নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। এসময় ছাত্রদলের কার্যালয়ের হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোড়গাঁও চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজানসহ তার লোকজনের সঙ্গে অপর ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসানসহ তার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সঙ্গে রাজনীতি করেন। অপরদিকে রাকিব হাসান অপর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর রাজনীতি করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ৩৫ থেকে ৪০ জনের একটি দল ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদল কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত আট জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ মাওলা বিন মিজান অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার রাতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রদল দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। সেখানে ছাত্রদল নেতা মাসুদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। রাতেই প্রতিপক্ষ রাকিব হাসান ও তার লোকজন ওই কার্যালয়ে এসে কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের ছবি নামিয়ে রাখা এবং কার্যালয় খালি করে দেওয়ার জন্য বলে আসে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রাকিব হাসান, শাহাবুদ্দিন, নজরুল, মোশারফ, বাবু, আরিফ বকুলসহ ৩৫ থেকে ৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী পিস্তল ও দাড়ালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ৮ নং ওয়ার্ডের ছাত্র দলের কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সহ কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের ছবি ফেলে দিয়ে ভাঙচুর করে। শুধু তাই নয় ওই কার্যালয়ে থাকা টিভি ও আসবাবপত্রসহ মালামাল ভাঙচুর করে। বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা তাকেসহ সাজ্জাদ মাওলা বিন সিয়াম, জুবায়ের হোসেন, আব্দুল্লাহ, সায়েম, জুবায়ের শাহরিয়ার নাসিম ও গোলাম মাওলা নয়নকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বিএনপির দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান।

এ ব্যাপারে  ছাত্রদল নেতা রাকিব হাসান জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই কার্যালয়ে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে গ্রামবাসী হামলা করেছে।

ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ স ঘর ষ র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ য় উর রহম ন ছ ত র দল ছ ত রদল ন ত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা ৭-এ বিএনপির প্রার্থী হামিদ জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরো ৩৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ঢাকা-৭ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক জগন্নাথ কলেজ) ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ।   

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আরো পড়ুন:

জলবায়ু পরিবর্তনে বিষাক্ত ধাতু মুক্ত হচ্ছে, ভবিষ্যতের জন্য নতুন হুমকি

রাবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ২ লাখ ছাড়াল 

গত ৩ নভেম্বর বিএনপি প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল। একদিন পর মাদারীপুর-১ আসনের ঘোষিত প্রার্থীর নাম স্থগিত করা হয়। 

সে হিসাবে মোট ২৭২ আসনে দলটির প্রার্থী ঘোষণা করা হলো। বাদ বাকি ২৮ আসনের তালিকা ‘যথাসময়ে’ ঘোষণা করা হবে বলে বিএনপি মহাসচিব জানিয়েছেন।

ঢাকা-৭ আসনে দলের মনোনয়ন পাওয়া হামিদুর রহমান হামিদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। স্কুলজীবন থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। তার নেতৃত্বের অন্যতম মাইলফলক ছিল জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা পালন করা। তার সময়ের ছাত্রনেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ, ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জগন্নাথ কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং অদ্যাবধি এর পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন।

রাজনৈতিক পদবীর বাইরেও নিজ এলাকায় মানুষের সেবায় নিবেদিত এক সমাজসেবক, দানবীর ও ন্যায়প্রিয় নেতা হিসেবে বেশ পরিচিত হামিদুর রহমান।

হামিদুর রহমান বলেন, ‘‘মানুষের পাশে থাকা আমার জীবনের মূল অঙ্গীকার। ঢাকা-৭ আসনের মানুষের জন্য সেবা, সহমর্মিতা ও আস্থা—সবকিছুই আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবে।’’ 

এর আগে ঢাকার ১৩ আসেন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-৫ নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১১ এম কাইয়ুম, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৪ সানজিদা ইসলাম তুলি, ঢাকা-১৫ শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬ আমিনুল হক এবং ঢাকা-১৯ আসনে দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। আজ ঢাকার আরো চার আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন ঢাকা-৭ আসনে হামিদুর রহমান, ঢাকা-৯ আসনে হাবিবুর রশিদ, ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-১৮ আসনে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

ঢাকা/লিমন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ