তুহিন হত্যার প্রতিবাদে নাঃগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের মানববন্ধন
Published: 12th, August 2025 GMT
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগষ্ট) বিকেল ৪ টায় শহরের চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি মোঃশহীদুল্লাহ রাসেলের সভাপতিত্বে ও জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজকের নীরবাংলার সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন,নারায়ণগঞ্জ রাইটার্স ক্লাব সাধারণ সম্পাদক শফিকুর ইসলাম আরজু, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মাসুম।
মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, শুধু গাজীপুরের তুহিনই হত্যা হয়নি। এদেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা হয়েছে। সাংবাদিকরা যখনই সত্য প্রকাশ করেছে তখনই তাদের টুটি চেপে ধরা হয়েছে।
করা হয়েছে একের পর এক গুম, খুন সহ হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি। দেশের সবচেয়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যা সাগর- রুনি দম্পতি হত্যাকান্ড। তথ্যমন্ত্রী বলেছিলো তাদের হত্যার দ্রুত বিচার করা হবে।
কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন বিচার পায়নি এই পরিবারটি। এখনো বলা হচ্ছে সাংবাদিক তুহিনের হত্যার বিচার করা হবে।আদৌ সাংবাদিক তুহিন হত্যার কতটা সুষ্ঠু বিচার করা হবে? নারায়ণগঞ্জের এক সাবেক এমপি আছে যে সত্য প্রকাশ করলে লোক দিয়ে মামলা করে করেন হয়রানি।
তাতে কি হয়েছে সাংবাদিকদের হয়রানি করতে গিয়ে আপনার জেলা এমনকি ছেলের পদ চলে গেছে। সাংবাদিকদের যতই সত্য প্রকাশে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেন না কেন পারবেন না।
সাংবাদিকরা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যে সরকার সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে পারে না সেই ব্যর্থ সরকারের তথ্য উপদেষ্টার অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করবো সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা আইন পাশ করা হোক। আপনেরা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে সাংবাদিকরা যদি একদিন জন্য কর্মবিরতি দেয় তাহলে এদেশে ধর্ষণ,গুম, খুন, চাঁদাবাজি বেড়ে যাবে।
এতে দেশে অপরাধীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কমে না বরং অপরাধ বেড়ে যাবে। তাই অতিবিলম্বে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করবো আপনেরা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।আজকে সাংবাদিকরা আছে বলেই অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয় পাচ্ছে।
এ সময়ে আরও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রফিকুল্লাহ রিপন, বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জুয়েল, সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সদস্য নজরুল ইসলাম সবুজ, এটিএন (এমসিএল) নারায়ণগঞ্জ, প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম সিরাজ, অপরাধ দমনের স্টাফ রিপোর্টার শাহীন আলম,
তালাশ ডটকমের সম্পাদক জুয়েল আলী, দূর্নীতি চিত্র শাহীম আহমেদ, ইদ্রিস আলী দেওয়ান, নিউজ প্রতিদিন ডটনেট.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ র প র ট র স ইউন ট র ন র য়ণগঞ জ উপদ ষ ট ব দ কর প রক শ হত য র অপর ধ ইসল ম সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির ঘটনায় ঝাড়ু-জুতা মিছিল
সোনারগাঁয়ে পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে গোপনে বিক্রির ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবীতে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল করেছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান–সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট স্কুলের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম এবং একাধিক অভিযোগের মুখে থাকা প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, “এ ইউনিয়নকে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে মাসুম ও মনিরুজ্জামান নিজেদের ইচ্ছেমতো সব কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
তাদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের মালামাল রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়। পরে এলাকাবাসী মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে। কিন্তু এখন উল্টো ভালো মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ মোল্লা বলেন, “একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল চুরি করে বিক্রি করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমাদের ইউনিয়নের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
স্কুলের মতো পবিত্র জায়গায় দুর্নীতি ও অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এলাকাবাসী রাতেই মালামাল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেছে—এ এলাকার মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই প্রশাসন যেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে।”
এলাকাবাসীরা জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালামাল বিক্রির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও পরিচালনা কমিটিতে সৎ-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি।
মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ঝাড়ু ও জুতা প্রদর্শন করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান ভূইয়া মাসুম জানান, একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণীত ভাবে আমাদের বিতর্কিত করতে বিক্রি করা মালামাল চুরির ঘটনা সাজিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে গতকাল মিটিং করেছি৷
অভিযুক্ত বর্তমান কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূইয়া জানান, আমরা স্কুলের একটি কমিটি করে বিক্রি করেছি। তবেমাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে কোনো অনুমতি নেই নি। বিক্রি করার পর গাড়িতে উঠাতে রাত হয়ে যায়। এখানে কোনো চুরির ঘটনা ঘটে নি।
উল্লেখ্য, গত (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককের নির্দেশে রাতের আধাঁরে নিয়মবহির্ভূতভাবে পঞ্চমীঘাট স্কুলের মালামাল বিক্রি করা হয়। যা স্থানীয় এক ভাঙ্গারীর পিক-আপ ভ্যানে নেয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।