ভূমিকম্পজনিত কারণে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আগামী মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে খুলছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তার আগের দিন সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে স্থগিত থাকা সব সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। তবে এর আগে রবিবার (৭ ডিসেম্বর) ও সোমবার (৮ ডিসেম্বর)— এই দুই দিন অনলাইনে ক্লাস চলবে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভা শেষে এসব তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. রেজাউল করিম।

অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “আগামী সপ্তাহের সোমবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে স্থগিত থাকা সব পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়া মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। এর আগে রবিবার ও সোমবার অনলাইনে ক্লাস চলবে।”

বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে— এ তথ্যও জানান উপাচার্য। তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারব।”

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, “আজকের বিশেষ সভায় ভূমিকম্পের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস কবে থেকে খোলা হবে ও পরীক্ষা কবে নেওয়া যাবে— এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জকসু নিয়ে নির্বাচন কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই চূড়ান্ত।”

তিনি আরও বলেন, “মঙ্গলবার থেকে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হবে। সোমবার থেকে চাইলে যে-কোনো বিভাগ সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে রবিবার ও সোমবার অনলাইনে ক্লাস চলবে।”

এর আগে ধারাবাহিক ভূমিকম্পের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও বিভিন্ন প্যানেলের দাবির প্রেক্ষিতে ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চালু রাখা হয়। 

ঢাকা/লিমন/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড স ম বর পর ক ষ স মব র

এছাড়াও পড়ুন:

রেজা কিবরিয়া মনোনয়ন পাওয়ায় খুশি বিএনপির একাংশ, অসন্তুষ্ট ‘বঞ্চিত’ নেতারা

হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য দলটিতে যোগ দেওয়া অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া। তিনি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে। তাঁর মনোনয়নের খবরে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করলেও ‘খুশি’ হতে পারেননি অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

হবিগঞ্জের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে আগে তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ফাঁকা রাখা হয়েছিল হবিগঞ্জ-১ আসনটি। এখানে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া, নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী ও রেজা কিবরিয়া।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটায় রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৬টি আসনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় হবিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রেজা কিবরিয়ার নাম ঘোষণা করা হয়।

রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। পরে তিনি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক, গণ অধিকার পরিষদ ও আমজনতার দলের আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন।

রেজা কিবরিয়া সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি খুশি। এলাকার মানুষও খুশি এই মনোনয়ন নিয়ে। এখন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় বা জনগণ আমাকে সুযোগ দেন, তাহলে আমি আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নেব। আমি আশাবাদী মানুষের জন্য কিছু কাজ করতে পারব।’

আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ৩৬ বছর ধরে বিএনপির জন্য কাজ করেছি। এ আসনটি ছিল আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। সেই দাপট ভেঙে আমি বিএনপির প্রথম এমপি হই। দল কেন রেজা কিবরিয়াকে মনোনয়ন দিল, বুঝে উঠতে পারছি না। এতে এলাকার মানুষ জামায়াতকে ভোট দেবে।’

অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশী ছাবির আহমদ চৌধুরী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘তৃণমূলে নেতা-কর্মীরা যাঁকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন, তাঁকে দল মনোনয়ন দেয়নি।’

তবে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, রেজা কিবরিয়া মনোনয়ন পাওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরা খুশি। মনোনয়নের খবরে খুশিতে নবীগঞ্জ ও বাহুবলে মিষ্টি বিতরণ করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। রেজা কিবরিয়া শুধু সংসদ সদস্য নন; বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি মন্ত্রী হবেন বলে তাঁদের বিশ্বাস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ