খালেদা জিয়ার জন্য আজ বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া
Published: 5th, December 2025 GMT
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় তাঁর দল বিএনপির উদ্যোগে আজ শুক্রবার সারা দেশের মসজিদে মসজিদে জুমার নামাজের পর দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মুসল্লিদের এই দোয়ায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
খালেদা জিয়ার আশুসুস্থতা কামনায় মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি।
আরও পড়ুনলন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন জুবাইদা রহমান৮ ঘণ্টা আগেএদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের আশু রোগমুক্তি কামনা করে আজ বাদ জুমা দেশের সব মসজিদে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ে সংশ্লিষ্ট ধর্মের রীতি-আচার অনুযায়ী প্রার্থনারও আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
১৩ দিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে বলে গতকাল দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ সেই যাত্রা হতে পারে।
আরও পড়ুনখালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন ১৪ জন, থাকবেন পুত্রবধূ শামিলা, ছয় চিকিৎসক১৭ ঘণ্টা আগেতবে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ‘কারিগরি সমস্যা’ দেখা দেওয়ায় যাত্রা বিলম্বিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
চিকিৎসার জন্য শাশুড়িকে লন্ডনে নিতে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন। গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার পরে জুবাইদা রহমানের ফ্লাইট লন্ডন ছেড়েছে।
আরও পড়ুনখালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে কাতার১৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনখালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে বিলম্ব হতে পারে ৬ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র র জন য রহম ন গতক ল মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির মনোনয়ন পেলেন কৃষক দলের নেতা নাসির, অন্য পক্ষে অসন্তোষ
বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে অবশেষে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও এই আসনের সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খন্দকার নাসির উল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগে স্থগিত করা ৬৩টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ওই তালিকায় ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়ন পান খন্দকার নাসির উল ইসলাম।
গত ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় বিএনপি দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৬৭টিতে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করে। সে সময় ফরিদপুরের চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী ঘোষণা দেওয়া হলেও ফরিদপুর-১ আসনটি স্থগিত রাখা হয়।
এ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির অন্তত সাতজন নেতা। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল খন্দকার নাসির ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দীন মিয়ার মধ্যে।
গত ২৩ অক্টোবর ফরিদপুর-১ আসনভুক্ত ৩টি উপজেলা ও ৩টি পৌরসভায় ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। এসব কমিটিতে খন্দকার নাসিরের সমর্থকদের—যাঁদের অনেকেই অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের প্রাধান্য দিয়ে ‘বিএনপির নামে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শামসুদ্দীন মিয়ার সমর্থকরা।
ঘোষিত কমিটি বাতিল এবং দলীয় মনোনয়নের দাবিতে নাসির ও শামসুদ্দীনের সমর্থকেরা মিছিল, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। সবশেষে ৭ নভেম্বর বোয়ালমারী উপজেলা সদরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলায় খন্দকার নাসির ও শামসুদ্দীনকে এক নম্বর আসামি করা হয়। সংঘর্ষের পরও দুই নেতা গত বুধবার পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন দাবি করে বিভিন্ন মিছিল-সমাবেশ চালিয়ে যান।
দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর খন্দকার নাসির উল ইসলাম বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখায় আমার একাধিকবার মামলা হয়েছে, তারপরও আমি মাঠ ছাড়িনি। এ মনোনয়ন দিয়ে দল আমার মূল্যায়ন যথাযথ করেছে। দলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
তবে ক্ষোভ প্রকাশ করে শামসুদ্দীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, এ তিন উপজেলার মূল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে পাশ কাটিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনএম, জাতীয় পার্টি, জামায়াত-শিবিরসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের ভাগিয়ে আনা লোকজন দিয়ে দল করা খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোটও নেই। যারা তিল তিল করে বিএনপি করেছে, দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে খন্দকার নাসির উল ইসলাম বলেন, ‘এ রকম ঘটনা থাকলে তারা প্রমাণ দিক। তবে এখন বিরোধ কিংবা জেদাজেদির সময় নয়। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আমাদের একত্র হয়ে কাজ করতে হবে।’