Prothomalo:
2025-07-29@19:47:27 GMT

ইনসাফের লড়াই আরও দীর্ঘ

Published: 26th, July 2025 GMT

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এক সন্ধিক্ষণের মুহূর্তে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। যেকোনো সংকটকালে ‘বিদেশি’দের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ আয়োজন ও সমাধানের রাস্তা বের করার নজির এতকাল দেখে আসছি। এই প্রথম আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, কীভাবে তার রূপান্তর ঘটবে—সে সিদ্ধান্ত কোনো ‘বিদেশি’ হস্তক্ষেপ ছাড়াই রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ সংলাপ ও তর্কবিতর্কের মধ্য দিয়ে নিচ্ছে। নানা সীমাবদ্ধতাসহ এ অভূতপূর্ব ঘটনা গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে ঘটছে।

গণ-অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হওয়া উচিত, তার আইনকানুন, প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় কেমন হওয়া দরকার—তা নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে। তবে চব্বিশের জুলাই মাসে আমরা যে ধরনের সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছি, সেই আলোকে আমাদের আরও কিছু আলাপ করা দরকার ছিল বলে মনে করি, যা জনপ্রিয় পরিসরে এখনো অনুপস্থিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে এমন অনেক বিদ্বজ্জন জড়িত আছেন, যাঁরা প্রধানত ‘নাগরিক অধিকার’ নিয়ে কাজ করার জন্যই মশহুর। ফলে তাঁদের কাছে প্রত্যাশার পারদও ছিল উঁচুতে।

চব্বিশে আমরা যে ধরনের সহিংসতা দেখেছি, সেখানে কেবল কয়েকজন ব্যক্তির সম্পৃক্ততার বিষয় নয়; বরং সমাজের একটা বড় অংশ সেখানে জড়িত থাকে। আমলাতন্ত্র, পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বহু লোক এতে জড়িত থাকেন। সবাইকে যেমন আইনের সামনে নিয়ে আসা সম্ভব হয় নয়, তেমনি সবাইকে বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানোও সম্ভব হয় নয়। আবার প্রচলিত আইন এ ধরনের হত্যাযজ্ঞের বিচার করতে সক্ষম হয় না।

অন্যদিকে কেবল আইন-আদালতকেন্দ্রিক বিচার করলে এ সহিংসতার শিকার ভুক্তভোগীরা যে ধরনের ট্রমার ভেতর দিয়ে যান, সেটা নিরাময় করতে পারেন না। আবার এ ধরনের সহিংসতায় যে ধরনের বহুমাত্রিক ভুক্তভোগী তৈরি হন, প্রচলিত ব্যবস্থায় কেবল আপাতবিজয়ী গোষ্ঠীই নিজেদের ‘ভুক্তভোগী’ হিসেবে দাবি করতে পারে। ফলে কেবল তাদের সঙ্গে সংঘটিত সহিংসতার বিচারের দিকেই ধাবিত হন।

যখন কোনো সমাজে এ ধরনের বিরাট মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, তখন এর প্রভাব ও ধাক্কা সমাজ থেকে ধীরে ধীরে হ্রাস করতে চাইলে আমাদের ইনসাফের একটা বিরাট ক্যানভাসের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হতে হবে সমাজ ও রাষ্ট্রে সেই সহিংসতা যেন এমন কোনো ‘ক্ষত’ তৈরি করতে না পারে, যা ক্রমাগত সহিংসতার দুষ্টচক্র তৈরি করতে পারে।

মনে রাখা দরকার, সহিংসতার সঙ্গে আইডেন্টিটি বা পরিচয়ের সম্পর্ক নানামুখী হলেও প্রধানত দুই ধরনের সম্পর্ক দেখতে পাই আমরা। প্রথমত দেখি যে ‘পরিচয়’ই কখনো কখনো সহিংসতার কারণ হিসেবে উপস্থিত থাকে (আমরা যাকে নেতিবাচকভাবে আইডেন্টিটি পলিটিকস বলে নিন্দা করি)। দ্বিতীয়ত, সহিংসতা বা সহিংস অভিজ্ঞতা বা ইতিহাস খোদ সামষ্টিক ‘পরিচয়’ নির্মাণের অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজা শেষে কফিন মিছিল বের করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, আসন ২৩৯০টি

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনের জন্য এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রীদের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একাদশ শ্রেণির ভর্তির নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী ভর্তি করা হবে।

আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা

১. ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের জন্য: বিজ্ঞানে (বাংলা মাধ্যম) জিপিএ ৩.৫০, বিজ্ঞানে (ইংরেজি ভার্সন) জিপিএ ৩.৫০, ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৩.০০ এবং মানবিকে ৩.০০ পেতে হবে।

২. অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের জন্য: বিজ্ঞানে (বাংলা মাধ্যম): জিপিএ ৫.০০, বিজ্ঞানে (ইংরেজি ভার্সন) জিপিএ ৫.০০, ব্যবসায় শিক্ষায় জিপিএ ৪.৫০ এবং মানবিকে ৪.০০ পেতে হবে।

আসনসংখ্যা

বিজ্ঞানে (বাংলা মাধ্যম): ১৫৩০টি, বিজ্ঞানে (ইংরেজি ভার্সন) ৩০০টি, ব্যবসায় শিক্ষায় ২৮০টি এবং মানবিক ২৮০টি আসনে সর্বমোট ২ হাজার ৩৯০ ছাত্রী ভর্তি করা হবে।

অনলাইনে আবেদন ও নিশ্চায়নের তারিখ

প্রথম পর্যায়: অনলাইনে আবেদন ৩০ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট ২০২৫, নিশ্চায়নের তারিখ ২০ আগস্ট থেকে ২২ আগস্ট ২০২৫।

দ্বিতীয় পর্যায়: অনলাইনে আবেদন ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট ২০২৫, নিশ্চায়নের তারিখ ২৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট ২০২৫।

তৃতীয় পর্যায়: অনলাইনে আবেদন ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, নিশ্চায়নের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।

আরও পড়ুনবিল গেটস বৃত্তি, সুযোগ তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর২৩ জুলাই ২০২৫দরকারি তথ্য

১. ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের মধ্যে যারা এ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, তাদের অবশ্যই প্রথম পছন্দ হিসেবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্বাচন করতে হবে। উল্লেখ্য, অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রত্যেক ছাত্রীকে সর্বনিম্ন ৫টি কলেজ নির্বাচন করতে হবে।

২. আবেদন ফি ২২০ টাকা মাত্র।

৩. ইংরেজি ভার্সন বিজ্ঞান শাখা থেকে পাস করা ছাত্রীরাই শুধু ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

৪. পরবর্তী সময়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত মেধাতালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন নিশ্চায়ন ফি ৩৩৫ টাকা পরিশোধ করে প্রাথমিক নিশ্চায়ন সম্পন্ন করতে হবে।

৫. নিশ্চায়ন সম্পন্ন করার পর ভিএনএসসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইন প্রক্রিয়ায় ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। অনলাইনে ভর্তিপ্রক্রিয়ার বিস্তারিত পদ্ধতি পরবর্তী সময়ে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

# অনলাইন আবেদনের ওয়েব লিংক: https://esvg.xiclassadmission.gov.bd/

একাদশে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বা চতুর্থ বিষয় হিসেবে উচ্চতর গণিত নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে জীববিজ্ঞান ও পরিসংখ্যান বিষয়ের মধ্যে যেকোনো একটি বিষয় নিতে পারবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৪তম বিসিএস: মনোনীত প্রার্থীদের তথ্য চেয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
  • ‘আগামীর বাংলাদেশে মিডিয়াকে দালাল হিসেবে দেখতে চাই না’ 
  • ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
  • মাইলস্টোনে দগ্ধ ৩৩ জন এখনো ভর্তি, আইসিইউতে ৩
  • শেখ হাসিনার অডিওগুলো শুনলে বোঝা যায়, তাঁর এখনো প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা আছে: আইন উপদেষ্টা
  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
  • ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, আসন ২৩৯০টি
  • রাকসু: দীর্ঘ ৩৫ বছর অপেক্ষার অবসান ঘটাবে যে নির্বাচন
  • প্রয়োজন অনুসারে রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তনে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
  • ইতিহাসের আয়নায় বদরুদ্দীন উমর ও বামপন্থা