৭ গোলের ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ রানার্স-আপ
Published: 31st, August 2025 GMT
সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ডাবল লেগ পদ্ধতির শেষ ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে রানার্স-আপ হয়েছে বাংলাদেশ। আজ রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে ভারতকে ৪-৩ গোলে হারায় বাংলাদেশের কিশোরীরা। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।
এই জয়ে বাংলাদেশ ৬ ম্যাচের ৪টিতে জিতে, ১টিতে ড্র করে ও ১টিতে হেরে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে এবারের আসর শেষ করলো। ভারত ৬ ম্যাচের ৫টিতে জিতে ও ১টিতে হেরে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে চ্যাম্পিয়ন হলো।
আরো পড়ুন:
ভারতের বিপক্ষে প্রথমার্ধে এগিয়ে বাংলাদেশ
ভুটানের সঙ্গে ড্রয়ে দোদুল্যমান বাংলাদেশের শিরোপার স্বপ্ন
এদিন ম্যাচের ২৯ সেকেন্ডেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এ সময় বাম দিক থেকে মামুনি চাকমার বাড়ানো ক্রসে ডি বক্সের সামনে দাঁড়িয়ে হেড নিয়ে জালে জড়ান পূর্ণিমা মারমা।
অবশ্য বেশিক্ষণ পিছিয়ে থাকেনি ভারত। ম্যাচের নবম মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ফাঁকা পোস্টে জড়ান আনুস্কা কুমারী। এটা ছিল এবারের আসরে তার পঞ্চম গোল।
৩৪ মিনিটে বাংলাদেশের আলপি আক্তার গোল করে আবার এগিয়ে নেন দলকে। এ সময় ডি বক্সের ভেতরে জটলার মধ্যে বল পেয়ে ব্যাকহিলে আলপিকে বাড়িয়ে দেন সুরভী আক্তার প্রীতি। সেটাকে ডান পায়ের আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন আলপি।
তাতে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মো.
বিরতির পর পরই বাংলাদেশ গোল করে ৩-১ ব্যবধানে লিড নেয়। এরপর ভারত পর পর দুটি গোল করে সমতা ফেরায়। যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ গোল করে ৪-৩ ব্যবধানের রুদ্ধশ্বাস জয় নিশ্চিত করে। প্রথম দেখায় এই ভারতের কাছেই ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেখানেই পিছিয়ে পড়ে। এরপর আগের ম্যাচে ভুটানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ছিটকে যায় শিরোপার দৌড় থেকে।
বিস্তারিত আসছে…
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ফ চ য ম প য়নশ প ফ টবল গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।
এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।
অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’
ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’
এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।
আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।