গোল বাতিলের ক্ষোভে দর্শকের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন নেইমার
Published: 25th, July 2025 GMT
সান্তোসে ফিরে আসার গল্পটা কি তবে শেষ পর্যন্ত হতাশার কালিতে লেখা হবে? নিজের শৈশবের ক্লাবকে পুনরায় গৌরবের পথে ফেরানোর প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন নেইমার জুনিয়র। কিন্তু বর্তমানে তার ফেরা যেন রূপ নিয়েছে এক বিভ্রান্তিকর অধ্যায়ে। যেখানে ইনজুরি, নিষেধাজ্ঞা, ফর্মহীনতা আর বিতর্ক ঘুরেফিরে হাজির।
২৩ জুলাই রাতে ব্রাজিলিয়ান সিরি’আ লিগে ইন্টারনাসিওনালের বিপক্ষে ২–১ গোলে হারে সান্তোস। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন নেইমার, ম্যাচ শেষে এক দর্শকের সঙ্গে মুখোমুখি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে।
ম্যাচের শেষদিকে সান্তোস যখন ২–০ গোলে পিছিয়ে, তখন যোগ করা সময়ে আলভারো মার্টিন বাররিয়ালের একটি গোল কিছুটা আশার আলো জাগায়। এরপর ৯৩তম মিনিটে বাঁ পায়ে দুর্দান্ত এক শট নেন নেইমার, যা সরাসরি জালে প্রবেশ করে বলে উদযাপন শুরু করেন তিনি। গ্যালারির সামনে দাঁড়িয়ে হাত উঁচিয়ে উল্লাস করেন, যেন নিজের ফিরে আসার ঘোষণা দিচ্ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বার্সায় রাশফোর্ড খেলবেন ১৪ নম্বর জার্সিতে
অল-স্টার ম্যাচে না খেলে বিতর্কে মেসি, এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি
কিন্তু বাস্তব ছিল ভিন্ন। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) হস্তক্ষেপে গোল বাতিল হয়ে যায়। কারণ, বলটি সম্পূর্ণরূপে গোললাইন অতিক্রম করেনি। মুহূর্তেই বদলে যায় আবহ। গ্যালারিতে ধেয়ে আসে দুয়ো আর চিৎকার। উত্তেজনার পারদ চড়ায় নেইমারও। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই এক দর্শকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হাত নেড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেইমার। সতীর্থরা এসে তাকে থামান। পরে অবশ্য হাসিমুখে আঙুল তুলে শান্তির ভঙ্গিও করতে দেখা যায় তাকে।
এই ঘটনাটি কেবল একটি সন্ধ্যার ঝড় নয়, বরং চলমান এক হতাশার প্রতীক। চলতি মৌসুমে চোটে ভোগা, মাংসপেশির ইনজুরি, লাল কার্ড, এমনকি করোনা সংক্রমণও যেন নেইমারের পথে বিছিয়ে দিয়েছে কাঁটা। তিনি মাঠে থেকেছেন কম, আলোচনায় থেকেছেন বেশি। তাও বিতর্কে।
আর সান্তোস? ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি এখন রয়েছে ব্রাজিলিয়ান লিগের অবনমন অঞ্চলের কিনারায়। টেবিলের ১৭তম স্থানে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে ক্লাবটিকে। সমর্থকরা নেইমারের ফেরা নিয়ে যে স্বপ্ন বুনেছিল, তা দিনে দিনে যেন ভেঙে পড়ছে বাস্তবতার ধাক্কায়।
একটি গোল বাতিল শুধু স্কোরলাইন বদলায় না, কখনও কখনও তা ফুটবলারের আত্মবিশ্বাস আর ক্লাবের ভবিষ্যতের দিকও ঘুরিয়ে দেয়। নেইমার সেই মোড়েই দাঁড়িয়ে। যেখানে প্রতিভা আর প্রত্যাশার মাঝখানে প্রশ্নচিহ্ন জ্বলজ্বল করছে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা
আজ শ্রাবণের ১৬ তারিখ। প্রকৃতির নিয়মে এ মাসে বৃষ্টি বেশি ঝরে। আজও ঢাকার আকাশ মেঘলা। বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ঝুম বৃষ্টি কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। তবে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রয়েছে ভূমিধসের ঝুঁকি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতিভারী বৃষ্টির কারণে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ বাস, রিকশা ও সাধারণ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শনিবারও সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগে অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
রবিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বর্ধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার ৬৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা/ইভা