শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাড়াতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। আজ বৃহস্পতিবার পেট্রোবাংলার সভাকক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

পরে পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় পক্ষ লাভবান হবে। এ ছাড়া জনবলের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন, যৌথ গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজনের মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে।

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো.

রেজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পেট্রোবাংলার পক্ষে সচিব মো. আমজাদ হোসেন ও বুয়েটের পক্ষে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (রাইজ) পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে গবেষণাগার ও সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে খনন স্থান, ভূতাত্ত্বিক জরিপ, প্রক্রিয়াকেন্দ্র, কয়লা খনি পরিদর্শনের সুযোগ, প্রয়োজনীয় তথ্য আদান–প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণালব্ধ জ্ঞান বাস্তবিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি হলো। একইভাবে বাস্তব অভিজ্ঞতা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করবে। গবেষণার স্বার্থে দেশের জন্য গোপনীয় বা সংবেদনশীল কোনো তথ্য ছাড়া অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করতে পারবে বুয়েট। সমঝোতার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময় খুবই প্রচলিত একটি বিষয়। এ সম্পর্ক শুধু জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে দাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ক নয়, বরং পারস্পরিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার অন্যতম পন্থা বলে বিবেচিত। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুপরিচিত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা দেশ–বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ স্থানে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম রক সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ও দ্রোহের গল্পে সাজানো ২৬তম টোকিও ফিল্মেক্স আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

শরতের টোকিও যেন এক অন্তহীন চলচ্চিত্র নগরী, সারা বিশ্ব থেকে আসা নির্মাতা-অভিনেতা, চলচ্চিত্র বোদ্ধা কিংবা সাধারণ দর্শকদের পদচারণ ও মিথস্ক্রিয়ায় মুখর সর্বদা যার সড়ক-সিনেমা হল। একটি উৎসব শেষ হতে না হতেই শুরু হয় পরের আয়োজন, যদিও আদল আর আমেজে থাকে ভিন্নতা। আন্তর্জাতিক থেকে দেশীয়, ফিকশন থেকে ডকুমেন্টারি, লাইভ অ্যাকশন থেকে অ্যানিমেশন—একেক আয়োজনের রয়েছে একেক কেন্দ্রবিন্দু। টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হতে না হতেই গত ২১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত নগরীর ইউরাকুচো এলাকায় অনুষ্ঠিত হলো ২৬তম টোকিও ফিল্মেক্স আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। মূলত এশীয় চলচ্চিত্রের ওপর আলোকপাত করা এই উৎসবে নিজ দেশ বা বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসরত এশীয় নির্মাতাদের শিল্পসম্মত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এশীয় চলচ্চিত্রের মধ্যেই গণ্ডি সীমিত রাখলেও ফিল্মেক্স টোকিওর একটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব। এতে চলচ্চিত্র নির্মাতা, সাংবাদিক ও সমালোচকদের পাশাপাশি বোদ্ধা দর্শকদের উপস্থিতিই মূলত বেশি।

২৬তম টোকিও ফিল্মেক্সের পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ