একবার ভাবুন তো, শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলাকালে কোনো শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে পড়েছে, তাহলে কী হবে? শিক্ষক হয়তো ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে তুলবেন, ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে যেতে বলবেন অথবা কটু কথা শোনাবেন। সেই কথা শুনে হেসে উঠবে ক্লাসের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী—সাধারণত এমনই হওয়ার কথা। কিন্তু জাপানে ক্লাসরুমে কোনো শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে পড়লে তাকে সম্মান করা হয়। 

জাপানের একটি সংস্কৃতি হচ্ছে ‘ইনেমুরি’। এই শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘জেগে থাকতে থাকতে ঘুমোনো’ ।  জাপানি শিক্ষার্থীরা শুধু স্কুলেই নয়— জুকু অর্থাৎ (অতিরিক্ত কোচিং), ক্লাব অ্যাক্টিভিটি, এমনকি পার্ট-টাইম জবও করে থাকে। এর ফলে তারা প্রায়ই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ক্লাসে অনেক সময় কোনো কোনো শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে পড়ে। শিক্ষকরা মনে করেন, ক্লাসে ঘুমানো মানে অলসতা নয়। বরং এর অর্থ হলো শরীর বিশ্রাম চাইছে। এই ধারণা থেকেই শিক্ষার্থীদের ঘুম আসলে তাদের ঘুমাতে দেওয়া হয়। আর এটি একধরনের সমাজ-স্বীকৃত ক্লান্তি।

শুধু ক্লাস রুমে নয়, জাপানের অফিসে, ট্রেনে, এমনকি মিটিংয়েও কেউ ঘুমালে তাকে দায়িত্বশীল ও পরিশ্রমী মনে করা হয়।

আরো পড়ুন:

শামুক ধরতে গিয়ে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে এসে হাউজবোট থেকে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ