সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা এলাহী নেওয়াজ তালুকদারের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে ।  এ ঘটনায় গত ১০ অক্টোবর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। 

এরআগেও আওয়ামী লীগ নেতা এলাহী নেওয়াজ তালুকদারের বিরুদ্ধে বলাৎকারের ঘটনায় আরো দু’টি মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে রয়েছে।

এ ঘটনায় রবিবার (১২ অক্টোবর) পাইনাদী নতুন মহল্লা পঞ্চায়েত কমিটির কার্যালয়ে এক সভায় বলাৎকারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা এলাহী নেওয়াজ তালুকদারকে সমাজ থেকে বহিস্কার করা হয়।

ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।  ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত এলাহী নেওয়াজ এলাকা ছেড়ে গাঁ ঢাকা দেন।

অভিযুক্ত এলাহী নেওয়াজ তালুকদার (৭০) সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাতী নতুন মহল্লা এলাকার মৃত মর্তুজা আলীর ছেলে। তিনি জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলার আসামি হয়ে এলাকায় ছিলেন বীরদর্পে। সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে এলাকায় পরিচিত। 

ভিকটিমের মা অভিযোগ জানান, অভিযুক্ত এলাহী নেওয়াজ তালুকদার আমার ছেলেকে নাতি হিসেবে বিভিন্ন ভালো উপদেশ দিয়ে মাঝে মাঝে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। সরল বিশ্বাসে ভিকটিম তার কথা শুনতেন। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বাসায় নিয়ে ফুসলিয়ে তাকে বলাৎকার করা হয়।

এতে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। তিনি আরো জানান, আমার ছেলেকে জিজ্ঞেস করা হলে, সে জানায়, এর আগেও আরো দুই বার তাকে ফুসলিয়ে তাকে বলাৎকার করে। 

রবিবার ১২ অক্টোবর রাতে পাইনাদী নতুন মহল্লা পঞ্চায়েত কমিটির কার্যালয়ে এক সালিশ ও বিচারের আয়োজন করা হয়। সালিশে সিদ্ধান্ত হয় যে, বলাৎকারের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা এলাহী নেওয়াজ তালুকদারকে সমাজ ও মসজিদ কমিটি থেকে বহিস্কার করা হয়। এবং তাকে এলাকায় পেলেই ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।

স্থানীয় পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক পাটোয়ারী বলেন, এলাহী নেওয়াজের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও তিনি বলাৎকারের কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগে মামলাও হয়েছে। তাই রবিবার পাইনাদী নতুন মহলা সমাজ কল্যাণ কার্যালয়ে একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সামাজিকভাবে তাকে বয়কট ও এলাকায় পেলেই ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, পাইনাদী এলাকার এলাহী নেওয়াজ নামে একজন বৃদ্ধর বিরুদ্ধে বলাৎকারের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাকে প্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ স দ ধ রগঞ জ প ইন দ ক র কর এল ক য় ঘটন য় আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যান্সার রোগী বৃদ্ধি ও প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন জরুরি: স্ব

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, “দেশে স্তন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে জনসাধারণকে আরো বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।”

সোমবার (১৩অক্টোবর) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের দেশের ৬৪ জেলায় ক্যান্সার সচেতনতার বিষয়টি পৌঁছে দিতে হলে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে। বর্তমান সরকার প্রতিটি বিভাগীয় হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও ডায়ালাইসিস চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।”

ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অপরিহার্য লিনাক মেশিন সম্পর্কে উপদেষ্টা আরো বলেন, “এই মেশিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমান সরকার ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ছয়টি লিনাক মেশিন ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মেশিনগুলো দেশে আসবে বলে আশা করছি।”

স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, “এ ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, “স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে শতভাগ নিরাময় সম্ভব। এজন্য আমাদের লজ্জা বা ভয় না পেয়ে যথাসময়ে স্ক্রিনিং করতে হবে।”

তিনি বলেন, “বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে দেখা গেছে, ৩০ বছরের কম বয়সেও অনেকের স্তন ক্যান্সার হতে পারে। তাই বয়সের দিকে না তাকিয়ে কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।”

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ