অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ‘বীরে ডি ওয়েডিং’ সিনেমার শুটিং প্রসঙ্গে কথা বলেন। অভিনেত্রী জানান, সিনেমাটিতে নিজের ‘অর্ধনগ্ন’ পোশাক নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন। এমনকি সিনেমার প্রযোজক-স্টাইলিস্ট রিয়া কাপুরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এগুলো কি পোশাক?’

সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প
স্বরা বললেন, সাধারণত তিনি চরিত্রের জন্য শরীরের ভাষা ও সংলাপের ওপর অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি করেন। কিন্তু গ্ল্যামার চরিত্রগুলো তাঁর জন্য সবচেয়ে কঠিন। ‘বীরে ডি ওয়েডিং’ সিনেমায় নিজের চরিত্রের জন্য চেহারা, পোশাক ও নির্দিষ্ট ফিটনেস বজায় রাখার চাপের কারণে কাজটি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে রিয়ার সমর্থন তাঁর জন্য কাজটা সহজ করে দেয়।

আরও পড়ুনদুঃস্বপ্নের শৈশব থেকে আপত্তিকর প্রস্তাব, পর্দার আড়ালে জয়ার কঠিন জীবন২১ ঘণ্টা আগে

‘অর্ধনগ্ন’ হয়ে গানের দৃশ্যে
স্বরা জানালেন, ‘প্রতিদিন সুন্দর দেখানোর জন্য লেন্স, মেকআপ, নতুন চুল—সবকিছুতে মনোযোগ দিতে হয়েছিল। কখনো কখনো আমি পোশাক পরে প্রশ্ন করতাম, এটা কী? “তারেফান” গানের শুটিংয়ে আমি প্রথমবার বডিসুট পরেছিলাম। এটি মূলত ওয়ান-পিস সুইমিং পোশাক, ডিপ নেকসহ, হিলস বা বুটের সঙ্গে।’

‘বীরে ডি ওয়েডিং’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় চা বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মইদুল ইসলাম (৪৮) নামের এক চা বিক্রেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মইদুল ইসলাম হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত নজির সরদারের ছেলে। মইদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মাদকের মামলা আছে। স্থানীয় শিবের বাজারে তিনি চা বিক্রি করতেন।

মইদুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন—একই ইউনিয়নের কোরলগাছা গ্রামের শামছুল ইসলামের ছেলে বেলাল (৪২) এবং সন্তোষ (৪৫)। তাদের বিরুদ্ধেও মাদক-সংক্রান্ত একাধিক মামলা আছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানিয়েছে, মইদুল ইসলাম শিবের বাজারে চায়ের দোকান চালাতেন। মাদক সেবনের পাশাপাশি মাদক বিক্রিও করতেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি মইদুল। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে রামচন্দ্রপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের নির্জন ভিটায় মইদুলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। 

স্থানীয়দের ধারণা, মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জের ধর ধরে বুধবার রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা তাকে ভারী কোনো বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছে।

নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম জানিয়েছেন, ৪-৫ দিন যাবত চায়ের দোকান বন্ধ ছিল। বুধবার সন্ধ্যার আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মইদুল। সন্ধ্যার দিকে তাকে অপর মাদকসেবী ও মাদক কারবারি বেলালের সঙ্গে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। মইদুল বাড়ি না ফিরলে রাত ৯টার দিকে তার মোবাইল ফোন নম্বরে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও মইদুলের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেছেন, মইদুলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাথায় আঘাত করে মইদুলকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

ঢাকা/মাসুম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ