নতুন নকশার ৫০০ টাকার নোট বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি গ্রাহকের হাতে নোট দিচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়ার পর ব্যাংকগুলো সেই টাকা গ্রাহকের হাতে দিচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এই ৫০০ টাকার নোট খোলাবাজারে দেখা যায়নি। বিকেলে মতিঝিল খোলাবাজারে প্রতিটি নতুন ৫০০ টাকার নোটের দাম ৬০০ টাকা হাঁকতে দেখা গেছে। বিক্রেতারা এর কমে নোট ছাড়ছেন না।

বর্তমানে প্রচলিত ৫০০ টাকার নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি আছে। নতুন নোটে তা নেই। নতুন নোটের নকশায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি আছে। নতুন নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সই আছে।

আজ বিকেলে মতিঝিলের ১০ জন নোট বিক্রেতার মধ্যে দুজনের কাছে ৫০০ টাকার নোট এসেছে। তাঁরা জানান, ৫৮০ টাকা দিয়ে প্রতিটি নোট কিনতে হয়েছে। সে জন্য তাঁরা ৬০০ টাকা দাম চাইছেন। তবে কোনো গ্রাহক দেখা যায়নি।

বিক্রেতারা জানান, নতুন নোট নিয়ে ঈদের সময় কিছুটা আগ্রহ থাকে। অন্য সময় গ্রাহক থাকে না। তবে ছেঁড়াফাটা নোটের বিক্রেতা নিয়মিত থাকে। ছেঁড়াফাটা নোট কেনা তাঁদের মূল ব্যবসা। এই টাকা ঠিক করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বদল করে নেন তাঁরা। এটা তাঁদের আয়ের বড় অংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর স্বাক্ষরিত ৫০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংক নোটটির আকার ১৫২ মিমি x ৬৫ মিমি। নোটের সম্মুখভাগের বাঁ পাশে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি ও মাঝখানের ব্যাকগ্রাউন্ডে পাতা, কলিসহ প্রস্ফুটিত জাতীয় ফুল শাপলার ছবি।

অন্যদিকে নোটের পেছন ভাগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি মুদ্রিত আছে। নোটে জলছাপ হিসেবে আছে বেঙ্গল টাইগারের মুখ। তার নিচে উজ্জ্বল ইলেকট্রোটাইপ জলছাপে ‘৫০০’ এবং ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ রয়েছে। নোটটিতে সবুজ রঙের আধিক্য আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৫০০ ট ক র ন ট নত ন ন ট গ র হক

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় ৫ জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে পাঁচ জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এতে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারের পাঁচটি জুয়েলারি দোকানে চুরি হয়। 

আরো পড়ুন:

শরীয়তপুরে চিকিৎসক দম্পতির বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাকসহ ৩০টি গরু লুট

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের পূর্ব দিকে আঁখি জুয়েলার্স, মা জুয়েলার্স, মধু জুয়েলার্স, উত্তম জুয়েলার্স ও মাতৃ জুয়েলার্স স্বর্ণের দোকান। প্রতিদিনের মতো দোকানের কাজকর্ম সেরে দোকান তালাবদ্ধ রেখে চলে যান ব্যবসায়ীরা। রাত ২টার দিকে গুমানী নদী দিয়ে একটি স্পিডবোটে করে ১২-১৫ জনের ডাকাতদল প্রথমে অষ্টমনিষা বাজারে নামে। তারপর বাজারে থাকা তিনজন নৈশ প্রহরীকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে তারা। এরপর একে একে পাঁচটি জুয়েলারি দোকানে তালা কেটে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, আঁখি জুয়েলার্সের ২০ ভরি সোনা, ১৮০ ভরি রুপা ও নগদ ২০ হাজর টাকা; মা জুয়েলার্সের ১১ ভরি সোনা, ৩০০ ভরি রুপা ও নগদ ৪০ হাজার টাকা; মধু জুয়েলার্সে ৫ ভরি সোনা, ৩ লাখ নগদ টাকা ও ২০০ ভরি রুপা; উত্তম জুয়েলার্সে ১২ ভরি সোনা, ১৫ লাখ টাকা ও ১০০ ভরি রুপা এবং মাতৃ জুয়েলার্সে আড়াই ভরি সোনা, ২৫ ভরি রুপা ও দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রতন কর্মকার বলেন, ‘‘রাত ২টার দিকে আমার বাসায় গিয়ে গেটে শব্দ করে ডাকাডাকি শুরু করে ডাকাতদল। তারা নিজেদের প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেয়। এরপরও বাড়ির গেট খুলিনি।’’

আঁখি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আত্তাব আলী বলেন, ‘‘আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি।’’ মা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী বলেন, ‘‘অনেক টাকা ঋণ করে দোকান করেছি। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।’’ 

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ভোরে ডাকাতি হওয়া দোকান ও এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করবে।’’ 

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কেউ থানায অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘‘ডাকাতির ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন টিম কাজ করছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ