কারিনা কাপুর খান, সোনম কাপুর, স্বরা ভাস্কর অভিনীত সিনেমা ‘বীরে ডি ওয়েডিং’। শশাঙ্ক ঘোষ নির্মিত এ সিনেমা ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। অর্ধনগ্ন হয়ে সিনেমাটির শুটিং করতে হয়েছিল। ফলে খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে; যা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে মন্তব্য স্বরার।  

মির্চি প্লাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরা ভাস্কর বলেন, “প্রতিদিন দেখতে ভালো লাগা, লেন্স পরা, মেকআপ নেওয়া, নতুন চুল—এগুলো সবচেয়ে কঠিন ছিল। কখনো কখনো আমি পোশাক পরে জিজ্ঞাসা করতাম, ‘এগুলো কী? সত্যিই কি এগুলো কাপড়?’ ‘তারিফান’ গানের শুটিংয়ের সময়ে বডিস্যুট পরেছিলাম। এটা কী তা আমি সেই সময়ে প্রথম শুনেছিলাম। মূলত, এটি ওয়ান পিস সুইমিং কস্টিউম, সঙ্গে ছিল হিল বা বুট।” 

আরো পড়ুন:

বিজয়ের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যা বললেন রাশমিকা

ধানুশ-কৃতির সিনেমার আয় ১৩৬ কোটি টাকা

অর্ধনগ্ন হওয়া প্রসঙ্গে স্বরা ভাস্কর বলেন, “ভ্যানিটি ভ্যান থেকে নেমে পার্কিং লট পেরিয়ে স্টুডিও পর্যন্ত হেঁটে যেতে হবে। আমি রিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘এসব পোশাক? নিচে কিছু পরার নেই?’ রিয়া বলেছিল, ‘এই আউটফিটে একটা ভাইব আছে, ফিশনেট স্টকিংস ইত্যাদি।’ তখন আমি বলেছিলাম, ‘আমি তো অর্ধনগ্ন! এভাবে স্টুডিওতে কীভাবে হাঁটব?’ আমি একটা তোয়ালে চেয়ে নিয়েছিলাম। তারপর সেটা জড়িয়ে হেঁটে গিয়েছিলাম। এটা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল।” 

চ্যালেঞ্জিং হলেও কাজটি শেষ পর্যন্ত সফলভাবে করেছিলেন স্বরা। কারণ সবকিছু কাটিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজটি সম্পূর্ণ করেছিলেন বলেও জানান ‘রঞ্জনা’খ্যাত এই অভিনেত্রী। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় ৫ জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় নৈশ প্রহরীকে বেঁধে রেখে পাঁচ জুয়েলারি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। সংঘবদ্ধ ডাকাতদল স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এতে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার অষ্টমনিষা বাজারের পাঁচটি জুয়েলারি দোকানে চুরি হয়। 

আরো পড়ুন:

শরীয়তপুরে চিকিৎসক দম্পতির বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রাকসহ ৩০টি গরু লুট

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের পূর্ব দিকে আঁখি জুয়েলার্স, মা জুয়েলার্স, মধু জুয়েলার্স, উত্তম জুয়েলার্স ও মাতৃ জুয়েলার্স স্বর্ণের দোকান। প্রতিদিনের মতো দোকানের কাজকর্ম সেরে দোকান তালাবদ্ধ রেখে চলে যান ব্যবসায়ীরা। রাত ২টার দিকে গুমানী নদী দিয়ে একটি স্পিডবোটে করে ১২-১৫ জনের ডাকাতদল প্রথমে অষ্টমনিষা বাজারে নামে। তারপর বাজারে থাকা তিনজন নৈশ প্রহরীকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে তারা। এরপর একে একে পাঁচটি জুয়েলারি দোকানে তালা কেটে ভেতরে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, আঁখি জুয়েলার্সের ২০ ভরি সোনা, ১৮০ ভরি রুপা ও নগদ ২০ হাজর টাকা; মা জুয়েলার্সের ১১ ভরি সোনা, ৩০০ ভরি রুপা ও নগদ ৪০ হাজার টাকা; মধু জুয়েলার্সে ৫ ভরি সোনা, ৩ লাখ নগদ টাকা ও ২০০ ভরি রুপা; উত্তম জুয়েলার্সে ১২ ভরি সোনা, ১৫ লাখ টাকা ও ১০০ ভরি রুপা এবং মাতৃ জুয়েলার্সে আড়াই ভরি সোনা, ২৫ ভরি রুপা ও দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতদল।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রতন কর্মকার বলেন, ‘‘রাত ২টার দিকে আমার বাসায় গিয়ে গেটে শব্দ করে ডাকাডাকি শুরু করে ডাকাতদল। তারা নিজেদের প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেয়। এরপরও বাড়ির গেট খুলিনি।’’

আঁখি জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আত্তাব আলী বলেন, ‘‘আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি।’’ মা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী বলেন, ‘‘অনেক টাকা ঋণ করে দোকান করেছি। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।’’ 

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ভোরে ডাকাতি হওয়া দোকান ও এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করবে।’’ 

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কেউ থানায অভিযোগ দেয়নি বলে জানান তিনি। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘‘ডাকাতির ঘটনা নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন টিম কাজ করছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ