ঢাকায় লাঠিপেটার প্রতিবাদে সিলেটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভে পুলিশের বাধা
Published: 4th, December 2025 GMT
ঢাকায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্টের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা এবং লাঠিপেটার প্রতিবাদে সিলেটে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলেও পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশের বাধার মুখে বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেননি বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সিলেট জেলার নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হন সিলেট জেলার বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার নেতারা। পরে শহীদ মিনারের সামনে থেকে ব্যানারসহ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চৌহাট্টা মোড়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নেতা–কর্মীদের বেশ কিছু সময় উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। তাঁদের কেন বাধা দেওয়া হয়েছে জানতে চান। নেতারা ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’, ‘আমাদের বন্দর বিদেশিদের দেব না’—এমন বিভিন্ন¯স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনেই প্রতিবাদী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট মহানগর সভাপতি জাকির আহমদ। এ সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বাসদের সিলেটের আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সিলেটের সভাপতি আবু জাফর, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সিলেট জেলা শাখার সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পাল, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সিলেট জেলার সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে নেতারা শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এমন কর্মসূচির বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার স্পর্শকাতর এলাকা। যারা কর্মসূচি করছিল, তারা অন্যত্র এমন আয়োজন করলে বাধা থাকত না। শহীদ মিনারের সামনে তাদের আড়ালে অন্য নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন যোগ দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্টের সমাবেশ হয়। পরে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সম্পাদিত জাতীয় স্বার্থবিরোধী লালদিয়া-পানগাঁও টার্মিনাল ইজারা চুক্তি বাতিল এবং নিউমুরিং ও পতেঙ্গা টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে যমুনা অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ম গণত ন ত র ক জ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা ৭-এ বিএনপির প্রার্থী হামিদ জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরো ৩৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ঢাকা-৭ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছেন পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক জগন্নাথ কলেজ) ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরো পড়ুন:
জলবায়ু পরিবর্তনে বিষাক্ত ধাতু মুক্ত হচ্ছে, ভবিষ্যতের জন্য নতুন হুমকি
রাবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ২ লাখ ছাড়াল
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল। একদিন পর মাদারীপুর-১ আসনের ঘোষিত প্রার্থীর নাম স্থগিত করা হয়।
সে হিসাবে মোট ২৭২ আসনে দলটির প্রার্থী ঘোষণা করা হলো। বাদ বাকি ২৮ আসনের তালিকা ‘যথাসময়ে’ ঘোষণা করা হবে বলে বিএনপি মহাসচিব জানিয়েছেন।
ঢাকা-৭ আসনে দলের মনোনয়ন পাওয়া হামিদুর রহমান হামিদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। স্কুলজীবন থেকে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। তার নেতৃত্বের অন্যতম মাইলফলক ছিল জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা পালন করা। তার সময়ের ছাত্রনেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ, ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জগন্নাথ কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং অদ্যাবধি এর পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন।
রাজনৈতিক পদবীর বাইরেও নিজ এলাকায় মানুষের সেবায় নিবেদিত এক সমাজসেবক, দানবীর ও ন্যায়প্রিয় নেতা হিসেবে বেশ পরিচিত হামিদুর রহমান।
হামিদুর রহমান বলেন, ‘‘মানুষের পাশে থাকা আমার জীবনের মূল অঙ্গীকার। ঢাকা-৭ আসনের মানুষের জন্য সেবা, সহমর্মিতা ও আস্থা—সবকিছুই আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবে।’’
এর আগে ঢাকার ১৩ আসেন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-৫ নবীউল্লাহ নবী, ঢাকা-৬ ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-১১ এম কাইয়ুম, ঢাকা-১২ সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা-১৪ সানজিদা ইসলাম তুলি, ঢাকা-১৫ শফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা-১৬ আমিনুল হক এবং ঢাকা-১৯ আসনে দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। আজ ঢাকার আরো চার আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন ঢাকা-৭ আসনে হামিদুর রহমান, ঢাকা-৯ আসনে হাবিবুর রশিদ, ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-১৮ আসনে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
ঢাকা/লিমন/বকুল