নাশকতাকারীদের ঢাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 20th, November 2025 GMT
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, “আইন অনুযায়ী নাশকতাকারীদের ঢাকা মহানগরীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। যারা পরিকল্পিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ।”
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
শেখ মো.
তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পুলিশ আইন অনুযায়ী দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করতেও দ্বিধাবোধ করবে না।”
থানা এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধে টহল কার্যক্রম আরো জোরদারের নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মো. সরওয়ার বলেন, “পুলিশ সদস্যদের সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া দৈনন্দিন কার্যক্রমে ডি-নথির ব্যবহার বাড়াতে হবে।”
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “মামলা রুজুর পর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা যায়।”
তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে সর্বোচ্চ পেশাগত নৈতিক মানদণ্ড প্রদর্শন করে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মামলার রায় ঘিরে কেউ যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল থাকতে হবে।”
সভায় যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন অক্টোবর-২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন-ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
মাসিক অপরাধ সভায় অক্টোবর মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এবং প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমান, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির সব থানার ওসি ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ প ক অপর ধ ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় হয়েছে: খেলাফত মজলিস
উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে বলে মনে করে খেলাফত মজলিস। তারা বলছে, বাংলাদেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তনকালীন সন্ত্রাস-সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া এই মুহূর্তে বিকল্প পথ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একদলীয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন প্রলম্বিত হয়। বিরোধী রাজনৈতিক দল ও ভিন্নমতের বিরুদ্ধে শুরু হয় নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন। বিগত ১৬ বছর গণহত্যা, গুম, অপহরণ ও নির্যাতন-নিপীড়নের স্টিমরোলার চালিয়ে বাক্স্বাধীনতা রুদ্ধ করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে আজ যে রায় দিয়েছেন, তাতে দেশবাসী আনন্দিত বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে খেলাফত মজলিস। তারা বলেছে, এতে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। আজকের দিনটি ঐতিহাসিক।