এশিয়া কাপে ভারতের শক্তিশালী দল ঘোষণা, ফিরলেন বুমরাহ
Published: 19th, August 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন এশিয়া কাপের জন্য ১৫ সদস্যের শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। দলটির অধিনায়কত্ব করবেন টি–টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সূর্যকুমার যাদব। লক্ষ্য একটাই, রেকর্ড নবমবারের মতো শিরোপা জয়।
সবচেয়ে বড় খবর হলো জসপ্রিত বুমরাহর প্রত্যাবর্তন। গত বছরের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে দেখা যায়নি তাকে। টেস্টে নিয়মিত খেললেও সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে বিশ্রামে ছিলেন এবং চোটের কারণে মিস করেছেন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও। এবার তিনি ফিরছেন পুরো ফিটনেস নিয়েই।
দলে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। তরুণ ব্যাটসম্যান অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা ও রিংকু সিং—এই ত্রয়ী গত এক বছরে দারুণ ফর্মে থাকায় নির্বাচকদের আস্থা পেয়েছেন। তাদের পাশে থাকছেন অভিজ্ঞ সূর্যকুমার যাদব এবং প্রায় দেড় বছর পর দলে ফিরছেন শুভমন গিল। যিনি শেষবার ভারতের হয়ে খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
আরো পড়ুন:
ভারতের ওপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল চীন
পরিযায়ী শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গে ফেরাতে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা মমতার
উইকেটকিপার হিসেবে প্রথম পছন্দ সঞ্জু স্যামসন। অভিষেক শর্মার সঙ্গে তার গত এক বছরের জুটি ব্যাটিং অর্ডারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ব্যাকআপ হিসেবে থাকছেন জিতেশ শর্মা। প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর এই দুইজনই ফিরলেন জাতীয় দলে।
হার্দিক পান্ডিয়া ও অক্ষর প্যাটেল থাকছেন দলের প্রধান দুই অলরাউন্ডার হিসেবে। দু’জনই ভারতের বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এদের সঙ্গে থাকবেন শিভম দুবে, যিনি ব্যাট–বল দুই বিভাগেই বাড়তি সুবিধা দিতে পারেন।
পেস আক্রমণে বুমরাহর সঙ্গে থাকবেন ২০২৪ সালের আইসিসি বর্ষসেরা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটার আর্শদীপ সিং ও নতুন মুখ হর্ষিত রানা। স্পিন বিভাগের ভরসাস্থলে থাকছেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশনে বরুণ চক্রবর্তীর সাফল্য আগেই নজর কেড়েছে। কুলদীপও ফিরছেন ২০২৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবারের মতো।
ভারতের এশিয়া কাপ সূচি:
টুর্নামেন্ট শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। ১০ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে ভারত। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ১৯ সেপ্টেম্বর ওমানের বিপক্ষে লড়বে তারা।
সুপার ফোর ম্যাচগুলো হবে ২০–২৬ সেপ্টেম্বর আবুধাবি ও দুবাইয়ে। আর ফাইনাল ম্যাচ বসবে ২৮ সেপ্টেম্বর, দুবাইয়ে।
ভারতের এশিয়া কাপ স্কোয়াড:
সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), শুভমন গিল, অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিভম দুবে, জিতেশ শর্মা, অক্ষর প্যাটেল, জসপ্রিত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তী, আর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন, হর্ষিত রানা ও রিংকু সিং।
রিজার্ভ: প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, ওয়াশিংটন সুন্দর, রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল ও যশস্বী জয়সওয়াল।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ