নানান সময় বক্তব্য দিয়ে আলোচনার ইস্যু হয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও মান্নানের একটি বক্তব্য সমালোচনার ঝড় তুলেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সোনারগাঁ থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে পারেন মান্নান- এমন একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিরগঞ্জে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

 ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নে একটি নির্বাচনী সভায় আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, “আমাদের সোনারগাঁয়ে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোট আর সিদ্ধিরগঞ্জে ২ লাখ ২০ হাজার ভোট। 

আমাদের সোনারগাঁয়ের থেকে যাকে নমিনেশন দেওয়া হোক;  যদি সোনারগাঁকে রক্ষা করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়, তাহলে যারা সোনারগাঁয়ের সাথে বেঈমানী করেছে তারা কি আমাদের সাথে পারবে?”

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের আভাস দেয়ায়  মান্নানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেইসাথে নেটিজনরা বলছেন, উনার কথায় স্পষ্ট সিদ্ধিরগঞ্জের ভোট তার দরকার নাই। সিদ্ধিরগঞ্জকে ছোট করে দেখছেন উনি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

অনেকেই বলছেন, মান্নান সাহেব মনে হয় স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন। এমন একটা বক্তব্য আমরা শুনতে পেলাম। উনি বুঝে গেছেন নমিনেশন উনাকে দিবে না।

তৃনমূল বলছে, সোনারগাঁয়ে মান্নানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জনবিচ্ছিন্ন তিনি। সোনারগাঁয়ে ব্যাপক কর্মী থাকলেও সিদ্বিরগঞ্জে কর্মীবিহীন তিনি। রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধিরগঞ্জে তিনি এখনো শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। ফলে নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আভাস দিয়েছেন তিনি। 

এর আগেও শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাড়ের বন্দর উপজেলার মানুষকে সন্ত্রাসী বলে বক্তব্য দিয়েছিলেন মান্নান। সে সময়ও বন্দরবাসীর তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। বারবার বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেওয়া আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরুদ্ধে তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর এ বিষয়ে বলেন, “যার নির্বাচন করার ক্ষমতা নাই তাকে (মান্নান) আমি উপজেলার চেয়ারম্যান বানাইছি। মানুষের সঙ্গে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় আমরা জানি।

অতিরিক্ত অহংকার পতনের মূল। ওরা (মান্নান) মূলত দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য আসে। ওদের সঙ্গে ভালো কোনো লোক থাকে না। প্রাথমিকভাবে তারা বললেও তাদের সাথে ভালো লোক থাকে না।” 

এ বিষয়ে জানতে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের মুঠোফোনের কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আজহ র ল ইসল ম ম ন ন ন স বতন ত র প র র থ স দ ধ রগঞ জ স ন রগ ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গায়িকা ফারিণের নাচ-গান নিয়ে নেটিজেনদের পোস্টমর্টেম

ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০২৪ সালে সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার গাওয়া প্রথম গান ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়। গানটির সাফল্য তাকে আরো গাইতে অনুপ্রাণিত করে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন গান নিয়ে হাজির হয়েছেন ফারিণ।

‘মন গলবে না’ শিরোনামের নতুন গানটি নিয়ে অনেক দিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাসনিয়া ফারিণ। গানটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ভিডিও। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মুক্তি পায় ফারিণের এই গান। গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর-সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। কিন্তু মুক্তির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ফারিণ ও তার কণ্ঠ, সাজপোশাক, গানের কথা নিয়ে চলছে পোস্টমর্টেম। আর কাজটি করছেন নেটিজেনরা।

আরো পড়ুন:

কাটপিসের ভয়েই সিনেমা করা হয়নি: দীপা খন্দকার

অভিনেতা তিনু করিম লাইফ সাপোর্টে

গানটির ভিডিওর সমালোচনা করে একজন লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণ সম্ভবত একমাত্র মেয়ে, যে নাচতে নাচতে বলেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না!’ মেয়েরা অভিমান করলে কথা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়, কল ধরে না, কোনোভাবেই তাদের মন গলানো যায় না! সেখানে তাসনিয়া ফারিণ নেচে নেচে বলেছে, ‘তার জন্য তার মন গলবে না।’ ‘অভিমান’ কিংবা ‘রাগ’ করার পর যে গার্লফ্রেন্ড এইভাবে নেচে নেচে বলবে, ছেলেরা তেমন গার্লফ্রেন্ড-ই চায়।”

আশরাফুল আমিন লেখেন, “নায়িকা আবার নিজের গানে নিজেই মডেল আবার নিজেই গায়িকা। একেই বলে এ সময়ের নোরা ফাতেহি।” ফারিণকে উদ্দেশ্য করে মাইশা লেখেন, “এই গানের সাথে এই নাচ, কি পোশাক জোকারের মতো লাগছে।” অরিত্রম দত্ত লেখেন, “গলার জন্য তো মন থাকা দরকার। কিন্তু ম্যাম আপনি তো মনটা পুড়িয়ে ফেললেন।” ফেরদৌস লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণের কাছ থেকে এত ফালতু কাজ প্রত্যাশা করিনি।” প্রত্যয় লেখেন, “এরচেয়ে হিরো আলমের গান ভালো।” রুয়েল লেখেন “এই নায়িকা আবার মনে মনে সিনেমায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে!”

গানটির গীতিকার কবির বকুল। গানের কথা নিয়ে খানিকটা ব্যঙ্গ করে স্নেহা ভট্টাচার্য লেখেন, “কি অপূর্ব লিরিক্স। গীতিকারকে নোবেল দেওয়া উচিত!” হাওলাদার রিয়াদ লেখেন, “গানটা শোনার পর মনে হয় গীতিকার আর কোরিওগ্রাফারকে খুঁজে বের করে পুরস্কার দেওয়া উচিত।” 

বৃষ্টি লেখেন, “প্রথমে মনে করি, স্যাড সংয়ের সাথে লিপ সং। ওমা পরে দেখি, স্যাড সংয়ের সাথে ডিজে ড্যান্স।” অমি লেখেন, “জোকার। কি গান! কি নাচ! টোটাল রাবিশ!” গানের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আফসানা মিমি লেখেন, “গানের সাথে নাচ আর ড্রেস দুটোই জোকার লাগছে।” তোলন লেখেন, “ফারিণ মনে হয় একমাত্র মাইয়া যে, নাচতে নাচতে হাসতে হাসতে কইতেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না। আর তার নাচ দেইখা কি কমু! ভাই অভিনয় করে ঠিকঠাক বাট নাচটা হজম হইলো না।” এমন শত শত মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।   

নেটিজেনদের সমালোচনার মাঝে মুখ খুলেছেন তাসনিয়া ফারিণ। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে গানটিকে ‘পপ ধাঁচের’ বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়—“আমার এই গানে ফিউশন ঘটাতে চেয়েছি। আশি ও নব্বই দশকের অনুভূতির সঙ্গে এই সময়টাকে মিলিয়ে কিছু একটা করতে চেয়েছি। সঙ্গে একটা গল্প রেখেছি, আবার শিল্পের সঙ্গে বাণিজ্যিক কিছু উপাদানও আছে। আমি ও আমার টিম চেষ্টা করেছি আমাদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরতে।” 

নতুন এই গান নিয়ে সন্তুষ্ট ফারিণ। তার মতে, “আমাদের তো অনেক বাজেট সীমাবদ্ধতা। তারপরও চেয়েছি, গতানুগতিক মিউজিক ভিডিওর বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করতে। কেউ এটাকে শুধুই বাণিজ্যিক বা কেউ শুধু শিল্পও বলতে পারবে না।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ