গবিতে ধর্ষণে অভিযুক্তদের পক্ষে থানায় যাওয়ায় শিক্ষক অবরুদ্ধ
Published: 4th, December 2025 GMT
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর পক্ষে থানায় যাওয়ার ঘটনায় লিমন হোসেন নামে আইন বিভাগের এক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় একই বিভাগের সভাপতিসহ দুই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে তারা আইন বিভাগের শিক্ষক লিমন হোসেনকে অবরুদ্ধ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে পিকনিকের কথা বলে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। ওই ঘটনার পর লিমন হোসেন থানায় যান বলে জানা যায়। এ ছাড়াও ধর্ষণের ঘটনায় প্রায় ২০ দিন আগে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আট মাস আগে ওই শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হন। এরপর থেকে তিনি টানা হুমকির শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি আবারও ওই শিক্ষার্থীকে বিষাক্ত পানীয় পান করতে বাধ্য করা হয় এবং তাকে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিভাগে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আইন বিভাগের প্রধান এবং প্রক্টরিয়াল বডির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল আলম বরাবর অভিযোগ দেয়। কিন্তু অভিযুক্তদের রক্ষায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ফারাহ ইকবাল এবং লিমন হোসেন। এ ছাড়া ধর্ষণে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হলে তাদের ছাড়িয়ে আনতে লিমন হোসেন থানায় যান।
এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির সভাপতি, আইন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল আলম, সহকারী অধ্যাপক ফারাহ ইকবালের পদত্যাগের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে ফারাহ ইকবাল বলেন, ‘‘বিভাগীয় প্রধান (রফিকুল আলম) যে কোনো ঘটনাই গুরুত্বহীন ভাবে দেখেন। এমনকি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ দিতে চাইলেও তিনি অভিযোগ নিতে গড়িমসি করেছেন। এমকি অভিযুক্ত দেলোয়ারের সাথে ওই দিন লিমন হোসেনকে বসে থাকতে দেখা গেছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘লিমন হোসেন বিভাগে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষকদের বিভিন্ন সময়ে চাপ প্রয়োগ করছেন। শিক্ষার্থীকে তিনি উসকে দেন এবং বিভিন্ন ঘটনা প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।’’
এ বিষয়ে লিমন হোসেন বলেন, ‘‘আমি একাই থানায় গেছিলাম ব্যক্তিগত কাজে। অভিযুক্তদের সাথে আমার কোনো কথা বা দেখাও হয়নি। আমি থানায় পৌঁছানোর সাথে সাথে দেখি পুলিশ তাদের নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি থানায় গেছিলাম একা। আসিফ কামরান চৌধুরী বা কেউ আমার সাথে ছিল না। আমি থানায় দেনদরবার বা দর কষাকষির জন্য যাইনি। যদি গিয়ে থাকি এবং তা প্রমাণ হয় তাহলে আমার যা শাস্তি হবে মেনে নেব।’’
এ দিকে ঘটনার জেরে উপাচার্যের সভাকক্ষে আলোচনায় বসেছেন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
ঢাকা/সাব্বির//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন ব ভ গ র ল মন হ স ন ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
গবিতে ধর্ষণে অভিযুক্তদের পক্ষে থানায় যাওয়ায় শিক্ষক অবরুদ্ধ
ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর পক্ষে থানায় যাওয়ার ঘটনায় লিমন হোসেন নামে আইন বিভাগের এক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় একই বিভাগের সভাপতিসহ দুই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে তারা আইন বিভাগের শিক্ষক লিমন হোসেনকে অবরুদ্ধ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে পিকনিকের কথা বলে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। ওই ঘটনার পর লিমন হোসেন থানায় যান বলে জানা যায়। এ ছাড়াও ধর্ষণের ঘটনায় প্রায় ২০ দিন আগে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আট মাস আগে ওই শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হন। এরপর থেকে তিনি টানা হুমকির শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি আবারও ওই শিক্ষার্থীকে বিষাক্ত পানীয় পান করতে বাধ্য করা হয় এবং তাকে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিভাগে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আইন বিভাগের প্রধান এবং প্রক্টরিয়াল বডির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল আলম বরাবর অভিযোগ দেয়। কিন্তু অভিযুক্তদের রক্ষায় বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ফারাহ ইকবাল এবং লিমন হোসেন। এ ছাড়া ধর্ষণে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হলে তাদের ছাড়িয়ে আনতে লিমন হোসেন থানায় যান।
এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির সভাপতি, আইন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল আলম, সহকারী অধ্যাপক ফারাহ ইকবালের পদত্যাগের দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে ফারাহ ইকবাল বলেন, ‘‘বিভাগীয় প্রধান (রফিকুল আলম) যে কোনো ঘটনাই গুরুত্বহীন ভাবে দেখেন। এমনকি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ দিতে চাইলেও তিনি অভিযোগ নিতে গড়িমসি করেছেন। এমকি অভিযুক্ত দেলোয়ারের সাথে ওই দিন লিমন হোসেনকে বসে থাকতে দেখা গেছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘লিমন হোসেন বিভাগে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষকদের বিভিন্ন সময়ে চাপ প্রয়োগ করছেন। শিক্ষার্থীকে তিনি উসকে দেন এবং বিভিন্ন ঘটনা প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।’’
এ বিষয়ে লিমন হোসেন বলেন, ‘‘আমি একাই থানায় গেছিলাম ব্যক্তিগত কাজে। অভিযুক্তদের সাথে আমার কোনো কথা বা দেখাও হয়নি। আমি থানায় পৌঁছানোর সাথে সাথে দেখি পুলিশ তাদের নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি থানায় গেছিলাম একা। আসিফ কামরান চৌধুরী বা কেউ আমার সাথে ছিল না। আমি থানায় দেনদরবার বা দর কষাকষির জন্য যাইনি। যদি গিয়ে থাকি এবং তা প্রমাণ হয় তাহলে আমার যা শাস্তি হবে মেনে নেব।’’
এ দিকে ঘটনার জেরে উপাচার্যের সভাকক্ষে আলোচনায় বসেছেন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
ঢাকা/সাব্বির//