রাকসু নির্বাচনে থাকছে না অতিরিক্ত ব্যালট পেপার
Published: 15th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার অতিরিক্ত ছাপানো হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
রাকসুতে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
রাকসু নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন আজ
তিনি বলেন, “রাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার যেনতেন কোনো জায়গা থেকে প্রিন্ট করানো হয়নি। নাম সর্বস্ব কোনো প্রেসের কাছে এটি প্রিন্টের দেওয়া হয়নি। যাদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন বা পরীক্ষার কাজ করে থাকে বা এমন অভিজ্ঞতা আছে, তাদের কাছে থেকে করানো হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “পৃথিবীর কোথাও অতিরিক্ত ব্যালট পেপার প্রদান করা হয় না। আমাদের ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১, আমরা ২৮ হাজার ৯০১টিই ব্যালট ছাপিয়েছি। একটিও বেশি কম ছাপানো হয়নি। প্রতিটা কেন্দ্রে নির্ধারিত ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। এখানে কম বেশি হওয়ার সুযোগ নেই।”
ড.
ড. মোস্তফা কামাল আরো বলেন, “নির্বাচন পরিচালনার জন্য ২১২ জন শিক্ষকদের মধ্যে ১৭ জন শিক্ষককে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকি শিক্ষকদের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারাই এই ভোট পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে ২ হাজার পুলিশ সদস্য, ছয় প্লাটুন বিজিবি এবং ১২ প্লাটুন র্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম, প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমানসহ নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে অনলাইনে বিক্রির পরও কীভাবে ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি হয়, তদন্তের আশ্বাস ডিসির
অনলাইনে বিক্রির পরও কীভাবে ট্রেনের টিকিটের কালোবাজারি হয়, সেটি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, অনলাইনে দুই মিনিটের মধ্যে ট্রেনের টিকিট শেষ, এটা তো কোনো সিস্টেম হতে পারে না। স্টেশনের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এ ধরনের অনিয়মে জড়িত কি না—সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, যাঁরা টিকিট কালোবাজারি করছেন, তাঁরা অনলাইনে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে মুহূর্তের মধ্যে অনেকগুলো টিকিট সংগ্রহ করছেন, এটি একধরনের কারসাজি। এমন অনৈতিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া যায় না। এ বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সারওয়ার আলম আরও বলেন, ‘অনলাইনে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা যাচ্ছে। আজ সকালবেলার যে ট্রেনটা ছিল, সেটির টিকিট কিন্তু কাউন্টার থেকে মাত্র ১টি কাটা হয়েছে, আর অনলাইনে বিভিন্ন জায়গা থেকে কাটা হয়েছে প্রায় ২০০টি টিকিট। অনলাইনে টিকিট আসামাত্র দ্রুত শেষ হয়ে যাবে—সেটি তো কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। অথচ যাত্রীরা ঠিকমতো টিকিট পাচ্ছেন না। সমস্যাটা কোন জায়গায় সৃষ্টি হচ্ছে, সেটি আমরা বের করব।’
জেলা প্রশাসক জানান, যাত্রীসেবার মান বাড়াতে বিশেষ কোচ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে স্টেশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে, যাতে যাত্রীসাধারণ ছিনতাই বা অন্য কোনো অপরাধের শিকার না হন।
রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক স্টেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, যাত্রীসেবার মান, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সার্বিক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা ও পরামর্শ শোনেন। পরে জেলা প্রশাসক রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যাত্রীসেবা আরও উন্নত করা, স্টেশনের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ভ্রাম্যমাণ দোকান ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ রাখতে এবং টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেন।