সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে দুর্গোৎসব: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
Published: 2nd, October 2025 GMT
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘দুর্গোৎসব এখন শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়; বরং সর্বজনীন উৎসব। এটি সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়াতে সাহায্য করে।’
গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ও আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথাগুলো বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘দুর্গোৎসবের মূল বার্তা হলো অশুভের বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়। এই উৎসবের মাধ্যমে মানুষ একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে এবং সবার জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে।’
এদিকে দুর্গাপূজা এখন সব ধর্মের মানুষের মধ্যে আনন্দ ও সম্প্রীতি বাড়িয়ে তোলে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি দুর্গোৎসবের মাধ্যমে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের সুখ, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বনানী পূজা কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন বিশ্বাস বক্তব্য দেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির একাংশের নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো–চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, লিয়াকত হোসেন, জহিরুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মাওলা, জসিম উদ্দিন, আরিফ খান প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরের লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে চলছে
বন্দরের ঐতিহ্যবাহী লৌহিয়া খালটি দখল উৎসবে মেতে উঠেছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। যে খাল দিয়ে এক সময় শীতলক্ষা-বহ্মপুত্র নদীতে সংযোগ ছিল।
সেই ঐতিহ্যবাহী খালটি অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা।
খালটি দখল হয়ে যাওয়ার কারনে পয়নিষ্কাশনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয়রা। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে উল্লেখিত খাল দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা ।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ ও সানাউল্লাহ সানু এবং বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের মদদপুষ্ট হয়ে আদর্শ বিদ্যানিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে গিয়ে খাল দখল করে রাস্তা বানিয়েছে।
তেমনি ভাবে গার্মেন্টস, ব্যাটারি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে পানি চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খালটি ভরাট করার কারনে বন্দর ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াডের কদমতলীসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ড্রেজার দিয়ে ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমি ভরাট করতে গিয়ে সরকারি খাল দখল করে নিয়েছে। দেখার যেন কেউ নেই।
বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন সৈকত জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী মহল ও ভূমিদস্যুদের কর্তৃক দখলকৃত খালটি উদ্ধার করে পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।