পাঞ্জাবের ‘মাটির ছেলে’ থেকে বলিউড তারকা, ধর্মেন্দ্রকে কতটা চেনেন
Published: 24th, November 2025 GMT
ছয় দশকের বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয় করেছেন। কখনো অ্যাকশন হিরো, কখনো রোমান্টিক নায়ক; কখনো আবার কাঁদিয়েছেন দর্শককে। পর্দায় দৃঢ়চেতা এই অভিনেতা বাস্তব জীবনে ছিলেন পুরোপুরি উল্টো, সংবেদনশীল, নরম মনের মানুষ। পাঞ্জাবের এক ছোট শহর থেকে উঠে এসে হয়েছিলেন বলিউডের ‘হি-ম্যান’ তিন শর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন, পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও ভালোবাসা। রিলস আর শর্টসে ঘুরেফিরে আসে তাঁত অভিনীত সিনেমার দৃশ্য; যা তাঁকে ছড়িয়ে দিয়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যেও। তিনি ধর্মেন্দ্র। বলিউডের আলোচিত এই অভিনেতা মারা গেছেন। আলো ফেলা যাক তাঁর জীবন ও ক্যারিয়ারে।
মাটির ছেলে থেকে বলিউড তারকা
১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর, পাঞ্জাবের হরিয়ানার কাছে শাহনেওয়াজ গ্রামে জন্ম ধর্মেন্দ্র দেওয়া কৃষাণ দেওলের। ছোটবেলায় তিনি স্কুলে যেতেন হেঁটে, আর ফাঁকে ফাঁকে স্বপ্ন দেখতেন সিনেমায় অভিনয়ের। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমি তো মাটির মানুষ। পর্দায় নিজেকে দেখতে চেয়েছিলাম শুধু। তারপরও সাফল্য এলে মনে হয়েছে, আমি এখনো সেই গ্রামের ছেলেটাই।’ ধর্মেন্দ্র লালটন কালান সরকারি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেন, পরে ফাগওয়ারার রামগড়িয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট সম্পন্ন করেন। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেওয়া হয়নি তাঁর।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় নিজ ঘর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সুমি আক্তারের (২৬) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
৫০ বছর ধরে ‘এক টাকায়’ শিক্ষার আলো ছড়ান যিনি
সুমি আক্তার আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক গোলাপ রহমানের মেয়ে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের কলা অনুষদের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুমি আক্তার জন্মগতভাবে ফাইব্রাস ডিসপ্লাসিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। দেড় মাস আগে নিজ বাড়িতে এসে সেখানে থেকে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার শরীরের হাড় দ্রুত ক্ষয় হচ্ছিল এবং একাধিক অস্ত্রোপচার সত্ত্বেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তীব্র ব্যথা, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা ও ক্রমাগত দুর্বলতায় তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে মাজিহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুজ্জামান বলেন, ‘‘সুমি আক্তার গতরাত ৩টা পর্যন্ত নিজ ঘরে লেখাপড়া করেন। পরে মা ফজরের নামাজের জন্য ডাকতে গেলে তার ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দেখা যায়, তিনি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন।’’
সুমির ছোট খালা মোছা. কাঞ্চনী জানিয়েছেন, সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সুমির রোগের রিপোর্ট দেখে বাবাকে থানায় নিয়ে যায় ও দাফনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘মেয়েটি বিরল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সহপাঠী এবং গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সহায়তায় তার চিকিৎসা চলছিল। ভোরে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন।’’
এ ঘটনায় অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/কাঞ্চন/সৌরভ/বকুল