সিদ্ধিরগঞ্জে অর্ধ শতাধিক ফলজ গাছ কর্তন, থানায় অভিযোগ
Published: 14th, October 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জোরপূর্বক বিভিন্ন ধরণের অর্ধ শতাধিক ফলজ গাছ কেটে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন নাসিক ১নং ওয়ার্ড হিরাঝিল (৩নং গলি) এলাকায় মৃত দিল মোহাম্মদ এর ছেলে ভুক্তভোগী এস, জে আমিনুল শাহ (৫০) সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশ থানায় জিডি করতে পরামর্শ দিলেও মামলার জন্য ভুক্তভোগীকে আদালতে যেতে বলেন।
অভিযোগে আমিনুল শাহ উল্লেখ করেন, আমি আমার নিজ জমিতে বিভিন্ন ধরনের ২০টি পেঁপে গাছ ও ৩০টি কলাগাছ রোপন করি। এরপর গত ২ সপ্তাহ যাবৎ উক্ত জায়গায় নারিকেল, সুপারি, কাঁঠাল, বেগুন, মরিচ, পেঁপে, লাউ, কুমড়া ইত্যাদি সবজি ও ফলফলাদির গাছ রোপন করে আসছি।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জায়গায় এসে দেখি জমিনের পূর্ব পাশে লাগানো বিভিন্ন জাতের নারিকেল, গাছ কাটিয়া ফেলে দিয়ে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধান করে। এবং উক্ত স্থানে রোপনের জন্য রাখা ১০টি নারিকেল চারা, ২০টি সুপারির ও বিভিন্ন জাতের চারা আনুমানিক মূল্য ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকার গাছ চুরি করিয়া নিয়া যায়।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, হিরাঝিল (৩নং গলি) এলাকার মো: আবু তাহের (৫৫) পিতা মৃত জয়নাল আবেদীন, রুমা আক্তার (৪৫) স্বামী আবু তাহের স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে উক্ত সম্পত্তি বেদখল করার এবং আমার ক্ষতি সাধন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা করে আসছে।
আবু তাহের ও রুমা আক্তার ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা লোকসহ আমার জমিনে এসে ফলমান বৃক্ষ কেটে ফেলে ক্ষতিসাধন করে এবং উল্লেখিত গাছের চারাসমূহ নিয়া যায়।
আমি বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করতে অভিযুক্তরা তাদের সঙ্গীয় অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জন লোকসহ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া মারপিট করিতে উদ্যত হয় এবং উক্ত ঘটনা নিয়া কোনোরূপ মামলা মোকদ্দমা করলে ভবিষ্যতে যেখানে পাইবে আমাকে মারপিট করে খুন করে ফেলবে বলিয়া হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আমিনুল শাহ বলেন, এ ঘটনার পর থেকে অব্যাহত হুমকিতে আমরা আতংকে দিনাতিপাত করছি। অভিযোগ দিলেও এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
এ সময় তিনি অভিযুক্তদেরে হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এভাবে গাছ নস্ট করা ঠিক হয়নি। বলে এসেছি জমি নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে মাপজোক করে ঠিক করে নেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো বলেই এসেছি এ ঘটনায় থানায় জিডি হবে। মামলা করলে আদালতে করতে পারেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও পাওয়া যায়নি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন এ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
গায়িকা ফারিণের নাচ-গান নিয়ে নেটিজেনদের পোস্টমর্টেম
ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০২৪ সালে সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার গাওয়া প্রথম গান ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়। গানটির সাফল্য তাকে আরো গাইতে অনুপ্রাণিত করে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন গান নিয়ে হাজির হয়েছেন ফারিণ।
‘মন গলবে না’ শিরোনামের নতুন গানটি নিয়ে অনেক দিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাসনিয়া ফারিণ। গানটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ভিডিও। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মুক্তি পায় ফারিণের এই গান। গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর-সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। কিন্তু মুক্তির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ফারিণ ও তার কণ্ঠ, সাজপোশাক, গানের কথা নিয়ে চলছে পোস্টমর্টেম। আর কাজটি করছেন নেটিজেনরা।
আরো পড়ুন:
কাটপিসের ভয়েই সিনেমা করা হয়নি: দীপা খন্দকার
অভিনেতা তিনু করিম লাইফ সাপোর্টে
গানটির ভিডিওর সমালোচনা করে একজন লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণ সম্ভবত একমাত্র মেয়ে, যে নাচতে নাচতে বলেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না!’ মেয়েরা অভিমান করলে কথা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়, কল ধরে না, কোনোভাবেই তাদের মন গলানো যায় না! সেখানে তাসনিয়া ফারিণ নেচে নেচে বলেছে, ‘তার জন্য তার মন গলবে না।’ ‘অভিমান’ কিংবা ‘রাগ’ করার পর যে গার্লফ্রেন্ড এইভাবে নেচে নেচে বলবে, ছেলেরা তেমন গার্লফ্রেন্ড-ই চায়।”
আশরাফুল আমিন লেখেন, “নায়িকা আবার নিজের গানে নিজেই মডেল আবার নিজেই গায়িকা। একেই বলে এ সময়ের নোরা ফাতেহি।” ফারিণকে উদ্দেশ্য করে মাইশা লেখেন, “এই গানের সাথে এই নাচ, কি পোশাক জোকারের মতো লাগছে।” অরিত্রম দত্ত লেখেন, “গলার জন্য তো মন থাকা দরকার। কিন্তু ম্যাম আপনি তো মনটা পুড়িয়ে ফেললেন।” ফেরদৌস লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণের কাছ থেকে এত ফালতু কাজ প্রত্যাশা করিনি।” প্রত্যয় লেখেন, “এরচেয়ে হিরো আলমের গান ভালো।” রুয়েল লেখেন “এই নায়িকা আবার মনে মনে সিনেমায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে!”
গানটির গীতিকার কবির বকুল। গানের কথা নিয়ে খানিকটা ব্যঙ্গ করে স্নেহা ভট্টাচার্য লেখেন, “কি অপূর্ব লিরিক্স। গীতিকারকে নোবেল দেওয়া উচিত!” হাওলাদার রিয়াদ লেখেন, “গানটা শোনার পর মনে হয় গীতিকার আর কোরিওগ্রাফারকে খুঁজে বের করে পুরস্কার দেওয়া উচিত।”
বৃষ্টি লেখেন, “প্রথমে মনে করি, স্যাড সংয়ের সাথে লিপ সং। ওমা পরে দেখি, স্যাড সংয়ের সাথে ডিজে ড্যান্স।” অমি লেখেন, “জোকার। কি গান! কি নাচ! টোটাল রাবিশ!” গানের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আফসানা মিমি লেখেন, “গানের সাথে নাচ আর ড্রেস দুটোই জোকার লাগছে।” তোলন লেখেন, “ফারিণ মনে হয় একমাত্র মাইয়া যে, নাচতে নাচতে হাসতে হাসতে কইতেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না। আর তার নাচ দেইখা কি কমু! ভাই অভিনয় করে ঠিকঠাক বাট নাচটা হজম হইলো না।” এমন শত শত মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেটিজেনদের সমালোচনার মাঝে মুখ খুলেছেন তাসনিয়া ফারিণ। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে গানটিকে ‘পপ ধাঁচের’ বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়—“আমার এই গানে ফিউশন ঘটাতে চেয়েছি। আশি ও নব্বই দশকের অনুভূতির সঙ্গে এই সময়টাকে মিলিয়ে কিছু একটা করতে চেয়েছি। সঙ্গে একটা গল্প রেখেছি, আবার শিল্পের সঙ্গে বাণিজ্যিক কিছু উপাদানও আছে। আমি ও আমার টিম চেষ্টা করেছি আমাদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরতে।”
নতুন এই গান নিয়ে সন্তুষ্ট ফারিণ। তার মতে, “আমাদের তো অনেক বাজেট সীমাবদ্ধতা। তারপরও চেয়েছি, গতানুগতিক মিউজিক ভিডিওর বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করতে। কেউ এটাকে শুধুই বাণিজ্যিক বা কেউ শুধু শিল্পও বলতে পারবে না।”
ঢাকা/শান্ত