বগুড়া থেকে সন্দ্বীপ: ৬ জেলায় কবে কোথায় প্রতিযোগিতা
Published: 19th, October 2025 GMT
‘দেখাও যত প্রতিভা তোমার’ স্লোগান সামনে রেখে দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম ‘মার্কস অলরাউন্ডার’ প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশের প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে বরাবরের মতো এবারও দারুণ সাড়া ফেলেছে আয়োজনটি। প্রতিযোগিতাটি তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে—আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে।
ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, যশোর, মাগুরা, নোয়াখালী, ফেনী, সিলেট, নাটোর, পাবনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের ১০০টি স্থানে আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সব স্কুল-কলেজ (প্লে গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ ও বিষয়—
প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি—জুনিয়র স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, গল্প বলা); পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি—মিডল স্কুল (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা) এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি—হাইস্কুল ও কলেজ (গান, নাচ, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা।)
বগুড়া, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নেত্রকোনা, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ, ভোলা, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সন্দ্বীপ অঞ্চলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে আগামী শুক্রবার ও শনিবার (২৪ ও ২৫ অক্টোবর)। নিম্নলিখিত প্রতিটি ভেন্যুতে সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা।
তারিখ: ২৪ অক্টোবর, শুক্রবার
ভেন্যু: নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: বগুড়া সদরের একাংশ (উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি, চারমাথা, ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ি, আদমদীঘি, দুপচাঁচিয়া, শিবগঞ্জ, সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি থানা) এবং গাইবান্ধা, জয়পুরহাট জেলা।
ভেন্যু: আব্বাছিয়া উচ্চবিদ্যালয়, নেত্রকোনা।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: নেত্রকোনা জেলা।
তারিখ: ২৫ অক্টোবর, শনিবার
ভেন্যু: নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বগুড়া।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: বগুড়া সদরের একাংশ (পুরান বগুড়া, তিনমাথা বগুড়া, বনানী পুলিশ ফাঁড়ি, নারুলি পুলিশ ফাঁড়ি, শাজাহানপুর, গাবতলী, ধুনট, শেরপুর, নন্দীগ্রাম ও কাহালু থানা) এবং নওগাঁ জেলা।
ভেন্যু: আরজত আতরজান উচ্চবিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: কিশোরগঞ্জ জেলা।
ভেন্যু: ভোলা সরকারি মহিলা কলেজ, ভোলা।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: ভোলা জেলা।
ভেন্যু: সীতাকুণ্ড সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হাজারী রোড, সীতাকুণ্ড।
যে এলাকার শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে: সীতাকুণ্ড, মিরসরাই এবং সন্দ্বীপ।
পুরস্কার
মার্কস অলরাউন্ডারে তিনটি গ্রুপ থেকে সেরা তিন অলরাউন্ডারের প্রত্যেকে পাবে ১৫ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। আর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীরা পাবে মোট এক কোটি টাকার বেশি উপহার ও শিক্ষাবৃত্তি।
গ্র্যান্ড ফিনালেতে তিনটি গ্রুপের ফার্স্ট রানার্সআপ এবং সেকেন্ড রানার্সআপের প্রত্যেকে পাবে ৫ লাখ এবং ৩ লাখ টাকার শিক্ষাবৃত্তি। তিনটি গ্রুপের ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে সেরা ৩ জন করে মোট ৫৪ জন সেরা পারফরমারের প্রত্যেকে পাবে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক। জাতীয় পর্যায়ে তিনটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাবে একটি করে কম্পিউটার।
আয়োজকেরা জানান, মার্কস অলরাউন্ডার শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং বাংলাদেশের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা, মেধা, সংস্কৃতি ও আত্মবিশ্বাস বিকাশের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম। আঞ্চলিক পর্যায় থেকে জাতীয় পর্ব পর্যন্ত এই আয়োজনটি অংশগ্রহণকারীদের জন্য হয়ে উঠেছে শেখা, নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করা এবং আরও এগিয়ে যাওয়ার এক বড় সুযোগ।
বিস্তারিত জানতে এবং রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করতে হবে www.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক র শ ক ষ র থ র অন ষ ঠ ত পর য য়
এছাড়াও পড়ুন:
গায়িকা ফারিণের নাচ-গান নিয়ে নেটিজেনদের পোস্টমর্টেম
ছোট পর্দার অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০২৪ সালে সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার গাওয়া প্রথম গান ‘রঙে রঙে রঙিন হব’, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচারিত হয়। গানটির সাফল্য তাকে আরো গাইতে অনুপ্রাণিত করে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন গান নিয়ে হাজির হয়েছেন ফারিণ।
‘মন গলবে না’ শিরোনামের নতুন গানটি নিয়ে অনেক দিন ধরে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তাসনিয়া ফারিণ। গানটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে ভিডিও। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মুক্তি পায় ফারিণের এই গান। গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর-সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল। কিন্তু মুক্তির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ফারিণ ও তার কণ্ঠ, সাজপোশাক, গানের কথা নিয়ে চলছে পোস্টমর্টেম। আর কাজটি করছেন নেটিজেনরা।
আরো পড়ুন:
কাটপিসের ভয়েই সিনেমা করা হয়নি: দীপা খন্দকার
অভিনেতা তিনু করিম লাইফ সাপোর্টে
গানটির ভিডিওর সমালোচনা করে একজন লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণ সম্ভবত একমাত্র মেয়ে, যে নাচতে নাচতে বলেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না!’ মেয়েরা অভিমান করলে কথা পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়, কল ধরে না, কোনোভাবেই তাদের মন গলানো যায় না! সেখানে তাসনিয়া ফারিণ নেচে নেচে বলেছে, ‘তার জন্য তার মন গলবে না।’ ‘অভিমান’ কিংবা ‘রাগ’ করার পর যে গার্লফ্রেন্ড এইভাবে নেচে নেচে বলবে, ছেলেরা তেমন গার্লফ্রেন্ড-ই চায়।”
আশরাফুল আমিন লেখেন, “নায়িকা আবার নিজের গানে নিজেই মডেল আবার নিজেই গায়িকা। একেই বলে এ সময়ের নোরা ফাতেহি।” ফারিণকে উদ্দেশ্য করে মাইশা লেখেন, “এই গানের সাথে এই নাচ, কি পোশাক জোকারের মতো লাগছে।” অরিত্রম দত্ত লেখেন, “গলার জন্য তো মন থাকা দরকার। কিন্তু ম্যাম আপনি তো মনটা পুড়িয়ে ফেললেন।” ফেরদৌস লেখেন, “তাসনিয়া ফারিণের কাছ থেকে এত ফালতু কাজ প্রত্যাশা করিনি।” প্রত্যয় লেখেন, “এরচেয়ে হিরো আলমের গান ভালো।” রুয়েল লেখেন “এই নায়িকা আবার মনে মনে সিনেমায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে!”
গানটির গীতিকার কবির বকুল। গানের কথা নিয়ে খানিকটা ব্যঙ্গ করে স্নেহা ভট্টাচার্য লেখেন, “কি অপূর্ব লিরিক্স। গীতিকারকে নোবেল দেওয়া উচিত!” হাওলাদার রিয়াদ লেখেন, “গানটা শোনার পর মনে হয় গীতিকার আর কোরিওগ্রাফারকে খুঁজে বের করে পুরস্কার দেওয়া উচিত।”
বৃষ্টি লেখেন, “প্রথমে মনে করি, স্যাড সংয়ের সাথে লিপ সং। ওমা পরে দেখি, স্যাড সংয়ের সাথে ডিজে ড্যান্স।” অমি লেখেন, “জোকার। কি গান! কি নাচ! টোটাল রাবিশ!” গানের সঙ্গে কোরিওগ্রাফি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। আফসানা মিমি লেখেন, “গানের সাথে নাচ আর ড্রেস দুটোই জোকার লাগছে।” তোলন লেখেন, “ফারিণ মনে হয় একমাত্র মাইয়া যে, নাচতে নাচতে হাসতে হাসতে কইতেছে, ‘তোমার জন্য আমার মন কখনো গলবে না। আর তার নাচ দেইখা কি কমু! ভাই অভিনয় করে ঠিকঠাক বাট নাচটা হজম হইলো না।” এমন শত শত মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নেটিজেনদের সমালোচনার মাঝে মুখ খুলেছেন তাসনিয়া ফারিণ। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে গানটিকে ‘পপ ধাঁচের’ বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়—“আমার এই গানে ফিউশন ঘটাতে চেয়েছি। আশি ও নব্বই দশকের অনুভূতির সঙ্গে এই সময়টাকে মিলিয়ে কিছু একটা করতে চেয়েছি। সঙ্গে একটা গল্প রেখেছি, আবার শিল্পের সঙ্গে বাণিজ্যিক কিছু উপাদানও আছে। আমি ও আমার টিম চেষ্টা করেছি আমাদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরতে।”
নতুন এই গান নিয়ে সন্তুষ্ট ফারিণ। তার মতে, “আমাদের তো অনেক বাজেট সীমাবদ্ধতা। তারপরও চেয়েছি, গতানুগতিক মিউজিক ভিডিওর বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করতে। কেউ এটাকে শুধুই বাণিজ্যিক বা কেউ শুধু শিল্পও বলতে পারবে না।”
ঢাকা/শান্ত