১ লাখ কোটি টাকার পারিবারিক ব্যবসাও সামলান এই তারকা-পত্নী
Published: 5th, December 2025 GMT
দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার রাম চরণ। ২০১২ সালে ১৪ জুন উপাসনার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। বিয়ের ১০ বছর পর প্রথম সন্তানের বাবা-মা হন এই দম্পতি। আবারো জমজ সন্তানের বাবা-মা হতে যাচ্ছেন তারা। কয়েক দিন আগে আইআইটি হায়দরাবাদে ডিম্বাণু সংরক্ষণ নিয়ে মন্তব্য করার পর কটাক্ষের শিকার হন উপাসনা, তৈরি হয় বিতর্ক। সময়ের সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন উপাসনা। তারপর থেকে আলোচনায় রয়েছেন এই তারকা-পত্নী।
রাম চরণের স্ত্রী উপাসনার আরেক পরিচয় তেলুগু চলচ্চিত্রের মেগাস্টার চিরঞ্জীবীর পুত্রবধূ। রাম চরণ রুপালি পর্দার ‘রাজা’ হলে ব্যবসার ‘রানি’ উপাসনা। তারকা-পত্নী হওয়ার পাশাপাশি তার নিজস্ব একটি পরিচয়ও রয়েছে। বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালের করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির ভাইস চেয়ারপার্সন উপাসনা। পাশাপাশি সমাজসেবার সঙ্গেও যুক্ত। নারী ও শিশুদের জন্য নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
বিজয়ের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যা বললেন রাশমিকা
ধানুশ-কৃতির সিনেমার আয় ১৩৬ কোটি টাকা
পারিবারিকভাবে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে উপাসনার যোগসূত্র। ভারতের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিষেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রতাপচন্দ্র রেড্ডির নাতনি। ৭৭ হাজার কোটি রুপির (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৪ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকার বেশি) ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী উপাসনা। তার মা শোবনা কামিনেনি হলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারপার্সন। প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তা হলেন উপাসনা।
হায়দরাবাদে স্কুল জীবনের পাঠ শেষ করেন উপাসনা। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনে পাড়ি জমান। লন্ডনের রিজেন্টস ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিপণন ও ব্যবস্থাপনায় বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করে তিনি। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে পুরস্কারও পেয়েছিলেন এই মেধাবী ছাত্রী। তারপর দেশে ফিরে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন উপাসনা। পারিবারিক ব্যবসার বৃত্ত ছেড়ে উপাসনার প্রভাব গণমাধ্যমে বিস্তৃত। একটি ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক উপাসনা। নারীদের স্বাস্থ্য-সুস্থতা নিয়ে মাঝেমধ্যেই কলম ধরেন।
উপাসনার কর্মযজ্ঞ এখানেই শেষ নয়। একটি বীমা সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালকও তিনি। উপাসনার বাবা অনিল কামিনেনির সংস্থারও দায়িত্ব তার কাঁধে রয়েছে। এমনকি, তার শাশুড়ি, রাম চরণের মা সুরেখা কোনিদেলার খাবারের ব্যবসার পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন উপাসনা। অর্থাৎ হেঁশেল থেকে স্বাস্থ্য, সমস্ত ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণ উপাসনার।
একটি বিশেষ উদ্যোগের সঙ্গে উপাসনার নাম জড়িয়ে আছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে ভারতজুড়ে ১৫০টিরও বেশি বৃদ্ধাশ্রম দত্তক নিয়েছেন ব্যবসায়ী পরিবারের এই কন্যা। শুধু দত্তক নেওয়াই নয়, এসব বৃদ্ধাশ্রমের সদস্যরা যাতে সঠিক আদর-যত্ন পান সেদিকেও খেয়াল রাখেন উপাসনা। জীবন সায়াহ্নের এই মানুষগুলো যাতে শারীরিক-মানসিকভাবে ভালো থাকেন সেটাই টার্গেট বলে জানিয়েছেন উপাসনা।
উপাসনার নানু ডা.
বেসরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার আগে প্রতাপচন্দ্র পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। নিজের কন্যাদেরও ব্যবসার কাজ বুঝিয়েছেন প্রতাপচন্দ্র। তা চার কন্যাই প্রতিষ্ঠানটির উঁচু পদে রয়েছেন। প্রতাপচন্দ্রের এক কন্যা শোবনার মেয়ে উপাসনা এই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
কলেজ জীবন থেকেই একে অপরকে চিনতেন রাম চরণ ও উপাসনা। বন্ধু মহলে তারা ছিলেন আলোচিত। অম্ল-মধুর সম্পর্কে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন। এরপর এক সময় রাম চরণ দেশের বাইরে যান। তখন পরস্পরের সঙ্গ মিস করতেন তারা। সবাই ধরেই নিয়েছিল প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন দু’জন। কিন্তু তখনও পরস্পরকে বন্ধুই ভাবতেন তারা। রাম চরণের ‘মাগাধীরা’ সিনেমাটি মুক্তির পরই মূলত উপাসনার সঙ্গে এই অভিনেতার প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। দু’জনের পরিবারের মধ্যে বেশ মধুর সম্পর্ক ছিল, এজন্য বিয়ে নিয়েও কোনো ঝামেলা হয়নি।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের টেম্পল ট্রি ফার্মসে রাম চরণ ও উপাসনার বাগদান হয়। জাঁকজমকপূর্ণ এই আয়োজনে ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা। তাদের বাগদান নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ উন্মাদনা ছিল। তাকে নিয়ে মিডিয়ার মাতামাতিতে বেশ বিব্রত ছিলেন উপাসনা। তবে সবকিছু বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন রাম চরণ। ২০১২ সালের ১৪ জুন পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে এই জুটির বিয়ে ও বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পর যৌথ সিদ্ধান্তে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেন রাম চরণ-উপাসনা। এই ডিম্বাণু থেকেই তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এ নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন উপাসনা।
উপাসনার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১৩০ কোটি রুপি। রাম চরণের মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৩৭০ কোটি রুপি। রাম চরণ-উপাসনার সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। এই দম্পতির হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে একটি বাংলো রয়েছে, যার দাম ৩০ কোটি রুপি। বিলাসবহুল বাংলোতে রয়েছে—সুইমিং পুল, একটি টেনিস কোর্ট, একটি বিশাল মন্দির, একটি জিমনেশিয়াম। তাছাড়া মুম্বাইয়ের একটি পেন্টহাউজের মালিকানাও রয়েছে রাম চরণ-উপাসনার।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ য়দর ব দ র ম চরণ র ব যবস র ক ব যবস পর ব র র পর ম
এছাড়াও পড়ুন:
দুবেলা খাবারের টাকা ছিল না, পরতেন ছেঁড়া শার্ট, এখন তিনি বিচারক
‘দুবেলা ভাত খাওয়ার টাকা ছিল না। ২০ টাকা খরচ করে কোনো রকম খেতাম। ভাতের সঙ্গে ফ্রি পাওয়া হোটেলের ডাল, সঙ্গে দু-একটা পেঁয়াজু—এটিই ছিল প্রতিদিনের মেনু। অর্থসংকটে কাপড়ও কিনতে পারিনি। ছেঁড়া কাপড় নিয়েই বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়গুলোকে মনে করে এসব কথা বলছিলেন মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। সম্প্রতি ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে (বিজেএস) সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। গত সোমবার তিনি এ পদে যোগদান করেন। আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদুয়াপাড়া এলাকায় আবদুর রহমান ছেলে তিনি। সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনিই সবার ছোট।
দেলোয়ারের বাবা আবদুর রহিম স্থানীয় একটি ভূমি অফিসের কর্মচারী ছিলেন। বড় সংসার আর বাবার স্বল্প আয়ের কারণে পরিবারে সব সময় অনটন লেগেই থাকত। অভাবের মধ্যেই বেড়ে উঠেছেন দেলোয়ার হোসেন। তবে দমে যাননি। অভাব মোচনে ছাত্র অবস্থায় করেছেন একাধিক টিউশনি।
দেলোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৭ সালে ওই বিভাগ থেকে স্নাতক ও ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ছেঁড়া শার্ট থেকে কালো রঙের গাউন-কোট পরার এ যাত্রা কখনোই সহজ ছিল না তাঁর। পরপর তিনবার বিজেএসের মৌখিক পরীক্ষা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। পরে চতুর্থবারে তিনি সফল হন।
‘অনুপ্রেরণা এসেছিল বাবার থেকে’
দেলোয়ারের বাবা ২০০১ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। তবে প্রায়ই তাঁকে আদালতে যেতে হতো। অনেক সময় সঙ্গে দেলোয়ারকেও নিয়ে যেতেন তিনি। ২০১১ সালে দেলোয়ার যখন উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, তখন তাঁর বাবার সঙ্গে আদালতে যান। সেদিন সুশৃঙ্খল ও গম্ভীর পরিবেশে আদালতের বিচারকাজ চলছিল। এজলাসে থাকা বিচারককে দেখিয়ে বাবা দেলোয়ারকে বলেছিলেন, ‘দেখিস, বিচারক হতে পারিস কি না!’
২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হই। এর মধ্যে বাবা মারা যান। তখন অনেক ভেঙে পড়ি। তবে মাথায় ছিল বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। এরপর আবার চেষ্টা করে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাই। মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনবাবার সেই কথা আজও মনে পড়ে দেলোয়ারের। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই দিন এ কথা শোনার পর বাবার স্বপ্ন পূরণে আরও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তির জন্য প্রস্তুতিও শুরু করি। তবে প্রথমবার সফল হতে পারিনি। ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হই। এর মধ্যে বাবা মারা যান। তখন অনেক ভেঙে পড়ি। তবে মাথায় ছিল, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই হবে। এরপর আবার চেষ্টা করে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাই।’
জীবনের মোড় ঘোরানো বিকেল
সময়টা ছিল ২০০৪ সাল। দেলোয়ার হোসেন তখন বরুমচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। একদিন বিকেলে টিপটিপ বৃষ্টিতে ভিজেই গরুর জন্য ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এর মধ্যেই দেখা হয় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপক চৌধুরীর সঙ্গে। এর পরের দিন দেলোয়ারের বাবাকে ডেকে পাঠান দীপক চৌধুরী। দীপক চৌধুরী অনুরোধ করেন, দেলোয়ারকে যেন আপাতত খুব বেশি কাজ করতে দেওয়া না হয়। কারণ, সামনে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা। পরীক্ষার পড়াশোনায় যাতে দেলোয়ার বেশি মনোযোগী হয়।
দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত আমি নিজের ইচ্ছাতেই ঘাস কাটতাম। তবে ওই দিনের এ ঘটনা আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ওই দিনের পর বাবা আমাকে কোনো কাজ করতে দিতেন না। তিনি দীপক স্যারের কথা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন। ওই বছরের বৃত্তি পরীক্ষায় আমি পাসও করেছিলাম। আমার পড়াশোনার ভিত দীপক স্যারই গড়ে দিয়েছিলেন।’
অনটনের মধ্যেও যেভাবে পথচলা
ছেঁড়া শার্ট ও জীর্ণ প্যান্টে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটলে চড়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন দেলোয়ার হোসেন। অনটনের মধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়ার পর যখন তিনি আইন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন, সেদিনই বাবার হাসিমুখ স্মৃতিতে ভেসে উঠেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি ও এলএলএম পড়ার পুরো সময়ই ছিল লড়াইয়ের। বাবার অনুপস্থিতিতে সংসারের খরচ জোগাতে প্রতিদিন টিউশনি করতে হতো দেলোয়ার হোসেনকে। তবে এত কিছুর মধ্যেই পরিবার থেকে বিভিন্ন আশ্বাস পেতেন। মা ও ভাইবোনেরা টাকার চিন্তা না করে জজ হতেই হবে—এমন উৎসাহ দিতেন। পরিবারের এ মনোবলই তাঁকে সামনের দিকে নিয়ে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পাস করার পর ২০১৯ সালে ১৩তম বিজেএস দেওয়ার সুযোগ পান। তবে সেবার সফল হননি। এরপর ১৪, ১৫, ১৬তম—প্রতিবারই মৌখিক পরীক্ষা থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। এরপরও তিনি মনোবল হারাননি।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁর বন্ধুরা তাঁকে শক্তি জুগিয়েছেন। তাঁরা টাকাপয়সার দুশ্চিন্তা না করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলতেন। সেই অকৃত্রিম ভালোবাসা তাঁকে নতুন সাহস দেয়। টিউশনি কমিয়ে পূর্ণ মনোযোগ দেন ১৭তম বিজেএসের প্রস্তুতিতে।
অবশেষে ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কাঙ্ক্ষিত দিন আসে দেলোয়ারের। ফলাফলের তালিকায় নিজের নাম দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। চোখের সামনে বারবার বাবার মুখ ভাসছিল সেদিন। দেলোয়ার বলেন, ‘এই যাত্রায় পরিবার, বড় ভাই, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমাকে শক্তি দিয়েছে। তাদের প্রতি আমি চিরঋণী।’