ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে আরে একটি নৌকায় মার্কিন সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে।

এই হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন ২ সেপ্টেম্বর আরেকটি নৌকায় দুবার আঘাত হানার খবর প্রকাশ পাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে।

এক্স-এ একটি পোস্টে মার্কিন দক্ষিণ কমান্ড জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলাটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের নির্দেশে করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনী ‘আন্তর্জাতিক জলসীমায় একটি সন্ত্রাসী সংগঠন পরিচালিত জাহাজে মারাত্মক গতিশীল হামলা চালিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে জাহাজটি অবৈধ মাদক বহন করছিল এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি পরিচিত মাদক-পাচারের পথ ধরে চলাচল করছিল। জাহাজে থাকা চার পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।”

ট্রাম্প প্রশাসন মাসব্যাপী অভিযানে ৮০ জনেরও বেশি মাদক চোরাচালানকারীকে হত্যা করেছে। কিন্তু ২ সেপ্টেম্বরের হামলার ঘটনা প্রকাশের পর কংগ্রেসের দ্বিদলীয় কমিটিগুলো নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।

তবে হোয়াইট হাউস অস্বীকার করেছে যে হেগসেথ প্রাথমিক হামলার পর জাহাজে দ্বিতীয় হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বরং প্রথম হামলায় বেঁচে যাওয়া দুইজনকে হত্যা করার জন্য দ্বিতীয় হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন অ্যাডমিরাল ফ্রাঙ্ক।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির মনোনয়ন পেলেন কৃষক দলের নেতা নাসির, অন্য পক্ষে অসন্তোষ

বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে অবশেষে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও এই আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খন্দকার নাসির উল ইসলাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগে স্থগিত করা ৬৩টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ওই তালিকায় ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়ন পান খন্দকার নাসির উল ইসলাম।

গত ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় বিএনপি দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৬৭টিতে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করে। সে সময় ফরিদপুরের চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া হলেও ফরিদপুর-১ আসনটি স্থগিত রাখা হয়।

এ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির অন্তত সাতজন নেতা। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল খন্দকার নাসির ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দীন মিয়ার মধ্যে।

গত ২৩ অক্টোবর ফরিদপুর-১ আসনভুক্ত ৩টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। এসব কমিটিতে খন্দকার নাসিরের সমর্থকদের—যাঁদের অনেকেই অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের প্রাধান্য দিয়ে ‘বিএনপির নামে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শামসুদ্দীন মিয়ার সমর্থকরা।

ঘোষিত কমিটি বাতিল এবং দলীয় মনোনয়নের দাবিতে নাসির ও শামসুদ্দীনের সমর্থকেরা মিছিল, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। সবশেষে ৭ নভেম্বর বোয়ালমারী উপজেলা সদরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলায় খন্দকার নাসির ও শামসুদ্দীনকে এক নম্বর আসামি করা হয়। সংঘর্ষের পরও দুই নেতা গত বুধবার পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন দাবি করে বিভিন্ন মিছিল-সমাবেশ চালিয়ে যান।

দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর খন্দকার নাসির উল ইসলাম বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখায় আমার একাধিকবার মামলা হয়েছে, তারপরও আমি মাঠ ছাড়িনি। এ মনোনয়ন দিয়ে দল আমার মূল্যায়ন যথাযথ করেছে। দলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’

তবে ক্ষোভ প্রকাশ করে শামসুদ্দীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, এ তিন উপজেলার মূল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে পাশ কাটিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনএম, জাতীয় পার্টি, জামায়াত-শিবিরসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের ভাগিয়ে আনা লোকজন দিয়ে দল করা খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোটও নেই। যারা তিল তিল করে বিএনপি করেছে, দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে খন্দকার নাসির উল ইসলাম বলেন, ‘এ রকম ঘটনা থাকলে তারা প্রমাণ দিক। তবে এখন বিরোধ কিংবা জেদাজেদির সময় নয়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আমাদের একত্র হয়ে কাজ করতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ