণ বেশি
আজ ঢাকার পাঁচ স্থানের বায়ু বেশি দূষিত। স্থানগুলো হলো মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (২৮০), দক্ষিণ পল্লবী (২৭১), কল্যাণপুর (২৬৪), বে’জ এজ ওয়াটার (২৩৯) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২০৭)।
চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে ধারাবাহিকভাবে ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষের দিকে থাকছে। ঢাকার বায়ুমান খুব অস্বাস্থ্যকর দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই। আজ তা খুবই অস্বাস্থ্যকর।
সুরক্ষায় নগরবাসী যা করবেন
আইকিউএয়ারের পরামর্শ অনুযায়ী, আজ ঢাকায় বায়ুর যে মান, তাতে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বাড়ির বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর ঘরের জানালাগুলো যতটা সম্ভব বন্ধ রাখতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরা দেশে গুম ও মিথ্যা মামলার সংস্কৃতি বন্ধ করেছি’
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, “আমরা আইনি ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। এজন্যই জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশে আমরা কোনো ক্রস ফায়ারের ঘটনা দেখিনি। আমরা দেশে গুম ও মিথ্যা মামলার সংস্কৃতি বন্ধ করেছি।”
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সার্কিট হাউজে শিশু সাইমা খাতুন সাবার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
পিরোজপুরে পর্নোগ্রাফি আইনে যুবক গ্রেপ্তার
কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ তারকারা
আরো পড়ুন: প্রতিবেশীর ঘরের খাটের নিচে মিলল নিখোঁজ শিশুর লাশ
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “বুধবার রাতে ঝিনাইদহে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশু সাইমা খাতুন সাবা হত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে। যারা এই হত্যার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করবেন, তারা যত ক্ষমতাবানই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
তিনি বলেন, “শিশু সাবা হত্যা মামলায় বিচার প্রক্রিয়ায় কেউ বাধা দিলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি এলাকার ভ্যানচালক সাইদুল ইসলামের সাড়ে ৩ বছরের মেয়ে সাবা নিখোঁজ হয়। রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী শান্তনা খাতুনের ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শান্তনা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ